×

স্বাস্থ্য

রোগীদের অভিযোগ ব্যবস্থাপনা নিয়ে

Icon

nakib

প্রকাশ: ১১ এপ্রিল ২০২০, ১১:৩৩ এএম

কোভিড-১৯ আক্রান্তদের চিকিৎসা দিতে সরকার রাজধানীর কয়েকটি হাসপাতালকে প্রস্তুত করেছে। তবে আক্রান্তদের অধিকাংশেরই চিকিৎসা হচ্ছে কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতাল ও কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে। লাফিয়ে লাফিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও ধীরগতিতে এগোচ্ছে সরকার নির্ধারিত অন্যান্য হাসপাতালের প্রস্তুতির কাজ। ওই দুই হাসপাতালের চিকিৎসা নিয়ে অভিযোগ আছে চিকিৎসা নেয়া আক্রান্ত ব্যক্তিদের। এই দুই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তিদের অভিযোগ অনেকেরই শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয় না। হাসপাতালে যারা আছেন তাদের ভাবখানা এমন যে তাদের বাঁচা-মরায় কারো কিছু যায় আসে না। সম্প্রতি এক বেসরকারি চ্যানেলের সাংবাদিক সপরিবারে করোনা আক্রান্ত হয়ে কুর্মিটোলা হাসপাতালে ভর্তি হন। এক সহকর্মীকে ফেসবুক ইনবক্সে সেখানকার অব্যবস্থাপনার কথা জানিয়ে আক্ষেপ করে বলেন, ‘সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পরও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যে ব্যবহার করেছে তাতে আমি আতঙ্কিত যে অন্য সবার কী অবস্থা তা ভেবে।’ গতকাল শুক্রবার অবশ্য তিনি ভোরের কাগজকে ফোনে জানান, তিনি এখন ভালো আছেন। একই হাসপাতালে ৭ এপ্রিল কোভিড-১৯ সংক্রমিত হয়ে ভর্তি হন মিরপুর টোলারবাগের বাসিন্দা সাখাওয়াত হোসেন স্বপন ও তার স্ত্রী সাহারা বেগম। তিনি বলেন, এই কয়েক দিনে ডাক্তারের তো দেখা পাই নাই। রুমের সামনে ওষুধ ও খাবার দিয়ে যায়। আমাদের এগিয়ে নিয়ে আসতে হয়। এই রোগের চিকিৎসার ধরনই হয়তো এমন। কিন্তু কেউ এখন পর্যন্ত শরীরের তাপমাত্রা মাপেনি। একবার এসে কেউ দেখেওনি। ভোরের কাগজকে ফোনে তিনি জানান, তার দুশ্চিন্তায় বিষয় ভিন্ন। তিনি বলেন, আমি আমার স্ত্রী সাহারা এবং বাসার গৃহপরিচারিকা মাসুমা যখন নমুনা দেই তখন আমাদের নমুনার নাম্বার ছিল যথাক্রমে ১৮০৫৬, ১৮০৫৫ এবং ১৮০৬১। আইইডিসিআর থেকে ফোনে আমার স্ত্রীকে জানায় আমি এবং সাহারা দুজন কোভিড-১৯ আক্রান্ত। মাসুমার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। হাসপাতালের ফাইলে আমার নাম এবং বাবার নাম ঠিক থাকলেও সেখানে নমুনা নাম্বার লেখা আছে ১৮০৬১ এবং নেগেটিভ। আমার দুশ্চিন্তা হলো- আমি পজিটিভ, নাকি নেগেটিভ? কাউকে যে এই কথাটা জিজ্ঞাস করব সেই পরিস্থিতিও নেই। কুয়েত-মৈত্রী হাসপাতালে গত ৫ এপ্রিল ভর্তি হন টোলারবাগের আরেক বাসিন্দা এম এম জালাল। ফোনে তিনি ভোরের কাগজকে জানান, গত তিন দিনে তিনিও চিকিৎসকের দেখা পাননি। তিন দিন আগে ব্লুাড ও ইউরিনের নমুনা নিয়ে গেলেও তার রিপোর্ট এখনো হাতে পাননি। এরই মধ্যে দুই ছেলের রিপোর্ট কোভিড-১৯ পজিটিভ এসেছে। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন তিনি। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক ওই হাসপাতালের এক চিকিৎসক বলেন, আমরা কী করব বলুন? আমরা চিকিৎসক। কোনো রোগী মারা যাক, তা আমরা চাই না। কিন্তু আমাদের হাত-পা বাঁধা। এখানে জনবল খুব কম। এন-৯৫ মাস্ক নাই। আমরা রোগীর কাছে যাব কীভাবে?

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App