অর্থনৈতিক অঞ্চলে সৌদিকে জমির প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর

আগের সংবাদ

চিকিৎসা গবেষণায় আগ্রহ কম : বরাদ্দ, অবকাঠামো সীমিত > প্রণোদনা স্বল্পতা > প্রাইভেট প্র্যাকটিসে মনোযোগ বেশি

পরের সংবাদ

সংসদে ৫০ সংরক্ষিত আসনের দাবি হিন্দু মহাজোটের

প্রকাশিত: মার্চ ১২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : হিন্দু স¤প্রদায়ের জন্য সংসদ নির্বাচনে ৫০টি সংরক্ষিত আসন ও পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট। গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ কথা জানান সংগঠনের নেতারা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দেশে বিভিন্ন সময় হিন্দু স¤প্রদায়ের ওপর নির্যাতনসহ নানা কারণে তারা দেশত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছে। অথচ সংখ্যালঘুদের সমস্যা সমাধানে জাতীয় সংসদ নীরব ভূমিকা পালন করেছে। কেননা হিন্দু স¤প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য কোনো সংসদ সদস্য সংসদে নেই। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিল ও ৭২ এর সংবিধান ফেরতের দাবিতে ১৯৮৮ সালে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ গড়ে ওঠে। বর্তমান সরকার ক্ষমতা নেয়ার পর দাবি পূরণ না করে বোল পাল্টিয়ে সংখ্যালঘু কমিশন ও সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন নামে দুটি দাবি নিয়ে এসে হিন্দু সমাজকে বিভ্রান্ত করছে। পরিষদটি হিন্দু স¤প্রদায়ের সমস্যার সমাধান নয়, বরং তারা হিন্দু সমস্যাকে জিইয়ে রেখে নিজেদের সুবিধা আদায় করতে চায়।
তারা বলেন, ১৯০৯ সালে অবিভক্ত ভারতে মুসলিম স¤প্রদায় পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থার দাবি করেছিল। তাদের যৌক্তিক দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ১৯১৯ সালে ভারত শাসন আইনে পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থা চালু করে ব্রিটিশ সরকার। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর ১৯৫৪ সাল পর্যন্ত এই ব্যবস্থা চালু ছিল। পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদে সংখ্যালঘুদের জন্য পৃথক নির্বাচনের মাধ্যমে ৭২টি আসন নির্ধারিত ছিল। যার মধ্যে হিন্দুদের আসন ছিল ৬৯টি। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর এক পক্ষ সংরক্ষিত আসন ব্যবস্থা তুলে নেন।
জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত আসন ও পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা এখন জাতীয় দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে মন্তব্য করে বক্তারা বলেন, হিন্দু স¤প্রদায় সবসময়ই আওয়ামী সরকারকে ভোট দিয়ে সহযোগিতা করে আসছে।

আগামী নির্বাচনের আগে যদি হিন্দু স¤প্রদায়ের জন্য জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত আসন ও পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার বিল উত্থাপন করা না হয়, তাহলে দেশের হিন্দু স¤প্রদায় ভোট বর্জন করতে বাধ্য হবে।
হিন্দু মহাজোটের নির্বাহী সভাপতি দীনবন্ধু রায়ের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক, সিনিয়র সহসভাপতি প্রদীপ কুমার পাল, দপ্তর সম্পাদক কল্যাণ মণ্ডল প্রমুখ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়