হেফাজতের সহিংসতা : এজাহারনামীয় এক আসামি গ্রেপ্তার

আগের সংবাদ

বোল্টের সিংহাসনে বসলেন জ্যাকবস

পরের সংবাদ

গণপরিবহন চলবে আজ দুপুর পর্যন্ত

প্রকাশিত: আগস্ট ১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান বলেছেন, গার্মেন্টসহ কলকারখানার শ্রমিকদের কর্মস্থলে ফেরার সুবিধার্থে আজ রবিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে চলবে সব ধরনের গণপরিবহন। শ্রমিকদের স্বার্থে সরকার গণপরিবহন চলাচল শিথিল করেছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) জানিয়েছে, দুপুর ১২টা পর্যন্ত দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সব জেলায় এবং শিমুলিয়া-বাংলাবাজার, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল করবে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক।
এদিকে কঠোর বিধিনিষেধ চলাকালে শ্রমিকদের গ্রামে অবস্থানের অনুরোধ জানিয়েছে তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স এন্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশন (বিজিএমইএ)। গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি ফারুক হাসান কারখানা মালিকদের উদ্দেশে বলেন, বিধিনিষেধ পুরোপুরি প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত গ্রামে অবস্থানরত কোনো শ্রমিক-কর্মচারী কাজে যোগ দিতে না পারলে তার বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেয়া যাবে না। কারখানার আশপাশে অবস্থানরত শ্রমিকদের নিয়ে উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সদস্যদের আহ্বান জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার বিকালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব মো. রেজাউল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ১ আগস্ট সকাল ৬টা থেকে রপ্তানিমুখী সব শিল্পকারখানা বিধিনিষেধের আওতাবহির্ভূত রাখা হলো। এ ঘোষণার পর গতকাল শনিবার সকাল থেকেই ঢাকামুখী শ্রমিকদের ঢল নামে।
গত বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে দ্রুত দেশের রপ্তানি খাতসহ সব উৎপাদনমুখী শিল্পকারখানা স্বাস্থ্যবিধি মেনে খুলে দেয়ার দাবি জানায় ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই)। সাক্ষাতের পর এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, করোনায় বিধিনিষেধের আওতায় সব শিল্পকারখানা বন্ধ রাখায় অর্থনৈতিক কার্যক্রমের প্রাণশক্তি উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ফলে সাপ্লাই চেইন (সরবরাহ ব্যবস্থা) সম্পূর্ণভাবে ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এতে উৎপাদন থেকে ভোক্তা পর্যন্ত প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। রপ্তানি আদেশ বাতিল হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই কারখানা খুলে দেয়ার দাবি জানিয়েছি আমরা।
প্রসঙ্গত, করোনা ভাইরাস সংক্রমণরোধে গত ২৩ জুলাই থেকে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার, যা চলবে আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত। বিধিনিষেধ চলাকালে দেশের সব শিল্পকারখানা বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। তবে ঈদের পর থেকেই কারখানা খোলার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে আসছিলেন শিল্পকারখানার মালিকরা। ওই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গার্মেন্টসসহ রপ্তানিমুখী শিল্পকারখানা স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলার সিদ্ধান্ত দেয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়