আজ সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পরীক্ষণ থিয়েটার হলে মঞ্চস্থ হবে ঢাকা থিয়েটারের নাটক ‘প্রাচ্য’। নাটকটি রচনা করেছেন সেলিম আল দীন আর নির্দেশনা দিয়েছেন নাসির উদ্দীন ইউসুফ। দুই দশক পর দলটি সুবর্ণজয়ন্তীতে গত ২৮ ও ২৯ জুলাই ঢাকার শিল্পকলা একাডেমির পরীক্ষণ থিয়েটার হলে ‘প্রাচ্য’ পুনঃমঞ্চায়ন করে। নাট্য ঘটনাটি বহুল প্রচলিত বেহুলা-লখিন্দর কাহিনীর বিপরীতচিত্র। লাঠিয়াল সয়ফরচান কাজলাকান্দা গ্রামের নোলককে বিয়ে করে নিজ গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। যাত্রাপথের কিছু ঘটনা এই নাটকের পরিণতি নির্ধারণ করে দেয়। নাটক এগিয়ে যায় ট্র্যাজেডির দিকে। বাসর ঘরে নোলক সর্প দংশনে মারা যায়। সাপের খোঁজে সয়ফরচান স্বর্গমত্য ওলটপালট করতে থাকে এবং অবশেষে সাপের সন্ধান পেলেও সাপকে সে মারতে পারে না। নাটকের প্রথম দৃশ্যে সয়ফরচানের বসতবাড়ি, তার দাদি ও পড়শিদের দেখা যায়। এই দৃশ্যে গ্রাম্য মাতব্বর জিতু পুরনো লেনদেনের হিসাব দেখিয়ে সয়ফরচানের হালের বলদ নিয়ে যায়। এভাবে নাটকীয়তার মধ্যে এগিয়ে যেতে থাকে প্রাচ্যের পাঁচালী। সয়ফরচান আর নোলকের পরিচয় হয় এক গ্রাম্য যাত্রানুষ্ঠানে। পরিচয় থেকে পরিণয় অতঃপর অমোঘ নিয়তি মৃত্যু। এখানে ট্র্যাজেডির নায়ক ও সাপের মধ্যকার টানটান উত্তেজনাকর পরিস্থিতি। সাপকে মারতে না পারার ব্যর্থতা আর সয়ফরের বিভ্রম জিতু মাতব্বর ও নোলকের প্রতিমূর্তি এক অদৃশ্য বাধার কারণে অপরাজেয় থেকে যায়। নাটকটিতে অভিনয় করছেন শিমূল ইউসুফ, শহীদুজ্জামান সেলিম, রোজী সিদ্দিকী, ফারুক আহমেদ, নাসরিন নাহার প্রমুখ।
: মাহফুজ রহমান
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।