হেফাজতের সহিংসতা : এজাহারনামীয় এক আসামি গ্রেপ্তার

আগের সংবাদ

বোল্টের সিংহাসনে বসলেন জ্যাকবস

পরের সংবাদ

মেজর সিনহা হত্যা মামলা : লকডাউনের পর দ্রুত বিচার চায় পরিবার

প্রকাশিত: আগস্ট ১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় মহামারি নিয়ন্ত্রণে লকডাউনে সাক্ষ্যগ্রহণ আটকে গেলেও আদালতের কার্যক্রম স্বাভাবিক হলে দ্রুত বিচার কাজ দেখতে চায় তার পরিবার। হত্যাকাণ্ডের এক বছরের মাথায় মামলার বাদী সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস গতকাল শনিবার বলেন, লকডাউন উঠে গেলে আদালতের কার্যক্রম স্বাভাবিক হলে বিচার কাজ দ্রুতই শেষ হবে আশা করি। আমাদের প্রত্যাশা লকডাউন শেষে দ্রুততার সঙ্গে সাক্ষ্য শেষ হবে। মহামারির কারণে লকডাউন দীর্ঘ হলে মামলার বিচার কাজেও ধীরতা আসতে পারে। এ সময়ে সাক্ষীদের সুরক্ষা দেয়া প্রয়োজন।
এই মামলায় গত ২৬, ২৭ ও ২৮ জুলাই সাক্ষ্য গ্রহণের দিন থাকলেও করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চলমান লকডাউনে আদালতের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় সাক্ষ্য গ্রহণ হয়নি। তবে এক বছরে অভিযোগ গঠন হয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে আসায় সন্তোষ জানিয়ে শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বলেন, হত্যাকাণ্ডের পর থেকে চার্জশিট দেয়ার সময় পর্যন্ত খুব দ্রুতই মামলার কার্যক্রম এগিয়েছে। পরবর্তী সময়ে করোনা ভাইরাস মহামারির ফলে দেয়া লকডাউন ও অন্যান্য কারণে কিছুটা দেরি হয়েছে। এরপরও এক বছরে অভিযোগ গঠন হয়ে সাক্ষ্যগ্রহণের পর্যায়ে এসেছে।
সেনাবাহিনী থেকে অবসরে যাওয়া সিনহা ‘লেটস গো’ নামে একটি ভ্রমণবিষয়ক ডকুমেন্টারি বানানোর জন্য কক্সবাজারের হিমছড়ি এলাকায় গিয়েছিলেন। গত বছরের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরে এপিবিএন চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা।
গত বছর ১৩ ডিসেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাব-১৫-তে দায়িত্বরত সহকারী পুলিশ সুপার মো. খায়রুল ইসলাম আলোচিত এ মামলায় ১৫ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
আসামিরা হলেন : টেকনাফ থানার সে সময়ের পরিদর্শক লিয়াকত আলী, টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল-মামুন, মোহাম্মদ মোস্তফা, এপিবিএনের তিন সদস্য এসআই মোহাম্মদ শাহজাহান, কনস্টেবল মোহাম্মদ রাজীব ও মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, পুলিশের মামলার তিন সাক্ষী নুরুল আমিন, নেজাম উদ্দিন ও মোহাম্মদ আয়াজ, টেকনাফ থানার সাবেক কনস্টেবল রুবেল শর্মা এবং সাবেক এএসআই সাগর দেব।
মামলায় গ্রেপ্তার ১৪ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। তাদের মধ্যে ওসি প্রদীপ ও কনস্টেবল রুবেল ছাড়া ১২ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
গ্রেপ্তার হওয়ার পর ওসি প্রদীপ, পরিদর্শক লিয়াকতসহ গ্রেপ্তার পুলিশ সদস্যদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। কক্সবাজারের পুলিশকে নতুন করে সাজানো হয়। এসপি থেকে কনস্টেবল- প্রায় সব পুলিশ সদস্যকে বদলি করা হয় অন্য জেলায়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়