সায়মা ওয়াজেদের কারণে অটিজম নিয়ে সচেতনতা বেড়েছে : বাহাউদ্দিন নাছিম

আগের সংবাদ

পাহাড় জনপদে আতঙ্কের ঢেউ

পরের সংবাদ

কিছুটা উত্থানে শেয়ারবাজার

প্রকাশিত: এপ্রিল ৪, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ৪, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস গতকাল বুধবার সূচকের উত্থানে মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন আগের কার্যদিবসের চেয়ে ডিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও সিএসইতে কমেছে। উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনে অংশ নেয়া অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম বাড়ে।
মূলত, দেশের শেয়ারবাজারে সকালে বড় উত্থান হলে বিকালে বড় পতন হয়। আবার সকালে বড় পতন হলে বিকালে সামান্য উত্থান দেখা যায়। অন্যদিকে একদিন উত্থান হলে পরের তিন দিন হয় পতন। এই খেলায় আতঙ্কে দিশাহারা সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। প্রতিদিনই তাদের কপাল পুড়ছে। তাদের বিনিয়োগ নেমে যাচ্ছে তলানি থেকে আরো তলানিতে। আর মার্জিন ঋণের বিনিয়োগকারীরাতো অনেক আগেই নিঃশেষ হয়ে গেছে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, চলতি সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক বেড়েছিল ৫১ পয়েন্ট। পরের দিন সোমবার সূচক উধাও হয়ে যায় ৬৮ পয়েন্ট। মঙ্গলবার পতনের পাল্লায় যোগ হয় আর ২৩ পয়েন্ট। অর্থাৎ গত দুই দিনে সূচক হাওয়া হয়ে যায় ৯১ পয়েন্ট। আজ শুরুতে বাজার নেতিবাচক প্রবণতা দিয়ে শুরু হলেও পরক্ষণেই ইতিবাচক প্রবণতায় টার্ন নেয়। তারপর দিনভর উত্থান-পতনের আতঙ্ক ছড়িয়ে অবশেষে বড় উত্থানের আশা জাগিয়ে লেনদেন শেষ হয়। লেনদেনের শেষভাগে সূচক ৪৬ পয়েন্টের বেশি বাড়লেও অ্যাডজাস্টমেন্টের কারণে সূচকের ঊর্ধ্বগতি ৩৭ পয়েন্টের বেশিতে স্থির হয়।
বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঈদের ছুটির আগে আর মাত্র তিন দিন লেনদেন হবে। এই তিন দিন বাজার ইতিবাচক থাকার সম্ভাবনাই বেশি। বাজার নেতিবাচক হওয়ার সম্ভাবনা তেমন নেই। এদিকে, বাজারসংশ্লিষ্ট বড় একটি অংশ বলছেন নিয়ন্ত্রক সংস্থার শীর্ষ এক কর্তার সঙ্গে বড় একটি শিল্পগোষ্ঠীর যে দ্ব›দ্ব ছিল, সেটা মঙ্গলবার কেটে গেছে। যে কারণে মঙ্গলবার কমিশন সভায় ওই শিল্পগোষ্ঠীর বড় অঙ্কের একটি বন্ডের অনুমোদন হয়েছে। যে কারণে গত কিছুদিন যাবৎ বাজার নেতিবাচক প্রবণতার বৃত্তে আটকে ছিল, এবার সেই জট খুলে যেতে পারে।
বুধবারের বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩৭ দশমিক ৬৭ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৭৭৬ পয়েন্টে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১১ দশমিক ৮২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ২৫৭ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১২ দশমিক ৪১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ২ হাজার ১৪ পয়েন্টে। গতকাল ডিএসইতে ৪৩৩ কোটি ৯৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কর্মদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৩৬৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকার। আগের দিনের চেয়ে লেনদেন বেড়েছে ৬৬ কোটি ৩১ লাখ টাকা। ডিএসইতে ৩৯৫টি প্রতিষ্ঠানের ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ২৭৯টির, কমেছে ৬৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৫২টির।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) আজ ৯ কোটি ৫৯ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৯ কোটি ৯৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। গতকাল সিএসইতে ১৮৩টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১১২টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৭টি প্রতিষ্ঠানের।
আগের দিন সিএসইতে ২০৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। যার মধ্যে দর বেড়েছিল ৫০টির, কমেছিল ১২৮টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ২৭টি প্রতিষ্ঠানের।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়