কাগজ ডেস্ক : সৌদি আরবের দক্ষিণাঞ্চলে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রে বাংলাদেশিসহ দুইজন আহত হওয়ার খবর এসেছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে। দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় জাযান অঞ্চলের আহাদ আল-মাসারিহাহ শিল্প এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্রটি আঘাত হানে বলে গত রোববার জানায় ইয়েমেনে লড়াইরত সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট। সৌদি গেজেটের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এ ঘটনায় একজন বাংলাদেশি ও একজন সুদানি নাগরিক আহত হয়েছেন। ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে কয়েকটি ওয়ার্কশপ ও বেসামরিক গাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে জেদ্দায় বাংলাদেশের কনসুলেটের কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, এ পর্যন্ত যে তথ্য আমরা পেয়েছি, তাতে ওই ঘটনায় দুজন আহত হয়েছেন, যাদের একজন বাংলাদেশি। তাদের জখম গুরুতর নয়। আহত বাংলাদেশির বিষয়ে আমরা আরো তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করছি।
সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনী এক বিবৃতিতে এ হামলাকে ‘বিদ্বেষপূর্ণ ও নিষ্ঠুর’ হিসেবে বর্ণনা করে তা ‘দৃঢ়ভাবে’ মোকাবিলার আহ্বান জানায়। এ নিয়ে আহাদ আল-মাসারিহাহ শিল্প এলাকায় হুতিদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় তৃতীয়বারের মতো অন্য দেশের নাগরিক আহত হলেন বলে জানায় তারা। ইয়েমেন থেকে পাঠানো দুটি ড্রোন ধ্বংস করার কথাও জানিয়েছে জোট বাহিনী।
এই বাহিনী ২০১৫ সাল থেকে ইয়েমেনের হুতি গোষ্ঠীর সঙ্গে লড়াই করে আসছে। গত সোমবার জোট বাহিনীর আরেক সদস্য দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি শহরে নজিরবিহীন এক হামলা চালায় হুতিরা। তাতে প্রবাসী দুই ভারতীয় এবং এক পাকিস্তানি নাগরিক নিহত হন। এর পাশাপাশি হুতিরা সৌদি আরবের বিভিন্ন শহর লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ও ড্রোন পাঠিয়ে হামলার চেষ্টা করে।
এসব ঘটনার জেরে ইয়েমেনে হুতিদের সামরিক লক্ষ্যস্থলগুলোতে বিমান হামলা জোরদার করে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট। হুতিরা ইয়েমেনের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারকে উৎখাত করে রাজধানী সানা থেকে তাড়িয়ে দেয়ার পর সেই সরকারকে পুনর্বহাল করতে ২০১৫ সাল থেকে দেশটিতে হামলা চালিয়ে আসছে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট। এতে ইয়েমেনের লাখ লাখ মানুষ নিহত এবং ১০ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। ক্ষমতাধর প্রতিবেশীদের ধারাবাহিক হামলায় দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে দেশটি।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।