রাজপথ বিএনপির বাপ-দাদার সম্পত্তি নয় : কাদের

আগের সংবাদ

সাফ জয়ীদের লাগেজ ভাঙল কে

পরের সংবাদ

ডুমুরিয়ায় নির্মাণাধীন সড়কে হাঁটুপানি, শিক্ষার্থীরা দুর্ভোগে

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

শেখ মাহতাব হোসেন, ডুমুরিয়া (খুলনা) থেকে : ডুমুরিয়ায় নির্মাণাধীন একটি সড়কে হাঁটুপানি জমে গেছে। এলাকাবাসী বলছেন, জোয়ারের সময় পানির উচ্চতা আরো বৃদ্ধি পেয়ে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে ৫টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ এবং দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কয়েকশ শিক্ষার্থী।
ডুমুরিয়া উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, উপজেলার আটলিয়া ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চল বয়ারসিং পশ্চিমপাড়া আঁধারমানিক, বৈঠাহারা, খলশিবুনিয়া এবং কাঠবুনিয়া গ্রামে কয়েক হাজার লোক বসবাস করে। তাছাড়া রাস্তাটির শেষ প্রান্তে অবস্থিত একেবিকে মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কয়েকশ শিক্ষার্থী এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে। কাঠালতলা-মাগুরখালী সড়ক থেকে দক্ষিণ দিকের এই রাস্তাটিতে ইতোপূর্বে ১ কিলোমিটার অংশে কার্পেটিং করা হলেও তার অগ্রভাগে আরো ১ কিলোমিটার রাস্তা কাঁচা ও নিচু থাকায় লোকজনের চলাচলে দারুন ভোগান্তি পোহাতে হয়। অবশেষে গত অর্থবছরে টেন্ডারের মাধ্যমে জয় মা কনস্ট্রাকশন নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান রাস্তা নির্মাণ কাজ শুরু করে। এলাকাটি নিচু হওয়ার কারণে তখন প্রায় তিন ফুট উঁচু করে রাস্তা নির্মাণ করা হবে বলে উচ্চতা চিহ্নিত করা হয়। সর্বশেষ কার্পেটিং করার জন্য রাস্তায় বালু ভরাট করে দুই পাশে ইট দেয়া হয়েছে। কিন্তু উচ্চতার যে সীমানা দেয়া ছিল তা থেকে দেড় ফুট নিচুতে কার্পেটিংয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন ঠিকাদার।
এ ব্যাপারে এলাকাবাসী ঠিকাদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওয়ার্ক অর্ডার অনুযায়ী বালির স্তরসহ যাবতীয় সবকিছু ঠিক আছে এখন আর উঁচু করা সম্ভব নয়। গত সোমবার সরজমিনে নির্মাণাধীন রাস্তাটিতে গিয়ে দেখা যায়, একেবিকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কয়েকজন ছাত্র-ছাত্রী হাঁটুপানি ভেঙে হেঁটে যাচ্ছে। এ সময় এই প্রতিবেদকের কথা হয় ওই এলাকার মনোরঞ্জন মন্ডল, সরোজ মন্ডল, বিকাশ মন্ডল, অমরনাথ তরফদার, সুভাষ মন্ডলসহ বেশ কয়েকজনের সঙ্গে। তারা বলেন, এখন নদীতে ভাটা চলছে। তাতেই এই অবস্থা। জোয়ার শুরু হলে পানি আরো উপরে উঠবে। এ অবস্থায় রাস্তায় পিচ দেয়া হলে কোন লাভ হবে না। ২ সপ্তাহের মধ্যে যে লাউ সেই কদুর মতো অবস্থা হবে। কন্ট্রাক্টর বলেছেন, রাস্তার বালুর স্তরসহ যাবতীয় সবকিছু ঠিক আছে। এখন আর রাস্তা উঁচু করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ডুমুরিয়া উপজেলা প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, এলাকাবাসীর কাছ থেকে শোনার পরে আমি আজ (গত সোমবার) একজন উপসহকারী প্রকৌশলীকে রাস্তাটি দেখতে পাঠিয়েছিলাম। অভিযোগটি সত্য বলে জেনেছি। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব ।
জয় মা কনস্ট্রাকশনের স্বত্বাধিকারী উত্তম বলেন, ইঞ্জিনিয়ার বিষয়টি আমাকে বলেছেন। তাকে সঙ্গে নিয়ে আমি ২/১ দিনের মধ্যে কাজের সাইটে যাব। যতটা উঁচু করলে রাস্তা পানির স্তরের উপরে উঠে ততটা উঁচু করেই রাস্তা নির্মাণ করা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়