পার্বত্য শান্তি চুক্তি পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়নের অঙ্গীকার

আগের সংবাদ

‘বাংলাদেশ বিজনেস সামিট’ উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী : সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে বিদেশিদের বিনিয়োগের আহ্বান

পরের সংবাদ

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় : খালেদার চিকিৎসা নিয়ে মন্ত্রীরা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন

প্রকাশিত: মার্চ ১১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের মন্ত্রীরা আগ বাড়িয়ে কথা বলে জনগণের মাঝে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। তর চিকিৎসার জন্য সরকারের মন্ত্রীদের এত দরদি হওয়ার দরকার নেই। আমরা তার নিঃশর্ত মুক্তি চাই। মুক্তি পাওয়ার পর তিনি বিদেশে চিকিৎসা করবেন, নাকি দেশে চিকিৎসা করবেন, ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নেবেন, নাকি ফকিরের কাছে চিকিৎসা নেবেন- সেটা তার একান্ত নিজস্ব ব্যাপার। আইনমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাঝেমধ্যে যেসব কথা বলছেন তাতে জনগণের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হচ্ছে।
মেডিকেল টেকনোলজিস্ট এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের ১৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে গতকাল শুক্রবার বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, সভাপতি এ কে এম মুসা লিটন, মহাসচিব বিপ্লবুজ্জামান বিপ্লব প্রমুখ।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, দেশে দীর্ঘদিন ধরে গণতন্ত্র অনুপস্থিত। যে গণতন্ত্রের চিন্তা, স্বপ্ন ও চেতনা নিয়ে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতাযুদ্ধ করেছি, সত্যিকার অর্থে আমরা সেই গণতন্ত্র পাইনি। কর্তৃত্ববাদী এবং ক্ষমতালোভীদের কারণে কখনোই সুষ্ঠু গণতন্ত্র আমরা পাই না।
তিনি বলেন, দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে এমনিতেই ফ্যাসিবাদী সরকার যারা ভোটের তোয়াক্কা করে না, জনগণের অধিকারের তোয়াক্কা করে না, তারা লুটপাটের মধ্য দিয়ে দেশের অর্থনীতি শূন্যের কোঠায় নিয়ে গেছে। একদিকে লুটপাট, অন্যদিকে মুদ্রাপাচার। এ কারণে আজকে রাষ্ট্রের কোষাগার অনেকটাই শূন্য।
তিনি বলেন, একটি ভোটারবিহীন সরকারের পক্ষে দেশ পরিচালনা করা সম্ভব নয়। সে কারণে আমরা নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি নিয়ে মাঠে নেমেছি। যারা ভোটে ও জনগণের অধিকারে বিশ্বাস করে না, তাদের ক্ষমতায় রেখে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। সে কারণে বর্তমান সরকারের পদত্যাগ ও সংসদ বিলুপ্ত করে নিরপেক্ষ সরকার হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। নিরপেক্ষ সরকার একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করবে। সেই কমিশনের অধীনে জনগণ ভোট দিতে অধীর আগ্রহে বসে আছে।
তিনি আরো বলেন, সরকারের যে চরিত্র তারা ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় থাকতে বা ক্ষমতা ছাড়তে চায় না। তাই তারা কর্তৃত্ববাদ, ফ্যাসিবাদ এবং লুটপাটের জন্য ক্ষমতায় আসতে এত মরিয়া। জনগণের কথা তাদের কানে যায় না। সে কারণে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র হচ্ছে এবং হবে। আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সব শ্রেণিপেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে গণতন্ত্রের উত্তরণ ঘটাবো, এটাই আমাদের বিশ্বাস।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়