জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় : প্রক্টর ড. মোস্তফা কামালের মেয়াদ বাড়ল

আগের সংবাদ

গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে প্রধানমন্ত্রী : কেউ গৃহহীন থাকবে না

পরের সংবাদ

ওয়েবিনারে বক্তারা : আঞ্চলিক সংহতির ক্ষেত্রে কাজে লাগাতে হবে ডিজিটাল সুযোগ

প্রকাশিত: আগস্ট ৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

‘অ্যাকসেলেরেট ডিজিটাল ইকোনমি ফর ইনক্লুসিভ ইন্টিগ্রেশন ইন এশিয়া প্যাসিফিক’ শীর্ষক ওয়েবিনারে অংশ নিয়ে বক্তারা অন্তর্ভুক্তিমূলক ইকোসিস্টেম তৈরি ও আঞ্চলিক সংহতির জন্য ডিজিটাল ক্ষেত্রের সুযোগগুলো কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়েছেন। সম্প্রতি হুয়াওয়ে আয়োজিত এক ভার্চুয়াল আলোচনায় এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের সরকারি, শিল্প ও অ্যাকাডেমিক খাতের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়ে এ আহ্বান জানান। বক্তারা বলেন, বৈশ্বিক মহামারি মোকাবিলায় এই ডিজিটাল ক্ষেত্রের সুযোগগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তারা বাজার, প্রযুক্তি, অন্তর্ভুক্তি এবং টেকসই বিষয়ের দৃষ্টিকোণ থেকে ডিজিটাল অর্থনীতির বিভিন্ন দিক আলোচনা করেন। বিজ্ঞপ্তি।
চীনে নিযুক্ত ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত জাউহারি ওরাতমাঙ্গুন তার মূল বক্তব্যে বলেন, একটি নতুন ডিজিটাল অর্থনীতি এই অঞ্চলের রূপদান করছে। বৈশ্বিক মহামারি চলাকালীন ডিজিটাল রূপান্তর ও ব্যবসা ক্ষেত্রে পরিবর্তন নিয়ে আসার বিষয়গুলো ত্বরান্বিত হয়েছে। সামাজিক পুনরুদ্ধার ও ডিজিটাল রূপান্তরের জন্য ইন্দোনেশিয়া ডিজিটাল অর্থনীতি সম্প্রসারণের চেষ্টা করছে।
ডিজিটাল অর্থনীতি আঞ্চলিক জিডিপিতে বছরে ১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার অবদান রাখবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আসিয়ান।
আসিয়ান সেক্রেটারিয়েটের আইসিটি ও ট্যুরিজম বিভাগের সহকারী পরিচালক ড. লি কুয়াং ল্যান বলেন, ডিজিটাল অর্থনৈতিক ইকোসিস্টেমের বিকাশ এমন একটি প্রক্রিয়া, যেখানে বেসরকারি খাতসহ বিভিন্ন খাতের অংশীজনদের সক্রিয় অংশগ্রহণ সম্পৃক্ত। এই প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের প্রচেষ্টায় হুয়াওয়ের এই আয়োজনকে সাধুবাদ জানাই।
প্যানেল আলোচনার সময় সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল কমিটি ফর প্যাসিফিক ইকোনমিক কোঅপারেশন (এসআইএনসিপিইসি) চেয়ারম্যান ড. ত্যান খি জিয়াপ বলেন, সরকারের কাজ হচ্ছে সেবা হিসেবে জনগণকে ডিজিটাল সক্ষমতা দেয়া, যেখানে হুয়াওয়ের মতো বেসরকারি আইসিটি প্রতিষ্ঠানগুলো মানসম্পন্ন কানেক্টিভিটির মাধ্যমে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে।
আতেনিও দে ম্যানিলা ইউনিভার্সিটির ড. আলভিন পি. অ্যাং বলেন, ডিজিটালাইজেশনের মৌলিক উপাদানের মধ্যে শিক্ষাব্যবস্থাকে অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। গ্রামাঞ্চলের মানুষদের অন্তত প্রাথমিক জ্ঞান প্রদানের মাধ্যমে প্রযুক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্য বিধানের সুযোগ করে দিতে হবে। এমবিগেন কনসাল্টিং ফিলিপাইনের সিওও এবং করপোরেট ফোরসাইটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অধ্যাপক হোসে ডেকোলংগন বলেন, ব্যবসার ডিজিটাল দিক উন্মোচনের ফলে সৃষ্ট সুযোগগুলো অনুধাবনের জন্য মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের ডিজিটালাইজেশন সম্পর্কে জানতে হবে। এখানেই হুয়াওয়ের মতো টেলিকম প্রতিষ্ঠান ও আমাদের স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
ইনস্টিটিউট ফর ব্র্যান্ড স্ট্যাটেজি এন্ড কম্পিটিশনের পরিচালক ড. ভো ত্রি থান বলেন, ভিয়েতনাম চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মোকাবিলার সন্ধিক্ষণে রয়েছে। আমাদের অর্থনীতি অত্যন্ত উন্মুক্ত, যা উদ্ভাবন এবং টেকসই বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। যেখানে হুয়াওয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়