চাকরি দেয়ার নামে প্রতারণা : চালকের সহকারী শাহীরুল এখন কোটিপতি

আগের সংবাদ

তিস্তার তাণ্ডবে লালমনিরহাটে পথে বসেছে হাজারো পরিবার

পরের সংবাদ

ড. হাছান মাহমুদ : সহিংসতার আরো বড় পরিকল্পনা করা হয়েছিল

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ২৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, কুমিল্লার ঘটনা থেকে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরাই হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশে দাঁড়িয়েছে, অন্যকোনো দল দাঁড়ায়নি। একই সঙ্গে ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানোর ফলে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, তার দায় অন্যদল এড়াতে পারে না। গতকাল রবিবার সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সম্পাদক ফোরামের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন তিনি।
সচিব মো. মকবুল হোসেন ছাড়াও সম্পাদক ফোরামের উপদেষ্টা আজিজুল ইসলাম ভুঁইয়া, আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম রতন, মহাসচিব ফারুক আহমেদ তালুকদার, সদস্য দুলাল আহমেদ চৌধুরী, বেলায়েত হোসেন, শরীফ সাহাবুদ্দিন, মফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, কুমিল্লার ঘটনার পরপর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রতিটি উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে নির্দেশনা পাঠানো হয় যাতে দুর্গাপূজা চলাকালীন পূজামণ্ডপে আমাদের দলের লোকজন থাকে এবং কেউ কোনো বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে না পারে। নেতাকর্মীরা সেইভাবে ছিল। যারা এই থাকায় ষড়যন্ত্রকারীরা তা করতে পারেনি। কয়েক ঘণ্টার নোটিসে আমাদের দল সারাদেশে শান্তি সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে। আমরা এখনো সতর্ক দৃষ্টি রাখছি।
মন্ত্রী বলেন, কুমিল্লার ঘটনাটি যদি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড না হতো তাহলে এই ঘটনা বিস্তৃত হয়ে এই পরিস্থিতি তৈরি হতো না। রংপুরের পীরগঞ্জের ঘটনাও সোশ্যাল মিডিয়ার একটি পোস্টের কারণে। ফেসবুকের পোস্টের কারণেই এটি হয়েছে এমন নয়। তবে অবশ্যই ফেসবুকে যদি এই পোস্ট না যেত তাহলে এই পরিস্থিতি হতো না। এটার সঙ্গে যারা যুক্ত ছিল সবাই দায়ী। যে কুরআন শরিফ রেখে এসেছে, যে প্ররোচনা দিয়েছে, যারা একটি পোস্টের পরিপ্রেক্ষিতে যাচাইবাছাই না করে সমাজে হানাহানি তৈরি করল, তারা সবাই দায়ী। একই সঙ্গে ফেসবুক কর্তৃপক্ষও দায়ী কারণ তাদের মাধ্যম ব্যবহার করে সমাজে অস্থিরতা তৈরি করা হয়েছে, এখানে তারা দায় এড়াতে পারে না। অতীতেও নাসিরনগরে, কক্সবাজারে রামুতে যে ঘটনাগুলো ঘটেছে সেখানেও সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করা হয়েছে।
সরকার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করতে চায় কী না এমন প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা অবশ্যই কোনো কিছু নিয়ন্ত্রণ করতে চাই না। কিন্তু সবকিছুই এমনভাবে পরিচালিত হওয়া প্রয়োজন সেটি যেন খারাপ কাজে ব্যবহৃত না হয়। সেখানে যাতে স্বচ্ছতা থাকে। ফেসবুকে পরিচয় গোপন করে ফেক আইডি দিয়ে পোস্ট দেয়া হয়, তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায় না। এর প্রতিকার হওয়া দরকার।
পরে সিনিয়র সাংবাদিক আজিজুল ইসলাম ভুঁইয়ার ‘বঙ্গবন্ধু জীবনই বাঙালি জাতির রাষ্ট্রবিজ্ঞান’ এবং সাংবাদিক জান্নাতুল বাকেয়া কেকার ‘বঙ্গবন্ধুর ভাবনায় নারী উন্নয়ন ও স্বাস্থ্যব্যবস্থা’ গ্রন্থ দুটির মোড়ক উন্মোচন করেন তথ্যমন্ত্রী।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়