প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : চিলমারীতে প্রবাসফেরত সুমন মিয়ার (২৮) দিন বদলেছে হাঁসের খামার করে। অভাবের সংসারে এসেছে সচ্ছলতা। তবে প্রাণিসম্পদ বিভাগের সহযোগিতা পেলে আরো বেশি লাভবান হওয়া সম্ভব বলেও জানান তিনি।
জানা গেছে, প্রবাস ফেরত সুমন মিয়া রমনা ইউনিয়নের খন্দকার পাড়ার এমদাদুল হকের ছেলে। সংসারের দৈন্যতা ফেরাতে ২০১৫ সালে তিনি দুবাই চলে যান। সেখানে ৪ বছর অবস্থান করেও ভাগ্যের চাকা সচল করতে না পেরে ২০১৯ সালে দেশে ফেরত আসেন। এরপর নিজ উদ্যোগে ৪শ খাকি ক্যাম্বেল হাঁস দিয়ে শুরু করেন খামার। কিন্তু হাঁস পালনে পরিপূর্ণ জ্ঞান না থাকায় খামার শুরুর প্রথম মাসেই হোঁচট খান তিনি।
খামারের ৪শর মধ্যেই ৩শ হাঁস মারা যায়। এমন সময়েও একেবারে ভেঙে না পড়ে ফের ঘুরে দাঁড়াতে উঠে পড়ে লাগেন। এরপর আর তাকে পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। বর্তমানে তার খামারে আছে ২৫০টি খাকি ক্যাম্বেল জাতের হাঁস। হাঁসের খামার থেকে প্রতিদিন গড়ে দেড় শতাধিক ডিম সংগ্রহ করেন। ১২শ টাকা দরে ১শ ডিম বিক্রি করে তিনি প্রতি মাসে গড়ে আয় করেন খরচ বাদে ২৫-৩০ হাজার টাকা।
খামারি সুমন মিয়া বলেন, তার স্বপ্ন আগামীতে খামারটি বড় পরিসরে শুরু করার। হাঁসের খামারের সঙ্গে মুরগি খামারও করার পরিকল্পনা করছেন তিনি। সুমন মিয়া আরো জানান, স্থানীয় প্রাণিসম্পদ বিভাগের সহযোগিতা পেলে খামারের ক্ষতি কাটিয়ে উঠা সম্ভব। তিনি ক্ষুদ্র খামারিদের উদ্বুদ্ধ করতে প্রাণিসম্পদ বিভাগকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাশিদুল হক বলেন, এ ধরনের ক্ষুদ্র খামারিদের সহযোগিতা করে আসছে প্রাণিসম্পদ বিভাগ। খামারের উন্নয়নে ওই খামারিকে পরামর্শ দেয়াসহ সরকারি যে কোন সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি।
শেয়ার করুন
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।