কাগজ প্রতিবেদক : পতনের বৃত্ত থেকে বের হতে পারছে না দেশের পুঁজিবাজার। দুই কার্যদিবস কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর গতকাল সোমবার দেশের পুঁজিবাজারে ফের বড় দরপতন হয়েছে।
প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম কমার পাশাপাশি সবকটি মূল্যসূচকের বড় পতন হয়েছে। তবে ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে।
এর আগে গত সপ্তাহ লেনদেন হওয়া চার কার্যদিবসের মধ্যে প্রথম তিন কার্যদিবসেই পুঁজিবাজারে দরপতন হয়। তবে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসেই মূল্যসূচক কিছুটা বাড়ে। চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসেও ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মিলে। এ পরিস্থিতিতে দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। এতে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে যায়। বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম বাড়ার ধারা অব্যাহত থাকায় এক পর্যায়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ২১ পয়েন্ট বেড়ে যায়।
তবে এরপরেই শেয়ার বিক্রির চাপ বাড়ান বিনিয়োগকারীরা। লেনদেনের সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তাদের বিক্রির চাপ বাড়তে থাকে। ফলে সূচকও নিচের দিকে নামতে থাকে। লেনদেনের শেষ পর্যন্ত এ ধারা অব্যাহত থাকায় সবকটি মূল্যসূচকের বড় পতন দিয়েই দিনের লেনদেন শেষ হয়।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে মাত্র ৪৭টি প্রতিষ্ঠান। বিপরীতে দাম কমেছে ৩১৫টি প্রতিষ্ঠানের। আর ৩৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৬৮ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৭৬১ পয়েন্টে নেমে গেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১৩ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২৫১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সবকটি মূল্যসূচক কমলেও ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে। ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪৬৮ কোটি ৮২ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৪৬৭ কোটি টাকা। সে হিসেবে লেনদেন বেড়েছে ১ কোটি ৮২ লাখ টাকা।
এ লেনদেনে সব থেকে বেশি অবদান রেখেছে শাহিন পুকুর সিরামিকসের শেয়ার। কোম্পানিটির ৩২ কোটি ৫২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালসের ২৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১৭ কোটি ১৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ফু-ওয়াং সিরামিকস।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিস, মালেক স্পিনিং, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, এমারেল্ড অয়েল, আইটিসি, লাভেলো আইসক্রিম এবং গোল্ডেন সন।
অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ১১৭ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন অংশ নেয়া ২১৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬২টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৬টির এবং ১৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৮ কোটি ১৬ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ১১ কোটি ৯২ লাখ টাকা।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।