ইয়েস, বাট নট নাউ

আগের সংবাদ

যে কারণে বাড়ছে ইসলামী ব্যাংকিং

পরের সংবাদ

জয়ন্তর জন্মদিনে ‘হীরকজয়ন্তÍী’ উৎসব

প্রকাশিত: জুলাই ২৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুলাই ২৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বিনোদন প্রতিবেদক : আজ আবৃত্তি ও অভিনয়শিল্পী জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়ের ৭৬তম জন্মদিন। ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে দুদিনব্যাপী নানান আয়োজনের মধ্য দিয়ে তার জন্মদিন বিশেষভাবে উদযাপন করছে ‘বাংলাদেশ আবৃত্তিশিল্পী সংসদ ও জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় হীরকজয়ন্তী উদ্যাপন পরিষদ’। এ উপলক্ষে আজ এবং আগামীকাল দুদিনের কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। করোনা মহামারি বিবেচনায় আয়োজনটি অনলাইনে বাংলাদেশ আবৃত্তিশিল্পী সংসদের ফেসবুক পেইজ ও ইউটিউব চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচারিত হবে। আজ বিকাল ৫টায় রয়েছে উদ্বোধনী আয়োজন। এ সময় জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়কে শুভেচ্ছা জানাবেন দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্টজনরা। এদিন রাত ৮টায় জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়ের লেখা থেকে আবৃত্তি করবেন দেশের বিশিষ্ট আবৃত্তিশিল্পীরা।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিন বিকেল ৫টায় রয়েছে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের বাংলাভাষী জনপ্রিয় ও নন্দিত আবৃত্তিশিল্পীদের পরিবেশনায় জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়ের কবিতা আবৃত্তি। জন্মদিনকে ঘিরে কোনো বিশেষ আয়োজন নেই বলেই জানিয়েছেন জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘আসলে সব সময় নিজেকে ৩৩ বছরের একজন মানুষ মনেকরি। আজ ৩৪-এ পা রাখব। কেউ কেউ খবর রটিয়ে বেড়াচ্ছে যে আমি ৭৬ এ পা রাখছি; হা হা হা। যাইহোক, আমি আমার বাবা কালিকানন্দ চট্টোপাধ্যায় ও মা ¯েœহলতা দেবীর যৌথ ভালোবাসার ফসল। আর মানুষের ভালোবাসা আমাকে আজ এতদূর নিয়ে এসেছে। একজন শিল্পী হিসেবে আমি এখনো অতৃপ্ত। অর্থাৎ আমার মাঝে অতৃপ্তি রয়ে গেছে, সেটা আবৃত্তিতেও, অভিনয়েও। আমি আজীবন একজন শিক্ষার্থী। জন্মদিনে সবার কাছে আশীর্বাদ চাই যেন সুস্থ থাকি ভালো থাকি।’
দেশের বাইরে তিনিই সর্বপ্রথম কলকাতায় একক আবৃত্তি অনুষ্ঠান করেন। ১৯৬৯ সালে লেনিনের জন্মশতবার্ষিকীতে রঞ্জি ইনডোর স্টেডিয়ামে তিনি নজরুল-তনয় কাজী সব্যসাচীর সঙ্গে দ্বৈত ও একক আবৃত্তি করেন। ভারত-বাংলাদেশের পাশাপাশি তিনি ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, স্কটল্যান্ডসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে একক আবৃত্তি অনুষ্ঠান করেছেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়। আবৃত্তিকার হিসেবে তিনি শিল্পকলা পদক, গোলাম মুস্তফা পদক, নরেন বিশ্বাস পদকসহ অনেক সম্মাননা অর্জন করেছেন। এর পাশাপাশি সত্তরের দশক থেকেই টিভি নাটকে অভিনয় করছেন জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়। গুরু আলমগীর কবিরের সান্নিধ্যে এসে চলচ্চিত্রের প্রেমে পড়েন, অভিনয়ের প্রতি নিমগ্ন সাধনায় ব্রতী হন। আশির দশকের মাঝামাঝি মোরশেদুল ইসলামের স্বল্পদৈর্ঘ্য ‘সূচনা’তে একটি চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে সিনেমায় তার প্রথম আত্মপ্রকাশ। এরপর তারেক মাসুদের ‘মাটির ময়না’, ‘রানওয়ে’, হুমায়ূন আহমেদের ‘ঘেঁটুপুত্র কমলা’, ‘নয় নম্বর বিপদ সংকেত’সহ কয়েকটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র এবং অসংখ্য টেলিভিশন নাটকে অভিনয় করেছেন জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়। জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় ১৯৭৭ সালে বাংলাদেশে প্রথম দর্শনীর বিনিময়ে একক আবৃত্তি অনুষ্ঠান করেন। বাংলাদেশে বৃন্দ আবৃত্তির (কয়্যার) সূচনা করেন তিনি। এছাড়া বাংলাদেশ, ভারত, ফ্রান্স, ব্রিটেন, স্কটল্যান্ড, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পৃথিবীর অনেক দেশে দর্শনীর বিনিময়ে ১৪টি একক আবৃত্তির অনুষ্ঠান করেছেন। বহুমাত্রিক গুণের অধিকারী এই মানুষটি কিছুদিন ধরে লেখালেখিও করছেন। ইতোমধ্যে তার আপনি, তুমি, তুই, আমি এবং কবি ও তুমি- শিরোনামে ৫টি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে এবং পূর্বাহ্ণ, মধ্যাহ্ন, অপরাহ্ন ও মহাকাব্যিক কল্পকথা- শিরোনামে ৪টি বই প্রকাশের অপেক্ষায়। তার গ্রন্থগুলো ইতোমধ্যে পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়