জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় : প্রক্টর ড. মোস্তফা কামালের মেয়াদ বাড়ল

আগের সংবাদ

গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে প্রধানমন্ত্রী : কেউ গৃহহীন থাকবে না

পরের সংবাদ

অতিরিক্ত ভাড়া আদায় : শ্রীপুরে মহাসড়ক অবরোধ পোশাক শ্রমিকদের

প্রকাশিত: আগস্ট ৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

নাসির উদ্দিন জর্জ, শ্রীপুর (গাজীপুর) থেকে : অতিরিক্ত ভাড়া ও সড়কে পর্যাপ্ত গণপরিবহন না থাকায় বিভিন্ন পোশাক কারখানার শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করেন। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ৭টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের শ্রীপুর উপজেলার ২নং সিএন্ডবি এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকরা। এ সময় সড়কের উভয় পাশে ছোট ছোট যানবাহন আটকা পড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে অন্যান্য পোশাক কারখানার গাড়ি আটকা পড়ে অফিসে যেতে বিলম্ব হয়। মাস্টারবাড়ী এলাকার প্যারামাউন্ট কারখানার অপারেটর আব্দুল জলিল, ডেনিমেক্স কারখানার বারটেক অপারেটর উজ্জ্বল মিয়া, বহেরারাচালা এলাকার টি-ডিজাইন কারখানার প্যাকিং অপারেটর শহিদুল ইসলাম, বেড়াইদেরচালা এলাকার ডিজাইনন্টেক্স কারখানার কোয়ালিটি সেকশনের কেয়া খাতুনসহ তাদের সহকর্মী অন্য শ্রমিকরা জানান, সরকার সব কারখানা খুলে দিয়ে গণপরিবহন বন্ধ করে রেখেছে। এতে সড়কে গণপরিবহন না পাওয়ার কারণে আমরা সময়মতো অফিসে যেতে পারি না।
যেসব ছোট ছোট পরিবহন সিএনজি, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা পাওয়া যায় তারা ১০ টাকার ভাড়া ৩০ টাকা করে তিন গুণ নিচ্ছে। শ্রীপুর পৌরসভার মাস্টারবাড়ী থেকে নয়নপুর এলাকার ডেক্কু গার্মেন্টসে চাকরি করেন রফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, যেখানে প্রতিদিন নিয়মিত মাস্টারবাড়ী থেকে অফিস পর্যন্ত যেতে ২০ টাকা খরচ হতো এখন ৯০ থেকে ১০০ টাকা খরচ হচ্ছে। সিএনজি ও আটোচালকরা তাদের কাছ থেকে তিন থেকে চার গুণ অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে।
মাওনা হাইওয়ে থানার ওসি কামাল হোসেন ঘটনাস্থলে এসে আন্দোলনরত শ্রমিকদের ভাড়া বেশি না নেয়ার আশ্বাস দিলে তারা সকাল সাড়ে ৯টায় অবরোধ তুলে নেন।

জৈনা বাজার এলাকার এক পোশাক শ্রমকি মজিদ বেপারি বলেন, আমাদের সময়মতো অফিসে যেতে হবে। লেট করলে বেতন কেটে রাখবে কারখানা কর্তৃপক্ষ। অতিরিক্ত ভাড়া দিয়েই যেতে হচ্ছে। কার কাছে বলব আমাদের দুঃখের কথা। আমরা তো গার্মেন্টস শ্রমিক। তাই আমাদের কোনো মূল্য নাই।
শ্রমিকরা আরো বলেন, আমরা তাৎক্ষণিক ঘোষণা শুনে কোনোমতে বাড়ি থেকে এসে চাকরি বাঁচানোর জন্য কাজে যোগ দিচ্ছি। এখন আমাদের হাতে টাকা নেই। বাড়ি থেকে আসার সময় অতিরিক্ত ভাড়া দিয়েও বিড়ম্বনা মাথায় নিয়ে আসতে হয়েছে। এখন অফিসে যাওয়ার সময়ও প্রতিদিন এ বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। আমরা যাব কোথায়? আমাদের কথা শোনার কেউ নেই। সবাই খালি আমাদের আশ্বাস দেন। গার্মেন্টসে চাকরি করে বলে কী আমাদের সরকারের মানুষ মনে হয় না?

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়