চট্টগ্রাম অফিস : আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা রাবেয়া আক্তার নেহা (২৩) একজন পেশাদার চোর। অন্তঃসত্ত্বা হওয়াকে পুঁজি করে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বাসাবাড়িতে ঢুকে চুরি করেন তিনি। ধরা পড়লে অন্তঃসত্ত্বার কারণে সহানুভূতি পেয়ে ছাড়াও পেয়ে যান তিনি। খুব ভোরে, যখন অনেকে নামাজ পড়তে বা ব্যায়াম করতে বাইরে যান, তখন অনেক বাসা অসাবধানতাবশত খোলা থাকে। ঠিক তখনই এই নারী চুরি করে পালিয়ে যান। চার মাস আগে আরো একবার একই অপরাধে গ্রেপ্তার হন রাবেয়া। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় পুলিশের হাতে দুইবার গ্রেপ্তার হলেও এলাকাবাসীর হাতে ধরা পড়েন আরো চারবার। কিন্তু প্রতিবারই এই ‘অন্তঃসত্ত্বা’ থাকার জন্য সহানুভূতি পান তিনি। তবে সেই সহানুভূতিকে পুঁজি করেই চুরি করেন তিনি। তবে এবার চুরি করে চলে যাওয়ার সময় তাকে কেউ সন্দেহ না করলেও সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়ে যায় তার চুরি।
গতকাল সোমবার সকালে নগরীর ডবলমুরিং থানাধীন আগ্রাবাদ মৌলভীপাড়া মানিক ম্যানশন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ডবলমুরিং থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, রাবেয়া চট্টগ্রামের অন্যতম শীর্ষ চোর। তিনি চুরি করেন খুবই ভোরে। সে সময় অনেকে নামাজ পড়তে বা ব্যায়াম করতে যান। তাই অনেক বাসা অসাবধানতাবশত খোলা থাকে। তখনই তিনি চুরি করে পালিয়ে যান। গতকাল ভোরে মানিক ম্যানশনে একটি বাসা থেকে মোবাইল ও কাপড় চুরি হয়। পরে এলাকাবাসী সিসিটিভি ফুটেজে রাবেয়াকে শনাক্ত করে ৯৯৯ এ ফোন দিলে পুলিশ তাকে আটক করে এবং চুরিকৃত মালামাল উদ্ধার করে। গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাবেয়া পুলিশকে জানান, তিনি এই কায়দায় শতাধিক চুরি করেছেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ধরা না পড়ায় তার বিরুদ্ধে মামলা মাত্র ৪টি। পুরো চট্টগ্রামেই তিনি চুরি করেন। বর্তমানে তিনি আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এটা তার চুরিতে বাধা হওয়ার কথা থাকলেও তিনি এটাকেই করেছেন পুঁজি! গর্ভবতী হওয়ায় সহজেই কেউ সন্দেহ করে না। আবার ধরা পড়ে গেলেও আলাদা সহানুভূতি কাজ করে। তাই এ অবস্থায়ও তিনি চুরি থামাননি! এই অবস্থায়ও চুরি করেছেন ৮বার! তার মধ্যে এলাকাবাসীর কাছে ধরা পড়লেও ‘সহানুভূতি’ পেয়ে ছাড়া পান। সর্বশেষ চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় মার্চে ডবলমুরিং থানায় আরো একবার গ্রেপ্তার হন তিনি। গ্রেপ্তার রাবেয়া রাউজানের কৈইয়া পাড়া এলাকার জয়নাল আবেদিনের মেয়ে। তার স্বামীর নাম রাকিব।