কাগজ প্রতিবেদক : বেসরকারি সোনারগাঁও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আরিফ মাহমুদ সুমনের রহস্যজনক মৃত্যুতে আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন নিহতের বাবা আলী আকবর। সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শুভ্রা চক্রবর্তীর আদালতে দুজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৭-৮ জনকে আসামি করে এ মামলার আবেদন করেন তিনি। গতকাল মঙ্গলবার আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করতে নির্দেশ দেন।
মামলায় সুমনের মানিব্যাগ ও মোবাইল ফোন পাওয়া মোহাম্মদ হৃদয় মিয়া ও রনি হোসেনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার অভিযোগে বলা হয়, আরিফ মাহমুদ সুমন চলতি বছরের ৯ জুন মোটরসাইকেল নিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। পরদিন রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শয্যায় গুরুতর আহত অবস্থায় তার সন্ধান পান পরিবারের সদস্যরা। এরপর তাকে ধানমন্ডির পপুলার হাসপাতালে নেয়া হয়।
সেখানে তার মাথায় অপারেশন করা হয়। হাসপাতালে ভর্তি অবস্থায় তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় মামলা করতে যান আলী আকবর। তবে পুলিশ মামলা না নিয়ে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় সুমন আহত হয়েছে মর্মে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) নেয়। তবে সেই জিডির তদন্তও হয়নি। চলতি বছরের ২৫ জুলাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুমন মারা যান।

পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্তে অবহেলার অভিযোগ এনে আদালতে এ মামলা করা হয়।
মামলায় আরো বলা হয়, সুমনের মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। এছাড়া আসামিদের কাছ থেকে নিহত সুমনের মোবাইল ও মানিব্যাগ উদ্ধার করে পুলিশ বাদীকে ফেরত দেয়। তবে বাদী তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা বললেও তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়।
জানা গেছে, সুমন বেসরকারি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগ থেকে অনার্স সম্পন্ন করে খণ্ডকালীন একটি প্রজেক্টে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কাজ করছিলেন। একই সঙ্গে স্নাতকোত্তরে পড়াশোনা করছিলেন। তার বাবা আলী আকবর পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে অফিস সহকারী পদে কর্মরত। সুমন পরিবারের সঙ্গে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকার ঢাকা পলিটেকনিক স্টাফ কোয়ার্টারে থাকতেন।