×

জাতীয়

ছবিগুলো পেলে মুশতাককে লাথি দিয়ে চলে আসতাম: তিশা (ভিডিও)

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০২:২৪ পিএম

ছবিগুলো পেলে মুশতাককে লাথি দিয়ে চলে আসতাম: তিশা (ভিডিও)

খন্দকার মুশতাক আহমেদের কাছে তিশার কিছু অশ্লীল ছবি আছে। ছবিগুলো পেলে মুশতাককে ছেড়ে বাবা-মায়ের কাছে ফিরে যেতেন বলে  জানিয়েছেন রাজধানী ঢাকার মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী সিনথিয়া ইসলাম তিশা। 

সম্প্রতি বইমেলায় এই দম্পতিকে ঘিরে কয়েকটি ঘটনা ও কিছু সাক্ষাৎকার ভাইরাল হওয়ার পর তাদের নিয়ে মুখ খুলেছেন তিশার বাবা সাইফুল ইসলাম। তার মেয়েকে ফাঁসানো হয়েছে দাবি করে মুশতাকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ সামনে এনেছেন। একইসঙ্গে মেয়ে তিশাকে বাড়িতে ফিরে আসার আকুতি জানিয়েছেন বাবা সাইফুল ইসলাম।

তিশাকে উদ্দেশ্য করে বাবা সাইফুল ফেসবুক লাইভে বলেন, আমি মুশতাকের ছায়াটাও দেখতে চাই না। মুশতাকের নামটা শুনলে আমার ওজুটাও নষ্ট হয়ে যায়। আম্মু তুমি আমার কাছে ফিরে এসো, কোনো কারণে যদি ট্রেন লাইনচ্যুত হয়, সেটার আবার লাইনে তুলে সামনে আগানো যায়। তুমি আমার কাছে ফিরে এসো, মুশতাকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।  

তিনি আরো বলেন, একটা মেয়ে কতটা জিম্মি হলে বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারে। তিশাকে খুব রেস্ট্রিকসনে রাখে, তাকে মোবাইলেও কথা বলতে দেয় না। কথা বলতে দিলে মুশতাক পাশে বসে থাকে। একদিন আমার স্ত্রী তিশাকে বলছিল, মুশতাকের কাছ থেকে না এলে তোমার জীবনটা ধ্বংস হয়ে যাবে? জবাবে তিশা বলেন, আম্মু আমার অনেক অশ্লীল ছবি ওর (মুশতাক) কাছে আছে। ছবিগুলো দিলে লাথি দিয়ে চলে আসতাম।   

বিয়ে প্রসঙ্গে তিশার বাবা বলেন, এটাকে আমি বিয়ে বলি না। এটাকে বিয়ে বললে ভুল হবে। তাকে (তিশা) ব্ল্যাকমেইল করা হয়েছে। একটি অশ্লীল ভিডিওর মাধ্যমে জিম্মি করে তাকে বাধ্য করে কাবিননামায় স্বাক্ষর করানো হয়েছে। আমার মেয়ে তিশা মেডিকেল বোর্ডের সামনে জবানবন্দি দিয়েছে। সে বলেছে যে, তাকে ব্ল্যাকমেইল করা হয়েছে। অশ্লীল ছবি ও ভিডিও করে তাকে কাবিননামায় স্বাক্ষর করতে বলে। সে রাজি না হলে তাকে বলে এগুলো ফেসবুকে ছেড়ে দেয়া হবে, টিসি দিয়ে কলেজ থেকে বের করে দেয়া হবে। সে (মুশতাক) কাবিননামায় স্বাক্ষর নিয়ে এখন এটাকে বিয়ে হিসেবে চালিয়ে দিয়েছে।

সাইফুল ইসলাম আরো বলেন, আমার মেয়ে যখন আইডিয়াল স্কুলের মুগদা শাখার দশম শ্রেণির ছাত্রী, তখন বিতর্ক প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠানে তার কুনজর পড়ে। তখন থেকেই সে (মুশতাক) আমার মেয়েকে আয়ত্ত্বে নেয়ার চেষ্টা করে। এর অংশ হিসেবে তার মেয়ের সঙ্গে আমার মেয়ের পরিচয় করিয়ে দেয়। মুশতাকের মেয়ের নাম তন্মিমা। তার সঙ্গে আমার মেয়ের বন্ধুত্ব করায়। তারপর তার মেয়ের মাধ্যমে আমার মেয়ের পেছনে টাকা খরচ করতে থাকে।


আরো পড়ুন: ঐশ্বরিয়াকে নির্যাতন করেছিলেন সালমান


তিনি আরো বলেন, মুশতাক একদিন এক ছেলেকে ভাড়া করে। ভাড়া করা ওই ছেলের সঙ্গে আমার মেয়ের ছবি তোলায় মুশতাক। এভাবে অন্তত ১০/১২ জনের সঙ্গে আমার মেয়ের অশ্লীল ছবি তুলে সে। তারপর ওই ছবিগুলো দিয়েই তাকে ব্ল্যাকমেইল করে। বিয়ের কাবিননামায় স্বাক্ষর দিয়েছে মুশতাকের বাসার কাজের লোক।

সাইফুল ইসলাম বলেন, মতিঝিল আইডিয়াল কলেজের রুমের মধ্যে আমার মেয়েকে কোলে নিয়ে নাচে মুশতাক। এই দায়ভার কলেজের প্রিন্সিপালও এড়াতে পারবে না। একটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কীভাবে এসব কাজ হয়? মুশতাক প্রিন্সিপালের ভালো বন্ধু। তাই প্রিন্সিপাল থেকে সে সহযোগিতা নেয়। তখন প্রিন্সিপাল আমার মেয়েকে ক্লাস থেকে ডেকে নিয়ে যায় তার রুমে। এভাবেই আমার মেয়েকে তারা ফাঁসায়।

উল্লেখ্য, সিনথিয়া ইসলাম তিশা ও খন্দকার মুশতাক আহমেদের অসম বয়সি বিয়ে নিয়ে সারাদেশে চলছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। ঢাকার একুশে বইমেলায় গিয়েও হেনস্তার শিকার হন এ দম্পতি। ১৮ বছরের তিশা বিয়ে করেছেন ৬০ বছরের খন্দকার মুশতাককে। মুশতাক মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সাবেক সদস্য ছিলেন। এখনো এ বিয়েকে মেনে নেয়নি তিশার পরিবার। শুধু তাই নয়, এ বিয়েকাণ্ড আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। এখনো বিষয়টি বিচারাধীন।


আরো পড়ুন: মাহির দ্বিতীয় সংসার ভাঙার কারণ কী (ভিডিও)

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App