হিলি প্রতিনিধি : পেঁয়াজ রপ্তানিতে সম্প্রতি অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ভারত। প্রতিবেশী দেশটির রপ্তানি বন্ধের খবরে দেশের বাজারে বাড়তে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। দিনাজপুরের হিলিতে আগের দিনের তুলনায় প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ১০ টাকা। যদিও ভারত সরকারের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার খবর দেশের বাজারে স্থায়ী প্রভাব ফেলবে না বলে দাবি ব্যবসায়ী ও আমদানিকারকদের।
গতকাল হিলি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি দোকানেই দেশি পেঁয়াজের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। দোকানগুলোয়ও ক্রেতাদের ভিড়। মসলাজাত পণ্যটি বিক্রি হচ্ছে পাইকারিতে ৫৫ আর খুচরা ৬০ টাকা কেজি দরে। আগে প্রতি কেজি পেঁয়াজ পাইকারিতে ৪৫ আর খুচরা বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকা দরে। জামাল হোসেন নামে এক ক্রেতা বলেন, গত কয়েকদিন পেঁয়াজের দাম ৫০ টাকার মধ্যেই ছিল। এখন ৬০ টাকা চাইছে। তারপরও দাম আরো বাড়তে পারে, এমন আশঙ্কায় পাঁচ কেজি পেঁয়াজ কিনলাম।

হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতারা জানান- ?আগে কম দামে কিনেছি, কম দামেই বিক্রি করেছি। এখন বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে, সে মোতাবেক বাড়তি দামেই বিক্রি করা লাগছে।
এদিকে হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারকরা জানিয়েছেন- ?অনির্দিষ্টকালের জন্য ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের খবর শুরুর দিকে দেশের বাজারে কিছুটা প্রভাব ফেলেছিল। তবে দেশি পেঁয়াজ উঠতে শুরু করায় দাম সহনীয় ছিল। ঈদুল ফিতরের পর আসবে ঈদুল আজহা। এ সময় পেঁয়াজের চাহিদার পাশাপাশি দাম বাড়ার কিছুটা সম্ভাবনা আছে। তবে আমাদের ধারণা, দেশে চলতি মৌসুমে ব্যাপক পরিমাণে পেঁয়াজ আবাদ হয়েছে। আবার ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতিও রয়েছে। এরই মধ্যে প্রথম ধাপের প্রায় ১ হাজার ৭০০ টন পেঁয়াজ দর্শনা বন্দর দিয়ে রেলপথে আমদানি হয়েছে। ফলে আমরা আশা করছি, দেশের বাজারে পেঁয়াজের দামে সে রকম প্রভাব পড়বে না।