ক্র্যাবের ২ সদস্যকে হুমকি দেয়া পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার

আগের সংবাদ

গাপটিল-বাটলার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই

পরের সংবাদ

ডিএমপি কমিশনার : ঢাকায় অস্ত্র ব্যবহার করে অপরাধ প্রবণতা কম

প্রকাশিত: নভেম্বর ৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ছিনতাই নয়, টানা পার্টি চক্রের তৎপরতা একটু বেড়েছে। এর জন্য আমরা বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছি। বিপুলসংখ্যক টানা পার্টির সদস্যকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পর্যালোচনা করে দেখা গেছে মাদকসেবীরা এসব কাণ্ড ঘটাচ্ছে। তবে ঢাকা শহরে অস্ত্র ব্যবহার করে অপরাধ প্রবণতা অত্যন্ত কম।
গতকাল সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি চত্বরে ক্র্যাব-ওয়ালটন ক্রীড়া উৎসব-২০২১ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম। বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন (ক্র্যাব) সভাপতি মিজান মালিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- বিশেষ অতিথি আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ ইবনে জায়েদ, বিশেষ অতিথি ওয়ালটন গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক এফ এম ইকবাল বিন আনোয়ার ডন ও বিশেষ অতিথি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মুরসালিন নোমানী।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, অস্ত্র ব্যবহার করে ছিনতাই হয়েছে এমন তথ্য আমাদের কাছে নেই। অস্ত্র ব্যবহার করে অপরাধ হয়ে থাকলে সে অস্ত্র উদ্ধারের ব্যাপারে আমরা বিশেষ নজর দিয়ে থাকি। আপনারা দেখেছেন, সীমান্ত থেকে নানা অপরাধমূলক কাজে ব্যবহারের জন্য বেশ কিছু অস্ত্র এসেছিল। আমরা গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে সেগুলো উদ্ধার করেছি। তিনি আরো বলেন, আমরা যারা সরকারি চাকরি করি, তা জনগণের কল্যাণের জন্যেই। চাকরিতে ঢুকলে বেতন এমনি এমনি হয়, কাজ তো কিছু করা লাগবে না। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে এ মানসিকতা বদলাতে হবে। সম্মানবোধের সঙ্গে নিজের দায়িত্বটা পালন করতে হবে। সাংবাদিকরা যদি না থাকতেন তাহলে সরকারি চাকরি যে কি মজার হতো। আমরা চাই না এ চাকরি মজার হোক। আমরা জবাবদিহিতা চাই। সাংবাদিকতার জায়গাটা জবাবদিহিতার। আমার মতো কমিশনারের দায়কেও জবাবদিহিতার আওতায় নিয়ে এসেছেন তারা। তথ্য বিভ্রাট রেখে কোনো প্রকার সংবাদ প্রচার করা উচিত নয় উল্লেখ করে ডিএমপিপ্রধান বলেন, সম্প্রতি গণমাধ্যমে একটি সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় পুলিশের সদস্যরা বিরক্ত। ১৬-১৭ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করতে হয়। নানাভাবে বেতন কর্তন হয়। তারা অতিষ্ঠ-বিরক্ত। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিএমপির একজন কনস্টেবলের বক্তব্য দেয়া হয়। যাতে বলা হয়, তিনি প্রত্যাশা করেছিলেন, পুলিশে এলে উন্নত জীবন পাবেন, সে জীবন পাননি। বাহিনী বেআইনি খাতে টাকা নিচ্ছে। ব্যাংকের জন্য টাকা নেয়া হচ্ছে।
আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি ডিএমপির কোনো সদস্যের কাছ থেকে একটি পয়সাও কর্তন করা হয়নি। অথচ একজন কনস্টেবলের বরাতে নিউজ করা হলো। আপনাদের (সাংবাদিকদের) কি ধারণা? ডিএমপি কমিশনার ২ ঘণ্টা কাজ করেন? আমাদের তো ঘুমের সময় নাই, খাওয়ার সময় নাই। আমরা যখন চাকরিতে এসেছি, তখন জেনে-শুনে-বুঝেই এসেছি। ২৪ ঘণ্টা কাজের বাহিনীতে আমি ১৭ ঘণ্টা করছি। ২৪ ঘণ্টাই যে কাজ করানো হচ্ছে না, এটার জন্য পুলিশ সদস্যদের কৃতজ্ঞ থাকা উচিত। পুলিশে চাকরি করে ৯-৫টা অফিস সম্ভব নয়। আমি বলব উন্নত জীবন আশা যারা করেছিল, কিন্তু পাওনি তারা অন্যত্র যেখানে পাও আবেদন করো। সম্মানের সঙ্গে চাকরি থেকে তোমাদের বিদায় দেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়