মার্কিন চার সিনেটরের বিবৃতি : সহিংসতার জন্য দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনার আহ্বান

আগের সংবাদ

প্রাধান্য পাবে আর্থ-কূটনীতি

পরের সংবাদ

অকপট জাভেদ আখতার

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৩, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৩, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ভারতের আত্মা অমর, অবিনশ্বর। কোনো সাময়িক ঘটনাপ্রবাহ কিংবা আকস্মিক মোড়, সেই সত্তাকে ধ্বংস করতে পারবে না। কয়েকটা নির্বাচন আর মুষ্টিমেয় কিছু মানুষ ভারতের সুপ্রাচীন সংস্কৃতি, যা কিনা আদতে হিন্দুস্থানের প্রকৃত চেতনা, তাকে পরিবর্তন করতে পারবে না। এমনটাই মনে করেন জাভেদ আখতার। সম্প্রতি নবম অজন্তা ইলোরা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে উপস্থিত হয়েছিলেন পদ্মভূষণ প্রাপ্ত বর্ষীয়ান কবি তথা গীতিকার। সেখানেই প্রখ্যাত পরিচালক জয়প্রদ দেশাইকে দেয়া একটি সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেন তিনি। প্রখ্যাত এই চিত্রনাট্যকার এবং গীতিকার জানান, ছয়ের দশকে যেসব অভিনেতা ছিলেন, তারা অনেক নম্র পরিবেশ এবং প্রেক্ষাপটে বড় হয়েছেন। তবে বর্তমানে চিত্রটা অনেকটাই বদলে গেছে। এখন নায়ক-নায়িকারা ধনী পরিবার থেকে উঠে আসেন। দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতির সঙ্গে তাদের কোনো যোগাযোগ থাকে না। আর তাই বর্তমান সময়ের সিনেমাতেও রাজনৈতিক বিষয়বস্তু কিংবা সামাজিক প্রেক্ষাপট প্রাধান্য পায় না। শুধু ব্যক্তিগত কাহিনির ওপর নির্ভর করেই আজকাল সিনেমা তৈরি হয় বলে অভিমত জাভেদ আখতারের। জাভেদের কাছে ভাষা শুধু যোগাযোগের মাধ্যম নয়। তার কাছে এটা আসলে সংস্কৃতির জলে পুষ্ট একটি নদী। মাতৃভাষা থেকে মানুষকে দূরে করে দেয়া ঠিক যেন গাছের শিকড় কেটে ফেলার মতো। ‘আমরা যদি আমাদের ভাষা হারিয়ে ফেলি, তাহলে অচিরেই আমাদের সংস্কৃতি এবং গল্পও হারিয়ে যাবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়, বর্তমান সময়ে যারা ভাষার গুরুত্ব বোঝে না, তারাই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্তের নির্ণায়ক’, জানিয়েছেন তিনি। জাভেদ এর আগে ইলোরা গুহা দেখেননি বলে জানিয়েছেন। চলচ্চিত্র উৎসবের সৌজন্যে এই ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটটি দেখার সুযোগ পেয়েছেন তিনি। কেন আগে তিনি ইলোরার গুহা দেখতে আসেননি, তা নিয়ে রীতিমতো আফসোস করেছেন প্রবাদপ্রতিম এই গীতিকার। ইলোরা দেখে তিনি মুগ্ধ! তার কথায়, ‘যারা এই শিল্পকর্মটি তৈরি করেছেন, অর্থের জন্য নয়, বরং তাদের চূড়ান্ত আবেগের বহিঃপ্রকাশ এই গুহাগুলো। আর প্রজন্মের পর প্রজন্ম সেই আবেগকে অনুসরণ করে চলেছে। তবে আমাদের তা অনুধাবন করার ক্ষমতা নেই। তবে যদি আমরা তাদের সেই আবেগ এবং মানসিক দৃঢ়তার কণামাত্র শুষে নিতে পারি, তাহলে দেশ স্বর্গে পরিণত হবে’, জানিয়েছেন আখতার। বিখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক অনুভব সিনহা, এআইএফএফ আয়োজক কমিটির প্রতিষ্ঠাতা-চেয়ারম্যান নন্দকিশোর কাগলিওয়াল, এমজিএম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. বিলাস সাপকাল, উৎসব পরিচালক অশোক রানে, শৈল্পিক পরিচালক চন্দ্রকান্ত কুলকার্নি, আহ্বায়ক নীলেশ রাউত, কবি দাসু বৈদ্য এবং বিপুলসংখ্যক চলচ্চিত্র দর্শক উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানে। ছিলেন সাধারণ নাগরিকরাও। নবম অজন্তা-ইলোরা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের দ্বিতীয় দিনে একটি আকর্ষণীয় ইভেন্টেরও আয়োজন করা হয়েছিল। এর মধ্যে ছিল পা, চিনি কাম, ঘুমর, শমিতাভ এবং প্যাডম্যানের মতো চলচ্চিত্রের পরিচালক আর. বাল্কির একটি মাস্টারক্লাস। সেই ক্লাসটি চলচ্চিত্রপ্রেমী এবং ফিল্ম স্টাডিজের পড়ুয়াদের কাছ থেকে অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছে। মাস্টারক্লাসটির পরিচালনা করেন পরিচালক দানেশ জোটিং। এর আগে আর. বাল্কির ‘ঘুমর’ ছবিটি প্রদর্শিত হয়।

:: মেলা ডেস্ক

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়