ইডেন কলেজ ছাত্রলীগ নেত্রীর রহস্যময় মৃত্যু, যা বললেন শেখ ইনান
কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ৩০ আগস্ট ২০২৪, ১২:৩৪ পিএম
শায়লা শিকদার। ইডেন কলেজের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন। পাশাপাশি ইডেন শাখা ছাত্রলীগের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন তিনি।
সামাজিক মাধ্যমে বেশ একটিভ ছিলেন শায়লা। করতেন বিভিন্ন ধরনের রাজনৈতিক পোস্ট।
সবশেষ শায়লা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের ওপর বিরক্তি প্রকাশ করে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন। যেখানে তিনি লিখেন ‘Fed up about wonself’. এর কয়েকঘণ্টা পরই উদ্ধার করা হয় তার নিথরদেহ।
২৯ আগস্ট সকালে রাজধানীর লালবাগের রসুলবাগের একটি বাসা থেকে ২২ বছর বয়সী শায়লার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
শায়লা লালবাগ থানার রসুলবাগ রোডের একটি বাড়ির ষষ্ঠ তলায় একটি সাবলেট রুমে থাকতেন। তিনি পটুয়াখালীর কলাপাড়া থানার ধানখালি গ্রামের আল আমিন শিকদারের মেয়ে। এছাড়া কলাপাড়া থানার ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন তিনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে লালবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) অজয় কৃষ্ণ পাল বলেন, গত ২৭ আগস্ট রাত ১১টার দিকে বাসায় যান শায়লা। ২৮ আগস্ট সকাল ১০টার দিকে তার বান্ধবী খুশবু আক্তার তার বাসায় গিয়ে দেখেন ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে আছেন শায়লা। পরে পুলিশ তার বাসা থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তবে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা।
তার অকাল মৃত্যুতে বন্ধু-বান্ধব কেউই বিষয়টি মেনে নিতে পারছে না। অনেকেই তাকে ঘিরে শেয়ার করছেন আবেগঘন স্ট্যাটাস। ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের খুব কাছের মানুষ ছিলেন শায়লা শিকদার। ইনান তার মৃত্যু নিয়ে ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, তাকে গলায় রশি পেঁচিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তার লাশ উদ্ধারের সময় নিজ রুমের দরজা খোলা ছিল।
শায়লা ছাত্রলীগের সাহসী নেত্রী ছিল। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশত্যাগের পরও সে ফেসবুকে একটিভ ছিল। তার মৃত্যু নিয়ে তৈরি হয়েছে নানান আলোচনা-সমালোচনা। এই হত্যাকাণ্ডের যথাযথ তদন্তের দাবি জানান ইনান।