সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে অজ্ঞাত লাশ উদ্ধার

আগের সংবাদ

নেতৃত্বে শীর্ষে সংখ্যায় কম

পরের সংবাদ

রিলেশনশিপের স্টার্টিং পয়েন্ট

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৯, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৯, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

শখ করে একখানা পান খেয়ে বাসে উঠেছিলাম। জানালা দিয়ে পানের পিক ফেলতে গিয়ে এক স্টাইলিশ সুন্দরী মেয়ের মাথার সিঁথি বরাবর পড়ে যায়।
মাথায় হাত দিয়ে সুন্দরী মুখ ঘুরিয়ে তাকাতেই দেখি সিঁথি বেয়ে টুপ টুপ করে পানের পিক তার নাকে-মুখে পড়ছে। তা দেখে সুন্দরী রেগেমেগে আগুন হয়ে বাসের দরজার দিকে তেড়ে আসছে।
এদিকে তো ভয়ে আমার হাঁটু কাপছে। তাড়াহুড়া করে পানি দিয়ে কুলি করে টিস্যু দিয়ে মুখ মুছে ফ্রেশ হয়ে কানে হেডফোন লাগিয়ে সিটে হেলান দিয়ে আরামসে চোখ বন্ধ ঘুমের ভং ধরলাম।
সামনের সিটেই এক ভদ্রমহিলা পান চিবুচ্ছিলেন। মেয়েটা এসে সরাসরি ভদ্র মহিলাকে উদ্দেশ করে বললেন, এই বেয়াদ্দপ মহিলা, তুই আমার মাথায় পানের পিক ফেললি কেন?
তা শুনে ভদ্রমহিলা মেয়েটার গালে ঠাস করে দুইটা থাপ্পড় বসিয়ে দিয়ে বললেন, এই ডিস্কু মাইয়া, কাকে বেয়াদ্দপ মহিলা বলছিস? ঘোড়ার লেজের মতো চুল কালার করে চোখে সরষে ফুল দেখে উল্টাপাল্টা বকছিস কেন, নাকি গাঞ্জা-টাঞ্জা কিছু খাস!
প্রতিউত্তরে মেয়েটা কিছু না বলে ডিরেক্ট মহিলাটার চুল ধরল। মহিলা তো ছেড়ে দেয়ার নয়, উনিও মেয়েটার চুলের মুঠি ধরলেন।
এদিকে বাসে থাকা লোকজন দুজনের চুল টানাটানির দৃশ্য আরামসে উপভোগ করছিল। মাঝখান থেকে ভদ্র মহিলার কোলে থাকা চার বছরের একটা বাচ্চা ওই ঝগড়া করতে আসা মেয়েটার গালে কামড় বসিয়ে দিল।
পরিস্থিতি তখন ভয়াবহ, তবুও কেউ থামাতে আসছে না। শেষমেশ আমিই দুজনের মাঝখানে ঢুকে থামাতে গেলে দুজনে আমার শার্ট ছিঁড়ে ফাতা ফাতা করে ফেলল।
মানবতার খাতিরে তবুও থেমে থাকতে পারলাম না। দুজনের একজনকে তো আগে থামাতে হবে। তাই মহিলাকে টেনে ধরেছিলাম। ওদিকে বাচ্চাটাকে একা পেয়ে কামড়ের প্রতিশোধ নিতে মেয়েটি কামড় দেয়ার জন্য বাচ্চার দিকে এগোচ্ছে। যেই বাচ্চার গালে কামড় বসাতে গেল, ওমনি বাচ্চাটাকে টান দিয়ে সরিয়ে নিয়ে বাচ্চার গালের জায়গায় আমার গাল পেতে দিলাম। যার ফলাফল- গালে আটাশটি দাঁতের ছাপ পড়ে গেল।
এবার পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হতে শুরু করল। মেয়েটি ‘সরি’ বলে বারবার আমার হাত ধরে মাফ চাচ্ছিল। আমি তো বাপু নরম মনের মানুষ। নেগেটিভলি না নিয়ে পজিটিভলি নিয়ে ভাবলাম, কামড় দিয়েছে তাতে কী! সুন্দরী মেয়ের ঠোঁটের ছোঁয়া পেয়েছি, এটাই অনেক। এটা ভেবে মাফ করে দিয়ে বললাম, ‘ঠিক আছে।’
তারপর মেয়েটি আমার হাত ধরে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করিয়ে ফোন নম্বর দিয়ে বলেছিল, দরকার হলে কল দিতে। ব্যাস, এখন আমরা সাড়ে চার বছর ধরে রিলেশনশিপে আছি।

আকিব শিকদার : হারুয়া, কিশোরগঞ্জ

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়