ইবি (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচর্যের একান্ত সচিব (পিএস) আইয়ুব আলীকে হেনস্তা করাসহ অফিস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে কর্মরত অস্থায়ী কর্মচারীরা এ ঘটনা ঘটান।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, দুপুরে ১০-২০ জন অস্থায়ী কর্মচারী উপাচার্যের একান্ত সচিব (পিএস) আইয়ুব আলীর অফিসে গিয়ে ফাইলের বিষয়ে জানতে চান। এ সময় ফাইলের বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানান পিএস। এরপর অস্থায়ী কর্মচারীরা তার ওপর চড়াও হয়ে অফিস ভাঙচুর করাসহ মারধরের চেষ্টা করেন। দুজন কর্মকর্তার সহযোগিতায় রেজিস্ট্রার অফিসে গিয়ে আশ্রয় নেন পিএস আইয়ুব আলী। পরে প্রশাসন ভবনের নিচে এসে বিক্ষোভ করেন অস্থায়ী কর্মচারীরা।
সরেজমিন দেখা যায়, পিএস এর অফিসের চেয়ার ও টেবিলের কাঁচ ভাঙা এবং টেবিলে রাখা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ফাইল মেঝেতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। উপাচার্য কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, অস্থায়ী কর্মচারীদের কয়েকজন এসে পিএস এর কক্ষে প্রবেশ করেন। প্রবেশের একটু পরই হট্টগোল এবং ভাঙচুরের শব্দ পাওয়া যায়। তবে তারা ২০ জনের মতো কক্ষের সামনে অবস্থান করায় আমরা ঢুকতে পারিনি। পরে গিয়ে দেখি তারা অফিস ভাঙচুর করেছে।
ভুক্তভোগী পিএস আইয়ুব আলী বলেন, আমি আর এক কর্মকর্তা অফিসে ছিলাম। এ সময় অস্থায়ী চাকরিজীবী পরিষদের সভাপতি টিটু মিজান ও সাধারণ সম্পাদক রাসেল জোয়ার্দারসহ কয়েকজন অস্থায়ী কর্মচারী আমার অফিসে আসেন। ফাইলের বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে আমি জানি না বলি। এ সময় ক্ষুব্ধ হয়ে তারা এ ঘটনা ঘটায়। বিষয়টি ভিসি স্যার ও কর্মকর্তা সমিতিকে জানিয়েছি। এ ঘটনায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই। অস্থায়ী কর্মচারী পরিষদের সভাপতি টিটু মিজান বলেন, আমরা নিয়মিত কাজ করলেও আমাদের ফাইল আটকে রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে উপাচার্যের পিএস আইয়ুব আলীর অফিসে গিয়েছিলাম। কে বা কারা পিএস এর অফিস ভাঙচুর করেছে তা আমরা জানি না। আমরা আমাদের আন্দোলন শান্তিপূর্ণভাবে পালন করে আসছি।
এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক নিন্দা প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি এটিএম এমদাদুল আলম ও সাধারণ সম্পাদক ওয়ালিদুর রহমান মুকুট। তারা এ ঘটনার বিচার দাবি করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুস সালাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয়ে হামলা করেছে একটি অপশক্তি। এই অপশক্তিকে আমাদের সবাই মিলে রুখতে হবে। তারা শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করছে। আমরা বিষয়টিতে কোনোভাবেই ছাড় দিবো না।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।