আমাকে একজন নির্জীব মানুষের ফুঁসে ওঠার
গল্প শোনাতে বলেছ… গল্পটি ছিল এ রকম যে…
এক শীত রাতে কনকনে হাওয়ার ভেতর যখন
গাছের সব পাখি মাতৃতুল্য পাতাদের
আচ্ছাদান ভেদ করে তীব্র শীতে কাতর,
রাস্তায় শুয়ে থাকা গৃহহীন মানুষেরা
আর্ত করুণ নিঃশব্দ যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে আর
শোকগ্রস্ত আকাশের কার্নিশ বেয়ে ঝুলে থাকা পাণ্ডুর চাঁদের
মøান দু’চোখেও যখন অশরীরী শীতের কনকনে দাপট তখন
ভিখারিনী মা’র কোলে পিতৃ পরিচয়হীন শিশুর অতল জিজ্ঞাসা…
নিরুত্তর মা’র বাষ্পরুদ্ধ সান্ত¡নার ঘুমহীন দু’চোখে ভোরের অপেক্ষা;
তখন একঝাঁক আগুনে পাখির উপস্থিতিতে ঐ শিশুটি
হঠাৎ ফুঁসে উঠে প্রথমে নিষ্ঠুর প্রাচীরে ও পরে শির উঁচু
প্রাসাদোপম অট্টালিকায় আগুন লাগিয়ে দিলে
ক্রমশ পৃথিবীর সকল সাম্রাজ্যবাদী ও পুঁজিবাদী প্রাসাদে
দাউ দাউ আগুনের শিখা
তখন অট্টহাসিতে উতরোল শিশুটি নেচে নেচে মাকে বলছে…
‘মা আমার আর শীত নেই, এসো আমরা
আগুনের পাশে ঘুমিয়ে পড়ি।’
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।