কাগজ প্রতিবেদক : বিদেশ থেকে আসা বিমানবন্দরে জব্দ করা ব্রাহামা জাতের ১৮টি গরু সাভার ডেইরি ফার্ম থেকে মুক্ত করতে একটি রিট আবেদন করা হয়েছে। গতকাল সোমবার মোহাম্মপুরের সাদেক অ্যাগ্রোর মালিক ইমরান হোসেনের পক্ষে ব্যারিস্টার মেহেদী হাসান এই রিট দায়ের করেন।
রিটের পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, ব্রাহামা জাতের ১৮টি গরু কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষ থেকে মুক্ত করতে একটি রিট আবেদন করেছি। মোহাম্মপুরের সাদেক অ্যাগ্রোর মালিককে গরুগুলো বুঝিয়ে দেয়ার নির্দেশনা চেয়েছি। এসব গরু আনতে আইনগত কোনো বাধা নেই। এর আগেও এ জাতের গরু দেশের বাইরে থেকে আনা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটির ওপর শুনানি হবে বলে জানিয়েছেন ব্যারিস্টার কাজল।
এর আগে গত ৫ জুলাই হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিদেশ থেকে আসা ব্রাহামা জাতের ১৮টি গরু জব্দ করে ঢাকা কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষ। প্রতিটি গরুর বাজার মূল্য ১২ থেকে ১৫ লাখ টাকা।
ঢাকা কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার (প্রিভেন্টিভ) মোহাম্মদ আবদুস সাদেক জানান, গত ৫ জুলাই দুপুর আড়াইটার দিকে আমেরিকার টেক্সাস থেকে তার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ কার্গো ফ্লাইটে করে গরুগুলো শাহজালাল বিমানবন্দরে এসে পৌঁছে। পরে খবর পেয়ে ঢাকা কাস্টম হাউসের কর্মকর্তারা বিমানবন্দর থেকে গরুগুলোকে মালিকবিহীন অবস্থায় জব্দ করেন। মোহাম্মদ আবদুস সাদেক জানান, বাংলাদেশে ব্রাহামা জাতের গরু আমদানির অনুমতি না থাকা এবং গরুর আমদানিকারককে না পাওয়ায় এগুলো জব্দ করা হয়েছে।
ঢাকা কাস্টম হাউস সূত্র জানিয়েছে, ১৩ মাস থেকে ৬০ মাস বয়সি এই গরুগুলোর আমদানিকারক হিসেবে মোহাম্মদপুরের সাদেক অ্যাগ্রোর নাম লেখা রয়েছে। বিমানবন্দরে জব্দ করা বিদেশি গরুগুলো কেউ নিতে আসেনি। ঢাকা কাস্টম হাউস হেফাজতে গরু রাখার ব্যবস্থা না থাকায় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের জিম্মায় সেগুলো রাখা হয়। পরে গরুগুলো সাভার ডেইরি ফার্মে হস্তান্তর করা হয়।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।