×

পুরনো খবর

করোনার আতঙ্ক, শঙ্কা ও সংশয়

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮ এপ্রিল ২০২০, ০৭:১১ পিএম

করোনা এখন এমন একটা ইস্যু, যা যাবতীয় মাথাব্যথার অনেক ব্যাপার-স্যাপার থেকে অনেকের দৃষ্টি সরানোর সমূহ সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। করোনা মোকাবিলার নামে দেশে দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা, লকআউট, চলছে, চলবে এবং এ উপলক্ষে প্রচুর প্রণোদনা ও আয়-ব্যয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক সংস্থারা মোটা অঙ্কের অনুদান ও ঋণ তহবিল গড়ছে, দেশি-বিদেশি চিন্তা চৌবাচ্চারা ব্রেইন স্টর্মিংয়ের কাজ পেতে যাচ্ছেন। স্বল্প মেয়াদে যেমন মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদে করোনা অধিকাংশ অর্থনীতির জন্য সংকট-সর্বনাশ হলেও স্বাথসিন্ধ ও ভেদবুদ্ধি সম্পন্ন কতিপয়ের পৌষ মাস হবে।

করোনা একটি সংক্রমণ ভাইরাস। লাতিন শব্দ করোনা থেকে তার নাম রাখা হয়েছে, যার অর্থ মুকুট। কারণ ইলেকট্রন অণুবীক্ষণ যন্ত্রে এটিকে দেখতে অনেকটা মুকুটের মতো। ২০১৯ সালে ‘নোভেল করোনা ভাইরাস’-এর ভিত্তিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এর নাম দিয়েছে ‘কোভিড-১৯। এই মুহূর্তে বিশ্বের প্রায় ২০০ দেশে করোনার উপস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে এর প্রাদুর্ভাব নিয়ে বিশ্বব্যাপী মহাভাবনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। করোনায় আতঙ্ক সৃষ্টির কারণ- ১. এখনো এর কোনো প্রতিষেধক নেই এবং মহাদুর্ভাবনার এই মহামারি থেকে নিষ্কৃতি লাভের সময়সীমা অনিশ্চিত। ২. এটি মানুষের শ্বাসতন্ত্রের মতো অত্যন্ত সংবেদনশীল অঙ্গে সংক্রমিত হয়ে মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ৩. নির্ঘাত সংক্রমণের সম্ভাবনায় রোগীর সংস্পর্শে আসা তো দূরের কথা তার থেকে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান আবশ্যক হয়ে দাঁড়ায়, যে কারণে রোগীকে আইসোলেশনে রাখতে হয়। যা রোগীকে সেবা শুশ্রুষা ও সহানুভ‚তি পাওয়ার সর্বজনীন অধিকার বঞ্চিত করে। সে কারণে আক্রান্ত হওয়ার পরীক্ষা করার অনীহা তথা লুকিয়ে থাকা বা পালিয়ে বেড়ানো কিংবা রোগ প্রকাশ না করার প্রবণতা বাড়ে, এমনকি পরিবারের পক্ষ থেকে আপনজনের মৃত্যুর তথ্যটি পর্যন্ত সংগোপন রাখার চেষ্টা চলে, যা প্রকারান্তরে অত্যন্ত ছোঁয়াচে করোনা ভাইরাস সংক্রমণেরই বিস্তার ঘটায় এবং তা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা অধিকতর ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। ৪. করোনার প্রাদুর্ভাবে পণ্য ও সেবা খাতে উৎপাদন ও সরবরাহ পর্যায়ে যে অচলায়তন অস্থিরতা তৈরি হয় তাতে সব পর্যায়ে (বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষদের) জীবনযাত্রা নির্বাহ সমূহ সমস্যায় আপতিত হয়। ফলে ব্যক্তি, দেশ ও বিশ্ব অর্থনীতিতে ব্যাপক ব্যত্যয় ও বিপর্যয় সৃষ্টির আশঙ্কা প্রবল হয়ে ওঠে। ৫. উন্নত-অনুন্নত নির্বিশেষে পৃথিবীর প্রায় সব অর্থনীতিতে মহামারি আকারে করোনার প্রাদুর্ভাব প্রায়ই একযোগে এবং অর্থ-বিত্ত, জ্ঞান-বিজ্ঞান-প্রযুক্তিতে বাঘা বাঘা দেশ ও সমাজ কুপোকাত হওয়ায় বিপদে পারস্পরিক সহযোগিতার সুযোগ সংকুচিত এবং আশা-ভরসা হারিয়ে যাচ্ছে। করোনা এ পর্যন্ত প্রাদুর্ভাবিত ভাইরাসের মধ্যে সিনিয়র ও ক্রিটিক্যাল এবং এ মুহূর্তে ফেসবুক ও গুগল গংয়ের গণনায় বহুল উচ্চারিত। সার্স, মার্স, এবোলা, বার্ড ফ্লু- এরা ছিল আঞ্চলিক। তাদের বিস্তার ও বিপর্যয়-বিধ্বংসী ক্ষমতা এত দ্রুত বিশ্বব্যাপী আতঙ্ক সৃষ্টি ও আক্রমণ শানাতে পারেনি। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে পৃথিবীর প্রায় সব দেশ সফরের কর্মপরিকল্পনা করোনার। ইতোমধ্যে তার অপ্রতিরোধ্য প্রাদুর্ভাবে বহু দেশে বড় বড় উৎসব আয়োজন ‘পুনর্বিন্যাস’, সভা-সম্মেলন স্থগিত, বড়দের বিদেশ ভ্রমণ বাতিল, বর্ডার সিল, রেল-সড়ক-নৌ-বিমান চলাচল বন্ধ হচ্ছে। করোনার অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় নাকি বিশ্ব অর্থনীতির জন্য অশনিসংকেত অনুমান করছেন দল-মত পক্ষ-বিপক্ষ নির্বিশেষে অর্থনীতিবিদরা। এতদিন যারা বাণিজ্যযুদ্ধে ছিলেন তারা এখন করোনার উৎস নিয়ে পরস্পর দোষারোপে মেতে উঠছেন, দক্ষিণ এশিয়ায় যে আঞ্চলিক ফোরাম বলতে গেলে এতদিন লাইভ সাপোর্টে ছিল এই সেদিন তাদের ভিডিও শীর্ষসম্মেলন হয়ে গেল, মুখ দেখাদেখি বন্ধ এমন অনেকে এখন পরস্পর সমর্থনের জিকির তুলছেন, দেশে দেশে বন্দিমুক্তির জন্য বিধির বাঁধন শিথিল হচ্ছে। কোনো কোনো দেশে দুর্দান্ত আন্দোলন, কৌশলগত আক্রমণ মাঠেই মারা যেতে চলেছে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে দেশ, রাষ্ট্র ও সমাজে অব্যাহত অদক্ষতা, অপারগতা, অযোগ্যতা ও ছোট-বড় দুর্নীতি এমনকি আর্থিক খাত ধ্বংসকারী লুটপাট ও ঋণখেলাপির দায়ভার অজুহাত উপলক্ষ হিসেবে করোনার ওপর চাপিয়ে পার পাওয়ার পথ মিলে যেতে পারে। করোনা এখন এমন একটা ইস্যু, যা যাবতীয় মাথাব্যথার অনেক ব্যাপার-স্যাপার থেকে অনেকের দৃষ্টি সরানোর সমূহ সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। করোনা মোকাবিলার নামে দেশে দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা, লকআউট, চলছে, চলবে এবং এ উপলক্ষে প্রচুর প্রণোদনা ও আয়-ব্যয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক সংস্থারা মোটা অঙ্কের অনুদান ও ঋণ তহবিল গড়ছে, দেশি-বিদেশি চিন্তা চৌবাচ্চারা ব্রেইন স্টর্মিংয়ের কাজ পেতে যাচ্ছেন। স্বল্প মেয়াদে যেমন মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদে করোনা অধিকাংশ অর্থনীতির জন্য সংকট-সর্বনাশ হলেও স্বার্থসন্ধ ও ভেদবুদ্ধি সম্পন্ন কতিপয়ের পৌষ মাস হবে। এই ক’দিন আগে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া এমনকি পেঁয়াজের কারণে পাবলিক ফান্ড ও সাধারণ ভোক্তার পকেটের মানি লন্ডারড হয়েছে। শোনা যাচ্ছে চীনে চালু বিদেশি বন্ড ও কোম্পানির কাগজ (স্টক) ম্যানিপুলেট হয়ে এখন সব চীনাদের হাতে চলে গেছে। করোনার কারণে স্বাস্থ্য খাতে যতটা না ঝুঁকি তৈরি হবে তার চেয়ে বড় বিপর্যয় ঘটবে ছোট ও মাঝারি খাতের আয়-ব্যয়, ব্যবসা-বাণিজ্য বিনিয়োগ উৎপাদন, পর্যটন, পরিসম্পদ অবকাঠামো নির্মাণ তথা সামষ্টিক আর্থিক খাতে। দীর্ঘমেয়াদি মন্দার দ্বারপ্রান্তে বিশ্ব অর্থনীতি। করোনার মতো মহাদুর্যোগ এই প্রথম নয়। লক্ষণীয় যে প্রাগৈতিহাসিক, প্রাচীন ও মধ্যযুগের পর নিকট-অতীতেও প্রায় শতবর্ষ পর পর করোনা প্রকৃতির মহামারি দেখা দিয়েছিল, যেমন প্লেগ ১৭২০ সালে, কলেরা ১৮২০ সালে, স্প্যানিশ ফ্লু ১৯২০ সালে এবং করোনার প্রাদুর্ভাব ঘটছে জোরেশোরে এবার ২০২০ সালে। প্লেগ ও কলেরায় লক্ষাধিক করে এবং স্প্যানিশ ফ্লুতে ১০ লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হওয়ার রেকর্ড রয়েছে। ডিজিটাল ও ইনফরমেশন টেকনোলজি এবং মিডিয়া ও সামাজিক মাধ্যমের অগ্রগামী ভ‚মিকা ও অভ‚তপূর্ব অগ্রগতি সত্তে¡ও বিশ্বব্যাপী সব কিছুর মধ্যে পলিটিক্স ঢুকিয়ে ভেদ-বুদ্ধির আশ্রয় নিয়ে ক্ষয়ক্ষতির ও সেবা সরবরাহে ধোঁয়াশা তথ্য পরিসংখ্যান পরিবেশনে, নিয়ন্ত্রণে পারঙ্গমতা প্রসারিত হচ্ছে। ফলে ক্ষয়ক্ষতির সঠিক তথ্য ও হিসাব মিলছে না। করোনার উদ্ভব-উৎপত্তি ও এর দ্বারা সৃষ্ট আর্থসামাজিক বিপর্যয় এবং এর রাজনৈতিক-অর্থনীতির মারপ্যাঁচ আড়াল-আবডালে থেকে যাচ্ছে। আর মানব ভাগ্যে বরাবরের ন্যায় নেমে আসছে দারুণ ট্র্যাজেডি। মহামারি আসলে বরাবরই বিবিধ বাড়াবাড়ির প্রতিফল। প্রকৃতির প্রতিশোধ। এটা অনস্বীকার্য যে, যে কোনো ক্ষেত্রে সীমা লঙ্ঘন বা বাড়াবাড়ি ভিন্নতর পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটায়। যেমন মাত্রা অতিক্রম করলেই সাহস হঠকারিতায়, আত্মোৎসর্গ আত্মহত্যায়, প্রতিযোগিতা হিংসায়, স্বৈরাচারও অতি ক্ষমতাবানে পরিণত হতে পারে। অবস্থা বিশেষে সমালোচনা পরচর্চায়, প্রশংসা চাটুবাদে, তেজ ক্রোধে, দেশপ্রেম দেশদ্রোহিতায় এবং অতি ধর্মপ্রীতি ধর্মান্ধতার স্তরে নেমে আসতে পারে। খাদ্য স্বভাব ও উপায় উপকরণ, চাল-চলন থেকে শুরু করে মৌলিক অধিকার অস্বীকৃতি, সুশাসন নির্বাসন, পারস্পরিক দোষারোপে জবাবদিহিবিহীনতায়, পরিবেশ দূষণ-দুষ্কর্মে সদাচার, সহমর্মিতা ও সত্যম শিবম সুন্দরের সহঅবস্থানের সুযোগ যখন হয় তিরোহিত, প্রতিবিধানে জাগতিক বা বাহ্যিক বিচার ব্যবস্থা পক্ষপাতিত্বের কারণে অপারগ, তখন তার মতো প্রতিশোধ প্রতিবিধানের একটা পথ বেছে নেয় প্রকৃতি। করোনা প্রাকৃতিক বিপর্যয় এবং প্রতিকার প্রতিফল-এর তেমন এক প্রকার উপায় বা উপলক্ষ। তাবৎ ঐশী গ্রন্থে সৃষ্টিকর্তা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন যখন যে জনপদ, সম্প্রদায় নানাভাবে বাড়াবাড়ি করেছে, সীমা লঙ্ঘন করেছে স্বভাবে সজ্ঞানে বুদ্ধি ও বিচার বিবেচনায় তখন তাদের ওপর নিপতিত হয়েছে অশেষ দুর্ভোগ। উদ্ধত উ™£ান্ত অনেক জনপদকে উল্টিয়ে দেয়ার উপমা টেনে, ফল ফসল ও জীবনের অশেষ ক্ষয়ক্ষতির উদাহরণ টেনে অনুশোচনার উপলব্ধিকে করা হয়েছে জাগ্রত। সুতরাং করোনাকে নয় সবার উচিত সৃষ্টিকর্তাকে ভয় করা এবং অনুশোচনা, অনুতাপের মাধ্যমে মার্জনা প্রার্থনা করা। প্রকৃতির নেয়ামত বা সম্পদ অস্বীকার-অপব্যবহার, সুযোগের অপপ্রয়োগ, অন্যের অধিকার হরণের মতো প্রবঞ্চনার প্রবণতা থেকে ফিরে আসার অয়োময় প্রতিজ্ঞা আজকের করণীয়। প্রিভেনশন ইজ বেটার দ্যান কিউর। নিরাময়ের চেয়ে প্রতিরোধই শ্রেয়। আজ এটা স্পষ্ট যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসার প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছানো প্রতিরোধের অন্যতম উপায় হলো সংক্রামিত হওয়া থেকে নিজেকে সুরক্ষা। সুতরাং আতঙ্কিত না হয়ে করোনা মোকাবিলায় নিজের দায়িত্ব হিসেবে পরামর্শ মতো নিয়ন্ত্রিতভাবে চলাচলে পরিপালনে নিজের যেমন সুরক্ষা মিলবে অন্যকেও তেমন সংক্রামিত হওয়া থেকে মুক্ত রাখার দায়িত্ব পালিত হবে। মনে রাখা দরকার করোনায় আক্রান্ত হওয়ার প্রাথমিক লক্ষণ- জ্বর, অবসাদ, শুষ্ক কাশি, শ্বাস কষ্ট, গলা ব্যথা, কিছু রোগীর ক্ষেত্রে উপরোক্ত সব উপসর্গ দেখা গেলেও জ্বর থাকে না। আক্রান্তদের নির্দিষ্ট চিকিৎসা বা প্রতিষেধক নেই। তবে আক্রান্ত হলেও সেরে ওঠা সম্ভব। শুধু শ্বাসতন্ত্রের মাধ্যমে বাহিত হয়ে ফুসফুসে ভাইরাস মারাত্মক সংক্রমণে নিউমোনিয়া প্রবল হলে, অন্যান্য জটিল রোগ থাকলে, বয়স্ক রোগীর চিকিৎসা বা নিরাময় কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। কেউ করোনায় আক্রান্ত কিনা নিজেই নিজের পরীক্ষা করতে পারেন- লম্বা একটা শ্বাস নিয়ে তা ১০ সেকেন্ড ধরে রাখুন। যদি এই সময়ের মাঝে আপনার কাশি এবং বুকে ব্যথা অনুভব না হয় তা হলে আপনি করোনামুক্ত এবং সুস্থ আছেন। মনে রাখতে হবে বাতাসে নয়, মাটিতে অবস্থান করে বলেই করোনা বাতাসে ছড়ায় না। কোনো ধাতব তলে বা বস্তুতে করোনা পড়লে প্রায় ১২ ঘণ্টা জীবিত থাকতে পারে। তাই সাবান দিয়ে হাত ধুলেই যথেষ্ট হবে। কাপড়ে করোনা প্রায় ৯ ঘণ্টা জীবিত থাকতে পারে। তাই কাপড় ধুয়ে নিলে বা রোদে ২ ঘণ্টা থাকলে এটি মারা যাবে। হাতে বা ত্বকে করোনা ১০ মিনিটের মতো জীবিত থাকতে পারে। তাই অ্যালকোহল মিশ্রিত জীবাণুনাশক, সাবান হাতে মেখে নিলেই জীবাণুটি মারা যাবে। করোনা গরম আবহাওয়ায় বাঁচে না। ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা এটিকে মারতে পারে। কাজেই ভালো না লাগলেও এখন বেশি বেশি গরম পানি পান করবেন, আইসক্রিম থেকে দূরত্ব বজায় রাখবেন। লবণ মিশ্রিত গরম পানি দিয়ে গারগল করলে গলার মিউকাস পরিষ্কার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে টনসিলের জীবাণুসহ করোনাও দূর হবে, ফুসফুসে সংক্রমিত হবে না। আক্রান্ত হয়েছেন জানলে অন্তত ১৫ মিনিট পর পর পানি পান করুন। মানে খাদ্যনালি ভেজা রাখুন। নিয়মিত চা পানেও বিশেষ উপকার পাওয়া সম্ভব। ভাইরাসটি কোনোভাবে মুখের ভেতর এলে তা চা বা পানির সঙ্গে পাকস্থলিতে চলে যাবে। যা পাকস্থলির এসিডে সহজেই মরে যাবে। আর নাকে-মুখে আঙুল বা হাত দেয়ার অভ্যাস পরিত্যাগ করতে হবে। কারণ মানব শরীরে জীবাণু প্রবেশের সদর দরজা হলো নাক-মুখ-চোখ! সব কর্তৃপক্ষের উচিত সম্ভাব্য সবাইকে শনাক্তকরণের পরীক্ষা পদ্ধতি প্রক্রিয়া সহজসাধ্য বা নাগালের মধ্যে আনা। আর চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীকে উপযুক্ত পোশাকসহ ভাইরাস থেকে তাদের প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করা, সরকারি ও ব্যক্তি খাত মিলে সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সমন্বয়ে সামাজিক সেবা শক্তির আত্মপ্রকাশ ঘটলে করোনা দুর্যোগ মোকাবিলায় সাফল্য মিলবে।

ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ : সরকারের সাবেক সচিব, এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান। [email protected]

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App