পাবনায় মানববন্ধন : শিক্ষকের ওপর হামলার বিচার দাবি

আগের সংবাদ

বর্ষণে বিপর্যস্ত পাঁচ জেলা : চট্টগ্রামের সঙ্গে বান্দরবান ও কক্সবাজারের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, চট্টগ্রাম ও বান্দরবানে সেনা মোতায়েন

পরের সংবাদ

বিদেশি ঋণের অর্থছাড়ে শীর্ষে জাপান : ইআরডির প্রতিবেদন

প্রকাশিত: আগস্ট ৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : সদ্য সমাপ্ত ২০২২-২৩ অর্থবছরে কমেছে বৈদেশিক সহায়তার অর্থছাড়। যা গত ২০২১-২২ অর্থবছরের তুলনায় কমার হার ৭ দশমিক ৪ শতাংশ। এদিকে গত অর্থবছরে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি অর্থছাড় করেছে জাপান। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ইআরডির সাময়িক হিসাব অনুযায়ী, সমাপ্ত ২০২২-২৩ অর্থবছরে বৈদেশিক ঋণের অর্থছাড় ৯ দশমিক ২৬৭ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। এর আগের অর্থবছরে বৈদেশিক ঋণের রের্কড ১০ বিলিয়ন ডলার ছাড় হয়েছিল। ইআরডির কর্মকর্তারা জানান, ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের প্রভাবে উন্নয়ন প্রকল্পে বাস্তবায়ন ব্যাহত হয়েছে। নির্মাণসামগ্রির মূল্য ঊর্ধ্বমুখী ছিল। ডলারের মূল্যবৃদ্ধি ও এলসি ওপেনিং নিয়ে অনেক প্রকল্পে জটিলতায় পড়তে হয়েছে।
এ কারণে ২০২১-২২ অর্থবছরের তুলনায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাস্তবায়ন হার কম ছিল। এছাড়া সক্ষমতার অভাবে এডিপিতে বৈদেশিক ঋণের বরাদ্দের ব্যবহার এর আগের অর্থবছরের চেয়ে কিছুটা কম ছিল।
অন্যদিকে ২০২১-১১ অর্থবছরে উন্নয়ন সহযোগীরা বাজেট সহায়তার পাশপাশি কোভিডের টিকা কিনতেও অর্থ ছাড় করেছিল। কিন্তু অর্থবছর ২০২২-২৩ এ সরকার টিকার জন্য কোনো ঋণ সহায়তা পায়নি। এসব কারণে এর আগের অর্থবছরের চেয়ে ২০২২-২৩ অর্থবছরে অর্থছাড় কমেছে।
২০২২-২৩ অর্থবছরে সবচেয়ে বেশি অর্থ ছাড় করেছে জাপান। দেশটি থেকে প্রায় ২ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার অর্থছাড় পাওয়া গেছে। এছাড়া বিশ্বব্যাংক ১ দশমিক ৯৩ বিলিয়ন ডলার, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক ১ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলার অর্থছাড় করেছে।
বেড়েছে ঋণের প্রতিশ্রæতি : এদিকে গত অর্থবছরে অর্থছাড় কমলেও বেড়েছে ঋণের প্রতিশ্রæতি। ইআরডির হিসাবে অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরে উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলোর কাছ থেকে সরকার প্রতিশ্রæতি পেয়েছে ৮ দশমিক ৭৯৮ বিলিয়ন ডলার। এর আগের অর্থবছরে যা ছিল ৮ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার। ইআরডির কর্মকর্তারা জানান, সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে উন্নয়ন সহযোগীদের মধ্যে থেকে সবচেয়ে বেশি প্রতিশ্রæতি পাওয়া গেছে বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে।
এ সময়ে বিশ্বব্যাংক ৫০০ মিলিয়ন ডলারের বাজেট সহায়তাসহ মোট ৯ প্রকল্পে ৩ দশমিক ৬০ বিলিয়ন ডলার প্রতিশ্রæতি দিয়েছে। এর আগে কোনো অর্থবছরে বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে এত বেশি প্রতিশ্রæতি পায়নি বাংলাদেশ। এ সময় এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের কাছ থেকে প্রতিশ্রæতি পাওয়া গেছে ১ দশমিক ৮৮ বিলিয়ন ডলার। জাপানের কাছ থেকে প্রতিশ্রæতি এসেছে ১ দশমিক ৫১ বিলিয়ন ডলার।
বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের চাপ বেড়েছে : এদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে সুদের হার বৃদ্ধির ফলে সরকারের বৈদেশিক ঋণের পরিশোধের চাপ বেড়েছে। এর ফলে আগের অর্থবছরের তুলানায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের পরিমাণ ৩২ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়েছে।
ইআরডির হিসাবে সরকার বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগীদের সুদ ও আসল মিলিয়ে ২ দশমিক ৬৭ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছে। এর মধ্যে সুদ হিসেবে পরিশোধ করেছে ৯৩৫ দশমিক ৬৬ মিলিয়ন ডলার, আর আসল পরিশোধ করেছে ১ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলার। এর আগে ২০২১-২২ অর্থবছরে সরকার আসল ও সুদ বাবদ পরিশোধ করেছে ২ দশমিক ০১৭ বিলিয়ন ডলার। যার মধ্যে আসল ১ দশমিক ৫২ বিলিয়ন ডলার এবং সুদ ৪৯১ মিলিয়ন ডলার।
ইআরডি সূত্র জানায়- রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে সিকিউরড ওভারনাইট ফাইন্যান্সিং রেট (এসওএফআর) রেট বেড়ে ৫ শতাংশ বেশি হয়েছে। এ কারণে বাজার ভিত্তিক ঋণের জন্য বাংলাদেশকে এখন ৫ শতাংশের বেশি সুদ পরিশোধ করতে হচ্ছে। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের আগে এ রেট ছিল ১ শতাংশের কম।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়