×

সারাদেশ

পাইকগাছায় পাউবোর বেড়িবাঁধে ভাঙ্গন

ঝুঁকিতে ৩ ইউনিয়নের ৫০ হাজার মানুষ

Icon

তৃপ্তি রঞ্জন সেন, পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১০ মে ২০২৪, ০২:৫০ পিএম

ঝুঁকিতে ৩ ইউনিয়নের ৫০ হাজার মানুষ

ছবি: ভোরের কাগজ

খুলনার পাইকগাছার লস্কর ইউনিয়নের শিবসা নদীর আলমতলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রায় আধা কিলোমিটার ওয়াপদার বেড়িবাঁধের ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। বুধবার (৮ মে) থেকে সেটি ব্যাপক আকার ধারণ করে। আতঙ্কে রয়েছেন লস্কর, চাঁদখালী ও কয়রা উপজেলার আমাদি ইউনিয়নের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ।

স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন যেকোনো সময় বাঁধ ভেঙ্গে লবণ পানিতে প্লাবিত হয়ে ভেসে যাবে ৩টি ইউনিয়নের ১৯ টি গ্রাম। এতে শত শত চিংড়ি ঘের পানিতে ভেসে যাবে। বাড়ি ঘর ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হবে। ক্ষতি হবে কোটি কোটি টাকার সম্পদ। তাই দ্রুত বাঁধ নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। 

জানা যায়, গত এক বছর আগে উপজেলার লস্কর ইউনিয়নের শিবসা নদী সংলগ্ন আলমতলায় ওয়াপদার বেড়িবাঁধে ব্যাপক ভাঙ্গন দেখা দেয়। সেই সময় জাইকার অর্থায়নে একটি প্যাকেজে টেন্ডারের মাধ্যমে ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়। টেন্ডারটি পান ঢাকার উন্নয়ন ইন্টারন্যাশনাল। আর উন্নয়ন ইন্টারন্যাশনালের পক্ষে কাজটি করছেন আর-রাত কর্পোরেশন নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এলাকাবাসীর দাবী ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেন্ডার পাওয়ার পর থেকে প্রায় দেড় বছর ধরে ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় মাঝে মধ্যে কিছু জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙ্গন রোধে চেষ্টা করে। কিন্তু ভাঙ্গন রোধে মূল কাজটি আজও শুরু করেননি বলে অভিযোগ তুলেছেন তারা।

আরো পড়ুন: সিল মারা ব্যালট পেপারের সেলফি ফেসবুকে পোস্ট

এ বিষয়ে লস্কর ইউপি চেয়ারম্যান কেএম আরিফুজ্জামান তুহিন বলেন, আমার ইউনিয়নে শিবসা নদী সংলগ্ন আলমতলায় প্রায় এক যুগ আগে ভাঙ্গন শুরু হয়। ভাঙ্গনের কারণে স্থানীয় একটি বাজার নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড কয়েকবার বিকল্প বেড়িবাঁধ তৈরি করেছে। সর্বশেষ বিগত ২০২৩ সালে এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে ও কোটি কোটি টাকার সম্পদ বাঁচাতে সরকার জাইকার অর্থায়নে ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়। ৫০ কোটির টাকার বরাদ্দর মধ্যে রয়েছে গড়ইখালীর খুদখালী, লস্করের বাইনতলা সুইচ গেট ও আলমতলার ওয়াপদার টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি আজও কাজ শেষ না করায় হুমকির মুখে পড়েছে তিনটি ইউনিয়নের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। 

পাশাপাশি এই ভাঙ্গনের পাশে রয়েছে বৃহত্তর কৃষি কলেজ ও চিত্ত বিনোদনের পার্ক। তাই ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বাঁধ নির্মানে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তিনি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের পাইকগাছা শাখার উপসহকারি প্রকৌশলী রাজু হাওলাদার জানান, আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই ভাঙ্গন কবলিত স্থানে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের কাজ শেষ করার কথা রয়েছে। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটটি ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় গভীরতার দোহাই দিয়ে ধীর গতিতে কাজ করছে। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। 

এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী-২ আশরাফুল আলম জানান, বিষয়টি শুনেছি ও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা হয়েছে। ভাঙ্গন কবলিত এলাকা প্রাথমিক ভাবে সংস্কার করা হচ্ছে এবং এক সপ্তাহের মধ্যে মূল কাজটি শুরু করা হবে বলে তারা জানিয়েছেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App