কাগজ প্রতিবেদক : শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের পক্ষে নন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেছেন, সমস্যা ছাত্ররাজনীতিতে নয়। ‘সমস্যা’ তৈরি করেছে ছাত্রলীগ। ‘প্রশাসনের ছত্রছায়ায় পেশিশক্তির ব্যবহার করে’ ছাত্র রাজনীতিকে ছাত্রলীগ ‘ধ্বংস করে ফেলেছে’ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
গতকাল সোমবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে নাটোর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহীনকে দেখতে দিয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। গয়েশ্বরের সঙ্গে দলের সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সহ দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপুসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
বুয়েটের পরিস্থিতি নিয়ে গয়েশ্বরের ভাষ্য, ছাত্ররাজনীতি অবশ্যই আমরা চাই। ছাত্ররাজনীতি করেই তো আমরা এখানে এসেছি। এখানে ছাত্ররাজনীতি বাধা নয়। এখানে বাধা হলো শিক্ষাঙ্গনে ‘একদলীয়’ ছাত্র সংগঠন।
তিনি বলেন, একমাত্র পেশিশক্তি আর প্রশাসনের প্রভাবে ছাত্রলীগ বেপরোয়া। এই কারণে তারা আজকে ছাত্র রাজনীতিকে ধ্বংস করে ফেলেছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর অবস্থা আপনারা দেখছেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবস্থা ‘শোচনীয়’। সেখানে (জাহাঙ্গীরনগর) ছাত্রলীগ নেতা মানিক ‘ধর্ষণের সেঞ্চুরি’ পালন করেছিল। এর চেয়ে ঘৃণ্য, লজ্জাকর আর জাতির জন্য কলঙ্ক আর কী হতে পারে? তারা (ছাত্রলীগ) কোনো কলঙ্কেই কলঙ্কিত না। বুয়েটের আবরার হত্যা নিয়ে গয়েশ্বর বলেন, আবরার ফাহাদের হত্যাকাণ্ডের পরে শুধু ছাত্ররা না, বাংলাদেশের সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক দল ফুঁসে উঠেছিল, প্রতিবাদ জানিয়েছিল; তখন বুয়েট কর্তৃপক্ষ একটা সিদ্ধান্ত নিল যে, কোনো রাজনৈতিক দলের সংগঠন থাকবে না।
এটা বুয়েটের কর্তৃপক্ষ নিয়েছে, সারাদেশের চিত্র এটা নয়। সেই পরিবেশ এখনো বলবত আছে কিনা অর্থাৎ এখনো ওই ধরনের হত্যাকাণ্ডের পুনরাবৃত্তির আশঙ্কা আছে কিনা, সেটা বিবেচনা করে বুয়েটকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে সেখানে ছাত্র রাজনীতি থাকবে কি থাকবে না।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।