জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় : প্রক্টর ড. মোস্তফা কামালের মেয়াদ বাড়ল

আগের সংবাদ

গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে প্রধানমন্ত্রী : কেউ গৃহহীন থাকবে না

পরের সংবাদ

ড. হাছান মাহমুদ : রোডম্যাপ ঠিক করে ব্যাপক হারে টিকা দেয়া হবে

প্রকাশিত: আগস্ট ৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : তথ্য ও স¤প্রচারমন্ত্রী আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, রোডম্যাপ ঠিক করেই সরকার ব্যাপক হারে টিকা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে, বিএনপি এ নিয়েও বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা করছে। গতকাল সোমবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। ‘৮
সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ছাড়া মাসে এক কোটি টিকা দেয়ার ঘোষণা জনগণের সঙ্গে প্রতারণা’-বিএনপি মহাসচিবের এমন মন্তব্যের জবাবে ড. হাছান বলেন, সরকার রোডম্যাপ ঠিক করেই এ ঘোষণা দিয়েছে। বিএনপি নেতারা টিকা নিয়ে বরাবরই বিভ্রান্তি ছড়িয়েছেন। সিরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নিয়েও বিভ্রান্তি ছড়িয়েছিল। পরবর্তী সময়ে তারা নিজেরাই সেই টিকা নিয়েছেন।
‘সরকারের ভুল নীতির কারণে দেশে মৃত্যুহার বেড়েছে’- ডা. জাফরুল্লাহর এমন মন্তব্যের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, করোনার ডেল্টা ভেরিয়্যান্ট একশর বেশি দেশে ছড়িয়েছে। ৮০ ভাগ টিকাদানকারী দেশগুলোতেও এই ভেরিয়্যান্ট ছড়িয়েছে। অনেক দেশে আবার নতুনভাবে স্বাস্থ্যবিধি আরোপ করা হয়েছে। এগুলো জাফরুল্লাহ সাহেব জেনেও বিভ্রান্তি সৃষ্টির জন্য কিছু কথা বলেন। ইতোমধ্যেই গণটিকা দান শুরু হয়েছে। চলতি বছরেই ১০ কোটি ডোজ টিকা আসবে। প্রতিমাসে এক কোটি মানুষকে টিকা দেয়া হবে। এগুলো জাফরুল্লাহ সাহেবরা জেনেও না জানার ভান করেন আর জনগণকে বিভ্রান্ত করেন।
লকডাউনের মধ্যেই গার্মেন্টস খুলে দেয়া, শ্রমিকদের দুর্ভোগ, করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা এবং এ নিয়ে কেন সচিব পর্যায়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে- এমন প্রশ্নে ড. হাছান বলেন, ব্যবসায়ীরা সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন। সচিব পর্যায়ে বৈঠক হলেও সিদ্ধান্তটি সরকারেরই। গার্মেন্টস মালিকরা বলেছিলেন, ঢাকায় অবস্থানরত বা আশপাশে যেসব শ্রমিক আছেন, তাদের দিয়েই আপাতত শুরু করবেন। কোনো কোনো মালিক ব্যত্যয় ঘটিয়েছেন। ঢাকার বাইরে থাকা শ্রমিকদের কাজে যোগ দিতে ফোন করা হয়েছে। এখানেই বিভ্রান্তিটা হয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের অর্থনীতি অনেকটা গার্মেন্টসের ওপর নির্ভরশীল। রপ্তানি আয়ের ৮০ ভাগ এখান থেকে আসে। এটা অত্যন্ত স্পর্শকাতর সেক্টর। সময়মতো ডেলিভারি দিতে না পারলে অর্ডার বাতিল হয়ে যায়। এটি ব্যাপক আকারে হলে দেশ অর্থনৈতিক ঝুঁকির মধ্যে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। দেশের স্বার্থে সেটিও দেখতে হয়।
আইপি টিভি অনুমোদন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, কোনো আইপি টিভিকেই অনুমোদন দেয়া হয়নি। রেজিস্ট্রেশনের জন্য দরখাস্ত চাওয়া হয়েছিল। ৬শর কাছাকাছি আবেদন পড়েছে। যাচাই-বাছাই শেষে চলতি মাসেই কিছু আইপি টিভি অনুমোদন দেয়া হবে। নীতিমালা অনুযায়ী কোনো আইপি টিভি সংবাদ পরিবেশন করতে পারে না। আইপি টিভির বিরুদ্ধে অনেক সময় নানা অভিযোগ আসে। সেজন্য আমাদের ব্যবস্থাও নিতে হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়