গাজীপুরের পানি বিষাক্ত : শিল্পায়নের মূল্য দিচ্ছে স্থানীয়রা

আগের সংবাদ

সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী : যথাসময়ে নির্বাচন হবে

পরের সংবাদ

যেভাবে শৈশব কেটেছে রানি এলিজাবেথের!

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের পুরো নাম এলিজাবেথ আলেকজান্দ্রা ম্যারি। তিনি বিশ্বের কমনওয়েলথ রাষ্ট্রগুলোর রানি ছিলেন। রানির রাজত্ব সম্পর্কে জানা থাকলেও তার শৈশব কীভাবে কেটেছে, সে তথ্য হয়তো অনেকেরই অজানা।
ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের জন্ম ২১ এপ্রিল, ১৯২৬। বাবা ষষ্ঠ জর্জ, মাতা এলিজাবেথ বোয়েস-লিয়ন। ১৯৩৭ সালে বাবা ষষ্ঠ জর্জ ব্রিটেনে রাজার আসনে বসার সঙ্গে সঙ্গে নির্ধারিত হয়ে যায় এলিজাবেথের ভাগ্যও। কেননা বাবার পর তার প্রথম সন্তান এলিজাবেথই হবেন ব্রিটেনের পরবর্তী উত্তরাধিকারী রানি।
ব্রিটিশ রাজপরিবারে ষষ্ঠ জর্জের প্রথম সন্তান এলিজাবেথ ছিলেন সবার পছন্দের পাত্রী। ছোটবেলা থেকেই বেশ বুদ্ধিদীপ্ত আর শান্ত স্বভাবের ছিলেন তিনি।
বাবা-মায়ের ঘোড়া খুব পছন্দ হওয়ার কারণে শৈশবে তার মধ্যেও ঘোড়াপ্রীতি বেশ স্পষ্ট হয়ে ওঠে। তবে ঘোড়ার পাশাপাশি কর্গি প্রজাতির কুকুরও তার বেশ পছন্দের প্রাণী হয়ে উঠতে শুরু করে ছোটবেলা থেকেই।
রাজপরিবারের সদস্য হওয়ায় ছোটবেলাতেই বিভিন্ন রাজকীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায় তাকে। তখন থেকেই দক্ষভাবে শাসনকার্য চালানোর কৌশল আয়ত্ত করতে শুরু করেন তিনি।
রাজকার্য শেখার পাশাপাশি শৈশবে ছোট বোন মার্গারেট রোজের সঙ্গে প্রায়ই তিনি সময় কাটাতেন। বড় বোন হিসেবে অনেকটা পরিণতভাবে ছোট বোনকে আগলে রেখেছেন রানি এলিজাবেথ। সব সময়ই ছোট বোনের হাত ধরে রেখে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে দেখা গেছে তাকে।
রানি এলিজাবেথ বাড়িতে ব্যক্তিগতভাবে শিক্ষিত হয়েছিলেন। ১৯৩৭ সালে তার বাবা যখন ব্রিটেনের রাজা হন, তখন থেকেই ১১ বছর বয়সি এলিজাবেথের মনে রাজকীয় মর্যাদার ছাপ পড়তে শুরু করে।
তাই বাবার সিংহাসন আহরণের পরপরই সংবিধানের ইতিহাস এবং আইন বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন তিনি। ফরাসি এবং জার্মান ভাষার পাশাপাশি সংগীত নিয়েও পড়াশোনা করেছিলেন রানি এলিজাবেথ।
শৈশবে রাজকীয় নানা কারণেই পরিবারের সদস্যদের থেকে দূরে থাকতে হতো এলিজাবেথ এবং তার ছোট্ট বোনটিকে। এ বিষয়ে রানির সহজ স্বীকারোক্তি ছিল, প্রিয়জনের থেকে দূরে থাকার অনুভূতি আমার পরিবারের অভিজ্ঞতা থেকে আমি জানি।
বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় দায়িত্বের জন্য ছোটবেলা থেকেই সুপ্রশিক্ষিত করা হয়েছিল তাকে। মাত্র ১৬ বছর বয়সে তিনি প্রথম জনসম্মুখে হাজির হন। ১৯৪৫ সালে তিনি রাজকীয় পরিবারের প্রথম নারী হিসেবে সামরিক বাহিনীতে প্রশিক্ষণের জন্য যোগ দেন। শুধু তাই নয়, রাজপরিবারের সদস্য হিসেবে তিনিই প্রথম রেডিও ও টিভি অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া শুরু করেন।
তবে অবাক করার বিষয় হলো, বিশ্বের দক্ষ আর ক্ষমতাধর এই রানি ছোটবেলা থেকেই নিজের কাজ নিজে করতে ভালোবাসতেন। রান্না করা তার একটি পছন্দের বিষয় ছিল। রান্নার প্রতি এ ভালোলাগা কাজ করেছে তাই বড় বেলাতেও। সর্বগুণে গুণান্বিত এই রানি যেভাবে ঘর সামলিয়েছেন, ঠিক একইভাবে সামলেছেন দীর্ঘ ৭০ বছরের রাজত্বও, যা সত্যি সাধারণ মানুষকে তার সম্পর্কে ভাবিয়ে তুলতে বাধ্য করে আরো একবার।

:: আবীর আশরাফ

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়