চট্টগ্রাম অফিস : নগরের মুরাদপুরে জলাবদ্ধতার তীব্র ¯্রােতে পা পিছলে নালায় পড়ে নিখোঁজ সবজি বিক্রেতা মো. সালেহ আহমদের ছেলে সাদেকুল্লাহ মহিমকে চাকরি দিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। গতকাল মঙ্গলবার নগরীর টাইগারপাস এলাকার অস্থায়ী নগর ভবনে সিটি মেয়র রেজাউল করিম তার হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন। এ সময় মেয়র তাকে আগামী ১ নভেম্বর থেকে কাজে যোগ দেয়ার পরামর্শ দেন।
মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম ভোরের কাগজকে বলেন, সিটি করপোরেশনের ওয়ার্কশপে সহকারী পদে অস্থায়ী ভিত্তিতে এই নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
শিক্ষাগত যোগ্যতার ভিত্তিতে আপাতত এই পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তিনি এখনো উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। তাকে অস্থায়ী হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। পরে পর্যায়ক্রমে স্থায়ী করা হবে। চাকরির বিষয়টি আরো আগেই বলা হয়েছিল। কিন্তু সাদেকুল্লাহ মাহিন অসুস্থ থাকায় একটু সময় লেগেছে। মঙ্গলবার বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাদেকুল্লাহ মহিম বলেন, আমি আরো আগে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে চাকরির জন্য জীবন-বৃত্তান্ত জমা দিয়ে এসেছিলাম। মেয়রের সঙ্গে দেখা করার জন্য আমাকে ফোন করা হয়। আমি দেখা করেছি।
তিনি ১ নভেম্বর থেকে কাজে যোগ দিতে বলেছেন। তিনি আরো বলেন, ‘আমি আমার জীবন-বৃত্তান্তে এসএসসি পাস উল্লেখ করেছি। এ বছর আমি এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেব। চাকরির পাশাপাশি লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা রয়েছে। আমি পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ আগস্ট নগরের মুরাদপুর এলাকায় ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় জলাবদ্ধতার তীব্র ¯্রােতে পা পিছলে চশমা খালে পড়ে নিখোঁজ হন ৫৫ বছর বয়সি সবজি বিক্রেতা মো. সালেহ আহমদ। তার বাড়ি পটিয়া উপজেলার মনসারটেক এলাকায়। তিনি ওই এলাকার আব্দুল হাকিমের ছেলে।
বর্জ্যে ভরা ওই খালে ও আশপাশে কয়েকটি খালে ফায়ার সার্ভিসের ৫ সদস্যের ডুবুরি দল ও রেসকিউ টিমের সদস্যরা তাকে উদ্ধারে সপ্তাহের বেশি সময় ধরে অভিযান চালিয়েও সালেহ আহমদের খোঁজ মেলেনি। পরে চসিক মেয়র ওই সবজি বিক্রেতার ছেলে সাদেকুল্লাহ মহিমকে চাকরি দেয়ার প্রতিশ্রæতি দিয়েছিলেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।