গ্রেপ্তার ৪ ডাকাত : বন্যার কারণে বেড়ে যেতে পারে ডাকাতি আশঙ্কা পুলিশের

আগের সংবাদ

আ.লীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

পরের সংবাদ

পুঁজিবাজারে নিষ্ক্রিয় বিনিয়োগকারীরা

প্রকাশিত: জুন ২৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : টানা তিন দিন পর পতন থামলেও পুঁজিবাজারে লেনদেনে আরো ভাটা পড়েছে। টানা চার কর্মদিবস কমল লেনদেন। সপ্তাহের চতুর্থ কর্মদিবসে হাতবদল হয়েছে ৬৯৪ কোটি ৩৭ লাখ ২৮ হাজার টাকার শেয়ার, যা গত ৯ কর্মদিবসের মধ্যে সর্বনি¤œ। এর আগে এর চেয়ে কম লেনদেন হয়েছিল ১২ জুন। ওইদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয় ৬৩৬ কোটি ৪০ লাখ ৭০ হাজার টাকা। চলতি সপ্তাহের রোববার হাতবদল হয় ৮৯৫ কোটি ৭৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা। সোমবার তা কমে হয় ৮২২ কোটি ৩৯ লাখ ৪২ হাজার টাকা। পরের দিন তা আরো কমে ৭২৫ কোটি ৮৮ লাখ ৩৬ হাজার টাকা হওয়ার পরে গতকাল কমল প্রায় ৯০ কোটি টাকার মতো।
টানা তিন দিন পর বেশির ভাগ শেয়ারের দর বেড়েছে। ১৯৩টি কোম্পানির শেয়ারদর কিছুটা বেড়েছে। বিপরীতে ১২৩টির কমেছে, ৬৬টির লেনদেন হয়েছে গতকালের দামে। আগের দুদিন সমান ২৮২টি কোম্পানির দরপতন হয়েছিল। সারা দিনে বেশ ওঠানামা করেছে ডিএসইএক্স। খুব বেশি দর বৃদ্ধি না হওয়ায় সূচকে মাত্র ৬ পয়েন্ট যোগ হয়ে অবস্থান করছে ৬ হাজার ৩১৭ পয়েন্টে। তবে বড় মূলধনি কোম্পানিগুলোর দরপতনের কারণে কিছুটা কমেছে ব্লæ-চিপ বা ডিএস৩০ সূচক। এর আগে রবিবার ১৯ পয়েন্ট, সোমবার ৪৯ পয়েন্টের পর মঙ্গলবার পড়ল ৪৫ পয়েন্ট। অর্ধাৎ তিন দিনে সূচক পড়তে দেখা যায় ১১৩ পয়েন্ট। গত সপ্তাহে দুদিন পুঁজিবাজারে সূচক বেড়েছিল কিছু ঘটনায়। আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে পুঁজিবাজারে কালো টাকা নামে পরিচয় পাওয়া অপ্রদর্শিত আয় বিনিয়োগের বিষয়ে কিছু বলা ছিল না। পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম গত বুধবার এক আলোচনায় বাজেট পাসের সময় এই সুযোগ দেয়ার ইঙ্গিত দেন।
গত বৃহস্পতিবার পুঁজিবাজার নিয়ে আরেক স্বস্তিদায়ক খবর আসে। বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন উপমহাব্যবস্থাপক, যাকে পুঁজিবাজার নিয়ে রক্ষণশীল নীতির জন্য দায়ী করা হচ্ছিল, ১৯ বছর পর তার দপ্তর বদল করা হয়েছে। এদিন পুঁজিবাজারের প্রবণতা হিসেবে বলা যায় দুর্বল কোম্পানির শেয়ারের অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধি। সবচেয়ে বেশি দর বেড়ে দিনের সর্বোচ্চ সীমা ছুঁয়েছে এমন ছয়টি কোম্পানির মধ্যে চারটিই লোকসানি কোম্পানি, যেগুলো গত এক যুগেও লভ্যাংশ দিতে পারেনি বিনিয়োগকারীদের। সবচেয়ে বেশি ৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ বেড়েছে লোকসানে ডুবে থাকা মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজের দর। আগের দিন দর ছিল ৩০ টাকা ১০ পয়সা। সেটি বেড়ে হয়েছে ৩৩ টাকা ১০ পয়সা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ দর বেড়েছে আরেক লোকসানি ইমাম বাটনের দর। সর্বশেষ ২০১০ সালে ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার দেয়া কোম্পানিটি টানা ১১ বছর লোকসান দিয়েছে। এবারো তৃতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত শেয়ারপ্রতি ৫১ পয়সা লোকসানে থাকা কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ আছে ৫ টাকা ৮১ পয়সা। আর এক দিনেই দর বেড়েছে ১০ টাকা ৬০ পয়সা। তিন মাসে কোম্পানিটির দর ৩৪ টাকা ৩০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ১১৭ টাকা ৩০ পয়সা। গত এক বছরে সর্বনি¤œ দর ছিল ২২ টাকা ৬০ পয়সা। তৃতীয় সর্বোচ্চ দর বেড়েছে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক লিমিটেডের। কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ স¤প্রতি পুনর্গঠিত হয়েছে। এর বোর্ডে সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি এলআর গেøাবালের প্রতিনিধি যুক্ত হয়েছে। এই খবরে শেয়ারটির দর বেড়েছে ৪ টাকা ৮ পয়সা বা ৯ দশমিক ৮৫ শতাংশ। সর্বশেষ ৫৩ টাকা ৫ পয়সা দরে লেনদেন হয় প্রতিটি শেয়ার।
মেঘনা গ্রুপের লোকসানি আরেক কোম্পানি মেঘনা কনডেন্সও মিল্কের দর বেড়েছে ৯ দশমিক ৭৯ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত ১০ টাকার শেয়ারে ৫ টাকা ৩৪ পয়সা লোকসান দেয়া কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি কোনো সম্পদ নেই, উল্টো প্রতি বছর লোকসান দিতে দিতে শেয়ারপ্রতি দায় তৈরি হয়েছে ৬৭ টাকা ৮১ পয়সা। সেই কোম্পানির শেয়ারদর বেড়ে হয়েছে ২৬ টাকা ৯০ পয়সা। নতুন তালিকাভুক্ত মেঘনা ইন্স্যুরেন্সের দর টানা ১১ কর্মদিবস দিনের সর্বোচ্চ সীমা পর্যন্ত বেড়েছে। গত ৮ জুন ১০ টাকায় লেনদেন শুরু করা কোম্পানিটির সর্বশেষ দর দাঁড়িয়েছে ২৮ টাকা ১ পয়সা। এর পরেই সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস লিমিটেডের দর ৪২ টাকা ৫ পয়সা বা ৮ দশমিক ৫৯ শতাংশ বেড়েছে। কয়েক বছর আগে ওটিসি মার্কেট থেকে ফেরা কোম্পানিটির শেয়ারদর এক বছর ধরেই অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে। দর বৃদ্ধির সর্বোচ্চ তালিকায় থাকা অন্য কোম্পানিগুলো হলো আলিফ ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি, ফাইন ফুডস লিমিটেড, ইনটেক লিমিটেড, মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, আইসিবি এএমসিএল ফার্স্ট অগ্রণী ব্যাংক মিউচুয়াল ফান্ড, সাফকো স্পিনিংস মিলস লিমিটেড ও সোনারগাঁও টেক্সটাইল লিমিটেড।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়