সায়মা ওয়াজেদের কারণে অটিজম নিয়ে সচেতনতা বেড়েছে : বাহাউদ্দিন নাছিম

আগের সংবাদ

পাহাড় জনপদে আতঙ্কের ঢেউ

পরের সংবাদ

উন্নয়নের মাইলফলকে এনআরবিসি ব্যাংক

প্রকাশিত: এপ্রিল ৪, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ৪, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : চতুর্থ প্রজন্মের এনআরবিসি ব্যাংক ১১ বছর অতিক্রম করে ১২ বছরে পদার্পণ করেছে। পথচলার ১১ বছরে জনকল্যাণমুখী বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছে ব্যাংকটি। প্রত্যন্ত গ্রামের প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের ভাগ্যোন্নয়ণে এনআরবিসি ব্যাংকের সেবা কার্যক্রম ছড়িয়েছে সারাদেশে। এই সেবা বিস্তারের জন্য উপশাখা ব্যাংকিং ধারণার উদ্ভাবক ব্যাংকটি। প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে কিউআর কোড ব্যাংকিংয়ের পথপ্রদর্শক এনআরবিসি ব্যাংক। উদ্ভাবনী কর্মকাণ্ডের জন্য আর্থিকসূচকগুলোতে সমসাময়িক ব্যাংকগুলোর মধ্যে সবার শীর্ষে উঠে এসেছে ব্যাংকটি। মুনাফা, শাখা-উপশাখা, জনশক্তি, বৈদেশিক বাণিজ্য, আমানত সংগ্রহ ও ঋণ বিতরণে নতুন প্রজন্মের ব্যাংকগুলোর মধ্যে সবার থেকে এগিয়ে এনআরবিসি ব্যাংক।
সূত্র জানায়, ২০১৩ সালের ২ এপ্রিল ৫৩ জন প্রবাসী উদ্যোক্তার হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত হয় এনআরবিসি ব্যাংক। প্রবাসীদের স্বপ্নের এই ব্যাংক শুরুতে কিছুটা হোচট খায়। এরপর ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন পারভেজ তমাল। এরপরের ৬ বছরে বিভিন্ন আর্থিক সূচকে শীর্ষে উঠে এসে নতুন নতুন মাইলফলক স্থাপন করছে এনআরবিসি ব্যাংক।
ব্যাংকটি গ্রামের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য গৃহীত কর্মসূচির মাধ্যমে এগিয়ে যাচ্ছে। ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত উপশাখা স্থাপনের মাধ্যমে প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষদের বিনাজামানতে ক্ষুদ্রঋণ দেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে ৮০ হাজার মানুষ এনআরবিসি ব্যাংকের ক্ষুদ্রঋণ নিয়ে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে উঠেছেন।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান পারভেজ তমাল বলেন, ২০১৭ সালে নতুন পরিচালনা পর্ষদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় ঘুরে দাঁড়িয়েছে ব্যাংকটি। নানা সংকটের মধ্যেও ব্যাংকটি প্রান্তিক বা গ্রামের উদ্যোক্তাদের কাছে আস্থা ও ভরসাস্থলে পরিণত হয়েছে। সাধারণত কেউ গ্রামের কথা চিন্তা করেন না। সবাই একই ধাঁচের কাজ করে যাচ্ছে। সেখান থেকে বের হয়ে উপশাখা করে ব্যাংকিং শুরু করেছি আমরা। তিনি আরো বলেন, আমরা ১১ বছর অতিক্রম করে ১২ বছরে পদার্পণ করছি। আমাদের সবসময় চিন্তুা ছিল সর্বোত্তাম ও নিরাপদ ব্যাংকিং সেবা। আগের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির মাপকাঠিতে আগামীতে আমরা সবার শীর্ষে থাকতে চাই।
ব্যাংকটির আর্থিকসূচকগুলো পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ২০১৭ সালের পরবর্তী ছয় বছরের ব্যবধানে এনআরবিসি ব্যাংক এখন সমসাময়িক ব্যাংকগুলোর তুলনায় সবার শীর্ষে। নতুন প্রজন্মের ব্যাংকগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ মুনাফা অর্জন করেছে এনআরবিসি ব্যাংক। নতুন প্রজন্মের ব্যাংকগুলোর মধ্যে শাখা-উপশাখার সবার শীর্ষে এনআরবিসি ব্যাংক। কোনো কোনো ক্ষেত্রে আগের প্রজন্মের ব্যাংকগুলোর তুলনায় অনেক এগিয়ে এনআরবিসি ব্যাংক। আর্থিকভিত্তিগুলো অনেক শক্তিশালী হয়েছে নতুন পথচলায়। ২০১৭ সালে আমানত ছিল ৪ হাজার ৫২৩ কোটি টাকা। ২০২৩ সাল শেষে তা প্রায় ৪ গুণেরও বেশি বেড়ে হয়েছে ১৭ হাজার ৬১৩ কোটি টাকা। এভাবে ঋণ বিতরণ বেড়েছে তিন গুণেরও বেশি। ২০১৭ সালে ঋণ ছিল ৪ হাজার ৩০০ কোটি টাকা, আর ২০২৩ সাল শেষে হয়েছে ১৪ হাজার ৫০৮ কোটি টাকা। ব্যাংকের কর্মীর সংখ্যা ৬১৭ জন থেকে ৬ গুণ বেড়ে হয়েছে ৩ হাজার ৮৩২ জন। ২০১৭ সালে শাখার সংখ্যা ছিল মাত্র ৬১টি। ২০২৩ সাল শেষে শাখা-উপশাখার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৮০০টি।
ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও গোলাম আউলিয়া বলেন, এনআরবিসি ব্যাংক গ্রাম-বাংলার গণমানুষের ব্যাংক। যেখানে বেশি মানুষের কর্মসংস্থান সম্ভব আমরা সেখানে বিনিয়োগ করছি। ব্যাংকিং সেবাকে মানুষের দৌড়গোড়ায় পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। এছাড়া আমরা রিয়েলটাইম ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দিতে ফিনটেকের ওপর জোর দিয়েছি। সাধারণ মানুষ খুব দ্রুত ক্ষুদ্রঋণ পাচ্ছেন। সেই জায়গা থেকে আমরা ন্যানো ক্রেডিটের দিকে যাচ্ছি। আমাদের মূল লক্ষ্য প্রতি বছর ১ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়