গ্রেপ্তার ৪ ডাকাত : বন্যার কারণে বেড়ে যেতে পারে ডাকাতি আশঙ্কা পুলিশের

আগের সংবাদ

আ.লীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

পরের সংবাদ

নিরাপদ আশ্রয়ে লাখ লাখ লোক : টানা ভারি বর্ষণে চীনে ৩ প্রদেশে ভয়াবহ বন্যা

প্রকাশিত: জুন ২৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : টানা প্রবল বর্ষণে চীনের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলীয় কয়েকটি প্রদেশে ব্যাপক বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনার পর এসব অঞ্চল থেকে কয়েক লাখ মানুষকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। বিভিন্ন নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকায় এবং বন্যার পানির উচ্চতা ৫০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ হওয়ার পর গত মঙ্গলবার দুটি প্রদেশে বন্যা সতর্কতার মাত্রা বাড়ানো হয়।
দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের ভিডিওতে বন্যায় সড়কে থাকা গাড়ি ভেসে যেতে এবং দড়ির সাহায্যে লোকজনকে উদ্ধারের দৃশ্য দেখা গেছে। ১৯৬১ সালের পর ওই অঞ্চলে এবারই সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয় বলে আবহাওয়া কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জানায় বিবিসি। নদী তীরবর্তী ও নিচু এলাকাগুলোর বাসিন্দাদের তুলনামূলক উঁচু জায়গায় সরে যাওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত শহরগুলোর অন্যতম গুয়াংডং প্রদেশের শাওগুয়ানে কর্মকর্তারা বন্যা সতর্কতার মাত্রা সর্বোচ্চ পর্যায়ে উন্নীত করেন। শহরটি মে মাসের শেষ দিক থেকে রেকর্ড বৃষ্টিপাত দেখেছে। গুয়াংডংয়ের কুইংগুয়ান শহরেও সর্বোচ্চ বন্যা সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
গুয়াংডং ও গুয়াংসি প্রদেশকে ঘিরে রাখা পার্ল নদীর নিচু অববাহিকায় বৃষ্টি সরবরাহ ব্যবস্থাপনা, উৎপাদন ও জাহাজে পণ্য পাঠানোর কার্যক্রমে বিঘœ ঘটাচ্ছে। কোভিড মোকাবিলায় দেয়া কঠোর বিধিনিষেধের কারণে এখানে আগে থেকেই এসব কার্যক্রম বিঘিœত হচ্ছিল। উত্তর-পূর্ব চীনের জিয়াংসি প্রদেশে বন্যায় ৪ লাখ ৮৫ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর কর্তৃপক্ষ সেখানেও বন্যা সতর্কতার মাত্রা বাড়ানো হয় বলে জানায় জিনহুয়া নিউজ। বন্যার কারণে ওই অঞ্চলে ৪৩ হাজার ৩০০ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ ৪৭০ মিলিয়ন ইউয়ানে (৭ কোটি ডলারের সামান্য বেশি) দাঁড়িয়েছে বলে জানায় গণমাধ্যমটি।
সামনের দিনগুলোতে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হতে পারে এবং পার্ল নদীর অববাহিকায় পানির মাত্রা বাড়া অব্যাহত থাকতে পারে বলে আশঙ্কা স্থানীয় কর্মকর্তাদের। চীনের আবহাওয়া কেন্দ্র জানিয়েছে, গুয়াংডং, ফুজিয়ান ও গুয়াংসিতে মের শুরু থেকে জুনের মাঝামাঝি পর্যন্ত গড় বৃষ্টিপাত পৌঁছেছে ৬২১ মিলিমিটারে, যা ১৯৬১ সালের পর থেকে সর্বোচ্চ। গ্রীষ্মকালে প্রবল বর্ষণের কারণে চীনের দক্ষিণাঞ্চলে নিয়মিতই বন্যা দেখা যায়, জলবায়ু পরিবর্তন এ পরিস্থিতির জটিলতা আরো বাড়িয়ে তুলছে বলে উদ্বিগ্ন কর্তৃপক্ষ। দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলীয় কয়েকটি প্রদেশে এ বন্যার সময় চীনের উত্তরের অনেক এলাকায় অস্বাভাবিক উচ্চ তাপমাত্রা দেখা যাচ্ছে। তবে বৃষ্টিও শিগগিরই সেখানে আঘাত হানতে যাচ্ছে বলে জানায় আবহাওয়া পূর্বাভাস।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়