×

সারাদেশ

ইউপি চেয়ারম্যানের কাণ্ড

সিল মারা ব্যালট পেপারের সেলফি ফেসবুকে পোস্ট

Icon

তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১০ মে ২০২৪, ০১:২৮ পিএম

সিল মারা ব্যালট পেপারের সেলফি ফেসবুকে পোস্ট

ছবি: ভোরের কাগজ

তেঁতুলিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে গোপন কক্ষে সিল মারা ব্যালট পেপার হাতে নিয়ে সেলফি তুলেছেন ইউপি চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা আশরাফুল ইসলাম। সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার ব্যক্তিগত আইডিতে পোস্ট করেন। এছাড়াও অন্যান্য বিভিন্ন আইডিতেও সেই ছবি দিয়েও কমেন্ট করেছেন তিনি। তবে কয়েক ঘন্টার পর আইডি থেকে সেই পোস্টটি সরিয়ে নেয়।  

গত ৮ মে (বুধবার) উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তেঁতুলিয়ার শালবাহান ইউনিয়নের মাঝিপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন তিনি। এসময় ভোটের গোপন কক্ষে ব্যালট পেপারে সিল মেরে মোবাইলে ব্যালটসহ নিজের সেলফি তুলেন। আশরাফুল ইসলাম উপজেলার শালবাহান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম আচরণ বিধি অমান্য করে মোবাইল নিয়ে ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করেন। এরপর ব্যালট পেপার নিয়ে ভোট দেয়ার গোপন কক্ষে গিয়ে ব্যালটে মোটরসাইকেল প্রতীকে সিল মেরে সেখানেই সিল মারা ব্যালটসহ সেলফি তুলেন তিনি। পরে বিকেলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের ব্যক্তিগত আইডিতে পোস্ট করেন। সেখানে দেখা যায়, তিনি সিল মারা ব্যালট এক হাতে ধরে আরেক হাতে সেলফিটি তুলেছেন এবং সেই ছবি আপলোড দিয়ে লিখেন 'ভালবাসা নেতার পিছনে যায় না, যায় ভালবাসার পিছনে'।

আরো পড়ুন: মিরসরাইয়ে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় আহত ৬

এর আগেও তিনি গত ৭ জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন ভোট কেন্দ্রে মোবাইল ফোন নিয়ে প্রবেশ করে ট্রাক প্রতীকে সিল মারা ব্যালটের ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করেন। যদিও ভোট কেন্দ্রে গোপন বুথে প্রকাশ্যে ভোট দেয়ার ছবি তোলা বেআইনি ও কোন ভোটার মোবাইল ফোন নিয়ে ভোট কক্ষে প্রবেশ ও ব্যবহার করা যাবে না বলে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ঘোষণা করা হয়েছে। তবে ভোট কেন্দ্রে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রিজাইটিং কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা থাকা অবস্থায় একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে কিভাবে এমন আইন ভঙ্গ করে মোবাইল ফোন দিয়ে গিয়ে ছবি তুললেন এ বিষয়টি নিয়ে নানা আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় শুরু হয়েছে স্থানীয় মানুষেদের মধ্যে। একজন ভোটার কর্তৃক এরুপ কর্মকাণ্ড উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা, ২০১৩ এবং উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ এর পরিপন্থি এবং শাস্তিযোগ্য একটি অপরাধ। 

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা শামীম হোসেন বলেন, ভোট কেন্দ্রে গোপন বুথে ভোট দেয়ার ছবি তোলা যাবে না। তিনি যে কাজটি করেছেন সেটি বেআইনি। তিনি এ কাজটি করতে পারেন না। যেটা করেছেন সেটা আইন বহির্ভূত কাজ। বিষয়টি আমি দেখতেছি।  

এদিকে তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফজলে রাব্বি জানান, একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্বশীল পদে থাকা অবস্থায় তিনি যে কাজটি করেছেন সেটি ঠিক নয়। বিষয়টি নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা দেখবেন। তবে, বিষয়টি আমাদের নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গে আমি উপজেলা নির্বাচন ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে অবগত করেছি। বিষয়টি তারা খতিয়ে দেখছেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App