৫২ বছরে পা দিয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী তাবাসসুম ফাতিমা হাশমি! নাম শুনে অচেনা লাগতে পারে অনেকেরই। লাগারই কথা। আসলে এই নামে হাতেগোনা কয়েকজনই তো চেনে তাকে। সিনেমা জগতে তার পরিচিতি একটাই নামে টাবু। একসময়ের গø্যামার গার্ল আজ বি টাউনের অন্যতম শক্তিশালী অভিনেত্রী। যিনি একা কাঁধে একটা গোটা সিনেমা টেনে নিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা রাখেন। তবে যে অভিনেত্রী ছিলেন পুরুষদের স্বপ্নসুন্দরী, তিনি অবিবাহিত থেকে গেলেন কেন? ফ্যানদের মধ্যে এই প্রশ্ন বহুদিনের।
চিরকাল আইবুড়ো থাকা তার একান্ত ব্যক্তিগত ‘চয়েজ’ হতেই পারে। কিন্তু অনুরাগীরা সে কথা মানবেন কেন? তারাও জানতে চান, কেন টাবু বিয়ে করলেন না! প্রেম যে করেননি, এমন নয়। সিনেমা জগতে পা রাখার পর তিনজনের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে তার। এর মধ্যে দুজন নায়ক এবং একজন প্রযোজক। কিন্তু কারো সঙ্গেই শেষ পর্যন্ত গাঁটছড়া বাঁধেননি অভিনেত্রী। কাউকেই কি বিয়ের যোগ্য মনে হয়নি তার? এ নিয়ে সংবাদমাধ্যম থেকে সাধারণ মানুষ, সবারই অশেষ কৌতূহল। তবে কোনোদিনই সেই কারণ খোলসা করেননি।
বলিউডে তার প্রথম প্রেম সাজিদ নাদিয়াদওয়ালার সঙ্গে। বিয়ের ১০ মাসের মাথায় রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয় সাজিদের বৌ অভিনেত্রী দিব্যা ভারতীর। স্ত্রীকে হারিয়ে রীতিমতো ভেঙে পড়েছিলেন সাজিদ। সে সময় অবসাদে ডুবতে থাকা সাজিদের পাশে দাঁড়ান টাবু। একসময় দুজনের বন্ধুত্ব বেশ গভীর হয়। সেই বন্ধুত্ব প্রেমের সম্পর্কে মোড় নিতে বেশি সময় নেয়নি। তবে কেউই কোনোদিন প্রকাশ্যে এই প্রেমের কথা স্বীকার করেননি। শোনা যায়, দুজন লুকিয়ে এনগেজমেন্টও করে ফেলেছিলেন। কিন্তু বিয়েটা শেষ পর্যন্ত হয়নি।
এরপর অভিনেতা সঞ্জয় কাপুরের সঙ্গে সম্পর্ক হয় টাবুর। এই প্রেমের কথা দুজনই প্রকাশ্যে এনেছিলেন সে সময়। সঞ্জয় কাপুরের ক্যারিয়ার তেমন পোক্ত না হলেও তার রূপে রীতিমতো পাগল ছিলেন মহিলা অনুরাগীরা। ঠিক তেমনই টাবুও সে সময় অনবদ্য সুন্দরী ছিলেন। দুজনের প্রেম হতে বেশি সময় লাগেনি। ১৯৯৫ সালে মুক্তি পাওয়া সঞ্জয়ের প্রথম ছবি ‘প্রেম’-এ তিনি জুটি বেঁধেছিলেন টাবুর সঙ্গে। সেখান থেকেই প্রেমের সূত্রপাত। সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির বেশ কিছু অনুষ্ঠানে তারা একসঙ্গেই হাজির হতেন। কিন্তু এই সম্পর্কও চিরস্থায়ী হয়নি।
এর পরপরই টাবু মুম্বাই ছেড়ে হায়দরাবাদে চলে যান। হঠাৎ করে হায়দরাবাদ গেলেন কেন অভিনেত্রী? এই প্রশ্ন অনেকের মনেই উঁকি দিয়েছিল। সে সময়ই জানা যায়, তিনি নাগার্জুনার সঙ্গে চুটিয়ে প্রেম করছেন। এদিকে তেলুগু অভিনেতা তখন বিবাহিত। ভরা সংসার তার। তবে সেসব কিছুই প্রেমের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। নাগার্জুনা হায়দরাবাদে টাবুকে একটি বাড়ি উপহার দিয়েছেন, এমনও শোনা গিয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অভিনেত্রীর এই সম্পর্কটিও পূর্ণতা পায়নি। স্ত্রীকে ডিভোর্স দেননি তেলুগু তারকা। এরপরই সম্পর্কের ইতি টানেন টাবু।
২০১০ সালের দিকে আবার তিনি পাকাপাকিভাবে ফিরে আসেন মুম্বাইয়ে। পুরোপুরি কাজে মন দেন। এরপর আর কোনোদিন টাবুর সঙ্গে কারো প্রেমের খবর শোনা যায়নি। তখন থেকেই অভিনেত্রী স্থির করে নেন তিনি একাই কাটাবেন বাকি জীবন। তবে কেউ কেউ এখনো বলেন, টাবুর একা থাকার কারণ অজয় দেবগণ। ছোটবেলার বন্ধু অজয় টাবুর কাছে কোনো ছেলেকে ঘেঁষতে দিতেন না। তখন থেকেই নাকি টাবু অজয়কে ভালোবেসেছেন। কিন্তু অভিনেতা বন্ধুত্বের বেশি কিছু ভাবেননি। তাই টাবু আর কাউকে আপন করে নেননি।

:: মেলা ডেস্ক