হৃত মর্যাদা ফেরত! : কাশ্মিরের নেতাদের সঙ্গে বিশেষ বৈঠক নরেন্দ্র মোদির

আগের সংবাদ

বাদলা দিন আসছে!

পরের সংবাদ

সিনেমায় ‘স্টিফেন হকিং’

প্রকাশিত: জুন ২৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

এ ব্রিফ হিস্ট্রি অব টাইম
স্টিফেন হকিংয়ের বিখ্যাত বই ‘এ ব্রিফ হিস্ট্রি অব টাইম’-এর শিরোনামে ১৯৯১ সালে বানানো হয়েছিল একটি জীবনীভিত্তিক ডকুমেন্টারি। এই ডকুতেই প্রথমবারের মতো হকিংকে তুলে আনা হয় সেলুলয়েডে। ১২০ মিনিট ব্যাপ্তির এই ছবিতে হকিংসহ তার নিকটজনদের বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে বিস্তারিত কথা উঠে আসে।

হকিং
২০০৪ সালে ‘হকিং’ শিরোনামে একটি টিভি সিরিজ নির্মাণ করে বিবিসি। টেলিভিশন ফিল্মটিতে হকিংয়ের ভ‚মিকায় অভিনয় করেন অস্কার মনোনয়ন পাওয়া অভিনেতা বেনেডিক্ট কাম্বারব্যাচ। ছবিটিতে হকিং যখন ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতেন সে সময়ের ঘটনাগুলো দেখানো হয়। ছবিতে হকিংয়ের প্রেমিকা জেন ওয়াইল্ডের ভ‚মিকায় অভিনয় করেন লিসা ডিলন।

বিয়ন্ড দ্য হরাইজন
এই সিনেমার গল্প অলিভিয়া নামের একজন সাংবাদিককে নিয়ে, যিনি কসমোলজি ও অস্তিত্ববাদ নিয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করতে হকিংয়ের সাক্ষাৎকার নিতে যান। পরে তাদের আলোচনায় উঠে আসে সময় এবং মহাবিশ্ব সম্পর্কিত নানা গুরুত্বপূর্ণ তত্ত¡। ব্রুস নেইবরের পরিচালনায় এই ডকুতেও হকিং নিজে অভিনয় করেন, আর অলিভিয়া চরিত্রে দেখা যায় জসি গ্যামেলকে।

এ ব্রিফ হিস্ট্রি অব মাইন
হকিংয়ের শৈশব ও কৈশোরের গুরুত্বপূর্ণ সব ঘটনা এবং দুরারোগ্য ব্যাধির সঙ্গে তার লড়াইয়ের ঘটনাগুলো দেখানো হয় এই ডকুমেন্টারিতে। এখানেও হকিং নিজেই ক্যামেরার সামনে শেষ বয়সের দৃশ্যগুলোর কাজ করেন। স্টিফেন ফিনিং পরিচালিত এই ‘হকিং’ ডকুর আরেকটি নামই ‘এ ব্রিফ হিস্ট্রি অব মাইন’।
দ্য থিওরি অব এভরিথিং
স্টিফেন হকিংয়ের জীবনী নিয়ে এই সিনেমা বানানো হয় ২০১৪ সালে। ‘দ্য থিওরি অব এভরিথিং’ শিরোনামের ওই ছবিতে স্টিফেন হকিং চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইডি রেডমাইন। অভিনয়ে নিখুঁতভাবে স্টিফেন হকিংয়ের জীবন ফুটিয়ে তোলায় অস্কারও জিতেছিলেন এই অভিনেতা। স্টিফেন হকিং নিজেও মুগ্ধ হয়েছেন ইডি রেডমাইনের অভিনয়ে। ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার সময় তিনি তার স্ত্রী জেন ওয়াইন্ডের সঙ্গে পরিচিত হন। স্টিফেন হকিংয়ের মোটরনিউরন ডিজিজ থাকা সত্তে¡ও তাদের ভালোবাসাকে চ‚ড়ান্ত রূপ দিতে ১৯৮১ সালে ওয়াইন্ডের সঙ্গে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন। পরবর্তী সময়ে ‘বিগ ব্যাং থিওরি’ নিয়ে গবেষণার সময় তিনি প্রচণ্ড অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং হুইল চেয়ারে থেকে তার গবেষণার কার্যক্রম চালিয়ে যান।
এই কঠিন মুহ‚র্তে তার স্ত্রী পাশে থেকে অনুপ্রেরণা জোগান। নানা ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে সিনেমার গল্পটি এগিয়ে যায়। সিনেমাটিতে স্টিফেন হকিংয়ের স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফেলিসিটি জোনস। ১২৩ মিনিটের এই ছবির চিত্রনাট্য লিখেছেন অ্যান্থনি ম্যাককার্টেন।
২০১৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এ সিনেমাটির পরিচালক জেমস মার্শ জিতে নেন ব্যবসায়িক সাফল্যসহ অসংখ্য পুরস্কার। এছাড়াও স্টিফেন হকিংয়ের চরিত্রে অভিনয়কারী ইডি রেডমেইনের কাজ সমাদৃত হয় এবং তিনি বিভিন্ন পুরস্কারের পাশাপাশি শ্রেষ্ঠ অভিনেতার জন্য একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন।
কেবল এই পাঁচটি সিনেমাই নয়, চলচ্চিত্রবিষয়ক ওয়েবসাইট আইএমডিবির তথ্য মতে, স্টিফেন হকিং অভিনয় করেছেন নয়টি সিনেমা আর ডকুমেন্টারিতে।
এ ছাড়াও এই মহান বিজ্ঞানীর ধারণা বা চিন্তা ব্যবহার করে বানানো ৭২টি সিনেমায় তাকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়েছে। হকিংয়ের লেখা ব্যবহার করা হয়েছে পাঁচটি সিনেমায়। এ ছাড়াও তিনি পর্দায় স্বশরীরে এসেছেন কমপক্ষে ৭৪ বার।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়