১০০ পর্বে ‘জমিদার বাড়ী’

আগের সংবাদ

টাকা পাচার হয় পাঁচ কারণে ** ৩৬ দেশে পাচার হচ্ছে টাকা, সবচেয়ে বেশি ১০ দেশে ** হাতেগোনা মামলা হলেও আটকে আছে আইনি জটিলতায় **

পরের সংবাদ

বিও হিসাবে টাকা রাখলে মিলবে সুদ

প্রকাশিত: জুন ২৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীরা বিও হিসাবে টাকা রাখলে সুদ পাবেন। তবে সব বিনিয়োগকারী এই সুদ পাবেন না। যে বিনিয়োগকারী তার বিও হিসাবে আর্থিক বছরের ন্যূনতম এক মাস ধারাবাহিকভাবে ১ লাখ টাকার ক্রেডিট ব্যালেন্স রাখবেন, তিনি সুদ আয় পাওয়ার যোগ্য হবেন। এছাড়া কোনো গ্রাহকের হিসাবে এক আর্থিক বছরে কমপক্ষে ৫০০ টাকা সুদ আয় জমা হলে, তিনি সুদ আয় পাবেন। ব্রোকারেজ হাউসে বিও হিসাবে জমা করা অর্থের বিপরীতে যে সুদ আয় হয়, তা বিনিয়োগকারীদের মাঝে বিতরণের নির্দেশ দিয়ে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা সোমবার জারি করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম এ নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ব্রোকারেজ হাউসগুলো সমন্বিত গ্রাহক হিসাবে জমা করা অর্থের কারণে ব্যাংক থেকে যে সুদ অর্জিত হয়, তা বিনিয়োগকারীদের মাঝে আনুপাতিক হারে বিতরণ করতে হবে। তারপরও কোনো অবণ্টিত সুদ থাকলে, তা স্টক এক্সচেঞ্জের বিনিয়োগকারী প্রটেকশন ফান্ডে জমা দিতে হবে, যা প্রতি অর্থবছর শেষ হওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে দিতে হবে। এজন্য প্রতিটি ব্রোকারেজ হাউসকে সমন্বিত গ্রাহক হিসাব রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। তবে এই হিসাবের কোনো অর্থ ফিক্সড ডিপোজিট করা যাবে না।
এদিকে মাসিক ভিত্তিতে প্রতিটি স্টেকহোল্ডার কোম্পানির সমন্বিত গ্রাহক হিসাব তদারকির জন্য ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জকে (সিএসই) নির্দেশ দিয়েছে বিএসইসি। দুই স্টক এক্সচেঞ্জকে পাঠানো এ সংক্রান্ত চিঠিতে স্ট্রেকহোল্ডার কোম্পানির সমন্বিত গ্রাহক তদারকিতে ব্যাংক স্টেটমেন্টসহ আনুষঙ্গিক ডকুমেন্টস মাসিক ভিত্তিতে যাচাই করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। চিঠিতে আরো বলা হয়েছে, সেই সঙ্গে সমন্বিত গ্রাহক হিসাব তদারকিতে ব্যাংক স্টেটমেন্ট, চেক, গ্রাহকের পাওনা, হাতে নগদ অর্থ, স্টক এক্সচেঞ্জের পাওনা এবং স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে পাওনা যাচাই করতে হবে। সমন্বিত গ্রাহক হিসাবে পজেটিভ ব্যালেন্স থাকা সত্তে¡ও উল্লেখিত বিষয়ে কোনো সন্দেহ তৈরি হলে, স্টক এক্সচেঞ্জকে দ্রুত তদন্ত করে ১০ দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট কমিশনে জমা দিতে হবে।
সম্প্রতি বানকো সিকিউরিটিজে গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের ঘটনার পরে বিএসইসি এই উদ্যোগ নিল। এই ব্রোকারেজ হাউসটিতে গ্রাহকদের সমন্বিত হিসাবে ৬০ কোটি টাকার ঘাটতি রয়েছে বলে দাবি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষের। যে কারণে হাউসটির লেনদেন কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়