গাজীপুরে ৪ ঘণ্টার চেষ্টায় কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে

আগের সংবাদ

রোডম্যাপ বাস্তবায়নে সংশয়

পরের সংবাদ

সেই মাহেন্দ্রক্ষণের অপেক্ষায় আমি

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

আগের রাতে মেজো ফুপি (শেখ শামিমা নাসরিন পলি) বলে রেখেছিলেন আমরা পরদিন (১৯ জানুয়ারি) ভোরের কাগজ অফিসে যাব। আসলে ফুপির সঙ্গ ভালো লাগে। বন্ধুর সঙ্গে রমনায় হাঁটতে যাওয়ার প্ল্যান ছিল শুক্রবারে। অন্যদিন তেমন হাঁটা হয় না টিউশনি থাকে বলে। রাত ১১টার দিকে বন্ধুকে মেসেজ দিয়ে প্ল্যান ক্যান্সেল করলাম।
ভোরের কাগজ অফিস কাছেই। তাই ফুফু-ভাতিজা মিলে রিকশাযোগে রওয়ানা করলাম। গল্প করতে করতে আমরা আমাদের গন্তব্যে পৌঁছে গেলাম। জীবনে প্রথমবারের মতো ফুপির হাত ধরে কোনো পত্রিকা অফিসে প্রবেশ করলাম। মনের মধ্যে একটা অন্যরকম অনুভূতি কাজ করতে লাগল। আমার মেজো ফুপি পাঠক ফোরামের একজন সদস্য। পাঠক ফোরামের জন্মলগ্ন থেকে তিনি এই সংগঠনের সঙ্গে জড়িত। পাঠক ফোরামের ৩০ বছর পূর্তি উৎসবের প্রস্তুতি সভায় অংশ নিতে আমার এই যাত্রা। যে কজন আসার কথা তাদের মধ্যে আমরাই সর্বপ্রথম গিয়ে পৌঁছালাম। পত্রিকা অফিসে গিয়ে ফুপি আমাকে বলল, তুই কিন্তু চাইলে নিয়মিত এখানে লেখা পাঠাতে পারিস। এটা তোর জন্যই উপকারী হবে। আমি টুকটাক কবিতা লিখি। আর লেখালেখি করার যে ব্যাপারটা, এটা আমি পরিবার থেকেই পেয়েছি। একসময় আমার দাদা লেখালেখি করতেন। মেজো চাচুর তো অনেকগুলো বই প্রকাশ পেয়েছে। মেজো ফুপিও লিখে চলেছেন। আমি সাধারণত ফোনের ডায়েরিতে কবিতাগুলো লিখে রাখি।
আসলে ভালো পরিবেশে গেলে ভালো মানুষের সঙ্গে মিশলে তাদের কথায় উৎসাহ পাওয়া যায়। মুহূর্তের মধ্যে নিজের মনকে দৃঢ় করা যায়।
তো সবাই মিলে আলোচনা করছিল কীভাবে ৯ ফেব্রুয়ারির তিন দশক পূর্তি উৎসব সফলভাবে সম্পন্ন করা যায়। প্রথমে আলোচনা হয় অনুষ্ঠানের দিনে উপস্থিত সবার খাবারের কী ব্যবস্থা করা যায় সেটা নিয়ে। অনুষ্ঠানটি সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য কী কী করতে হবে, কোথা থেকে কী কিনতে হবে, কী উপহার দেয়া যায় এইসব। অনুষ্ঠানটি সবার কাছে আকর্ষণীয় করার জন্য কাকে অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো যায়- এসবই ছিল আলোচনার মুখ্য বিষয়। এছাড়া পাঠক ফোরামের প্রতিটি সদস্যকে ফোন দিয়ে অনুষ্ঠানের ব্যাপারে অবগত করা হয়। সন্ধ্যায় নাশতার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সব মিলে এক আনন্দমুখর পরিবেশ- যা আমার কাছে ছিল সম্পূর্ণ নতুন। কিন্তু আমি বেশ উপভোগ করেছি। গুরুত্বপূর্ণ কথাবার্তা শেষে আলোচনা পর্ব সমাপ্ত হয়।
পাঠক ফোরামের ৯ ফেব্রুয়ারির পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে ফুপির সঙ্গে আমিও যাব। অংশগ্রহণকারীদের লিস্টে ফুপি আমার নামও এন্ট্রি করিয়েছেন। ওই যে প্রথমেই বলেছি, ফুপি যেখানে যায় আমাকে সঙ্গে করে নিয়ে যায়। সত্যি বলতে- এই অনুষ্ঠানের জন্য আমি একেবারেই উদগ্রীব হয়ে আছি। এ ধরনের প্রোগ্রাম আমার জন্য একদমই নতুন। অনেক লেখক আসবেন, অনেক জ্ঞানী-গুণী ব্যক্তি আসবেন। তাদের কাছ থেকে কিছু শেখার জন্য আমি সেই দিনটির অপেক্ষায় রয়েছি।
অনুষ্ঠানের স্লোগান ‘দৃপ্ত অঙ্গীকারের দীপ্ত শিখা’। আমিও দীপ্ত শিখার নবীন আলো হতে চাই।
শেখ আসিফুর রহমান আসিফ : ইস্কাটন, ঢাকা

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়