মোহাম্মদপুরে ২৫ দিন ধরে শিকলে বেঁধে তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ

আগের সংবাদ

পাল্টে যাচ্ছে এসএসসি পরীক্ষা : শিখনকালীন ৪০ শতাংশ, ৩০ নম্বর হাতেকলমে এবং ৩০ নম্বর সামষ্টিক মূল্যায়ন

পরের সংবাদ

স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতিকে দল থেকে বহিষ্কার : সিলেটে তরুণীকে ধর্ষণ

প্রকাশিত: এপ্রিল ২, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ২, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সিলেট অফিস : তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে সিলেটের ১১ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আবদুস সালামকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত রবিবার রাতে জরুরি সভা ডেকে তাকে বহিষ্কার করে সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ। একই সঙ্গে ১১ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটিও বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু দাস মিঠু এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আবদুস সালাম সিলেট নগরীর লালাদিঘীরপাড় ৭০ নম্বর বাসার গাজী আবদুর রহিমের ছেলে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ভুক্তভোগী ওই তরুণী নগরীর শেখঘাটের একটি বোতল ফ্যাক্টরিতে কাজ করতেন। পরিবারের সদস্যরা ওই তরুণীকে সিলেট শহরের বাসায় রেখে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে যান। এই সুযোগে একই কলোনির বাসিন্দা রেখা বেগম লালদিঘীরপাড়ের আবদুস সালামের সঙ্গে তরুণীকে পরিচয় করিয়ে দেন। আবদুস সালাম তাকে ভালো কাজ দেয়ার প্রলোভন দেখান। গত ৭ জানুয়ারি রেখা বেগম ভালো কাজের কথা বলে তরুণীকে আবদুস সালামের লালদিঘীরপাড়ের বাসায় নিয়ে যান। পরে বাসার একটি রুমে ২২ দিন আটকে রেখে আবদুস সালাম তাকে ধর্ষণ করে। পরিবারের সদস্যরা সিলেট নগরীর বাসায় ফিরে তরুণীকে না পেয়ে সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজ নেন। কিন্তু কোথাও না পেয়ে থানায় জিডি করতে চাইলে রেখা বেগম বাধা দিয়ে তাদের আবদুস সালামের কাছে নিয়ে যান। আবদুস সালাম তরুণীকে উদ্ধারের ব্যাপারে আশ্বাস দেন। কয়েকদিন পর পরিবারের সদস্যরা আবারও আবদুস সালামের কাছে যান। তখন আবদুস সালাম জানান লন্ডন প্রবাসী একটি পরিবারের কাছ থেকে তরুণীটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। ওই সময় লন্ডন প্রবাসী পরিবারের পরিচয় জানতে চাইলে আবদুস সালাম ক্ষেপে যান। কিন্তু ভুক্তভোগী তরুণী সবার সামনে জানান, আবদুস সালাম তাকে ধর্ষণ করেছে। এ সময় চাপে পড়ে তাকে বিয়ে করার প্রতিশ্রæতি দেন আবদুস সালাম। এ ঘটনার ৩ দিন পর আবদুস সালাম বিয়ের কথা বলে ওই তরুণীকে তুলে নিয়ে যান। সেখানে আটকে রেখে তাকে ধর্ষণ করেন আবদুস সালাম ও আবদুল মনাফসহ অজ্ঞাত আরো কয়েকজন। এ ঘটনায় গত শনিবার এক নারীসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ২-৩ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন একই এলাকার বাসিন্দা ও ভুক্তভোগী তরুণীর মা। সিলেট কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন জানান, আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে তাদের অবস্থান শনাক্তের চেষ্টায় রয়েছে পুলিশ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়