বিদ্যুৎ খাতের মূল্যায়ন : এবার বরখাস্ত দুই কর্মকর্তা

আগের সংবাদ

ভয়ংকর আগস্ট-সেপ্টেম্বর : ঢাকার বাইরেও ডেঙ্গুর ব্যাপকতা > সব জেলাকে সমান গুরুত্ব দেয়ার পরামর্শ > আছে বৈশ্বিক শঙ্কাও

পরের সংবাদ

‘ভক্তদের ভালোবাসা ছাড়া আমরা কিছুই না’

প্রকাশিত: জুলাই ২২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুলাই ২২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

জনপ্রিয় অভিনেত্রী মুমতাহিনা চৌধুরী টয়া বর্তমানে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন বিভিন্ন ওয়েব সিরিজের শুটিং নিয়ে। তবে এত ব্যস্ততার মাঝেও পরিবারকে এবং বন্ধুদের কীভাবে সময় দেন টয়া? তিনি রান্নাবান্নায় কতটা দক্ষ এবং কীভাবে তার অবসর সময় কাটে? টয়ার সঙ্গে আড্ডা দিয়ে সেসব কথাই জানার চেষ্টা করেছেন সিমরান

ব্যস্ততার মাঝে পরিবারকে কীভাবে সময় দেন?
আমি পুরোটা সময় আমার পরিবারকেই দেয়ার চেষ্টা করি। কাজ না থাকলে বাসাতেই থাকি। এখন মনে হয় আমরা সেই বয়সে চলে গেছি যেখানে বাহিরে গিয়ে আড্ডা দেওয়া কিংবা এমনি এমনি ঘোরাফেরা থেকে বাসায় পরিবারকে সময় দিতে বেশি ভালো লাগে। এখন এই জিনিসটাই বেশি উপভোগ করি। আর মিডিয়ার কিছু বন্ধু আছে যারা এখন আমার ফ্যামিলি হয়ে গেছে। সিয়াম, জোভান, তৌসিফ, সাফা, তামিম এরা কয়েকজন মানুষ এখন পরিবারের মতো হয়ে গেছে। আর ওদের সঙ্গে যখন আড্ডা দিই তখন মনে হয় না বাহিরে গিয়ে আড্ডা দেয়ার প্রয়োজন আছে।
টয়া কি রান্নাবান্না জানে?
আমি খুব বেসিক জিনিসগুলো রান্না করতে জানি। আমি রেগুলার লাইফের সবকিছুই রান্না করতে পারি; কিন্তু হেভি ফুড যেগুলো মেহমানদারি করে খাওয়াতে হয় সেগুলো এখনো চেষ্টা করিনি। কারণ আমার মায়ের হাতের রান্না এত ভালো যে রান্না করতে গেলে মনে হয় মায়ের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে পারব না। আর সেই ভয়ে সেগুলো রান্না করা হয়নি। কিন্তু আমি চেষ্টা করি সেগুলো রান্না করতে। আর কিছুদিন পর থেকেই সেটা শুরু করব। তখন বন্ধুদের রান্না করে খাওয়াব।
এখন কি রিকশায় ঘোরা হয় বা রাস্তার পাশে চা খাওয়া হয়?
এখন যখন আমরা রিকশায় ঘুরি বা রাস্তার পাশে চা খাই সেটা একটা ইভেন্ট হয়ে যায়। মানুষজন জড়ো হয়ে যায় কিংবা ছবি তোলে। আমি আর শাওন মাঝে মাঝে চেষ্টা করি বাহিরে একসঙ্গে ঘোরার। একটু চা খেতে যাই রাস্তার পাড়ের জায়গাগুলোতে। তখন মাস্ক পরে যেতে হয়। কিন্তু মাস্ক খোলার সঙ্গে সঙ্গেই সাধারণত যা ঘটার তাই ঘটে। আশপাশের মানুষজনও ইনজয় করে ব্যাপারটা। কিন্তু আমার কাছে এই জীবনটাও ভালো লাগে। মানুষের ভালোবাসা পেতে সবাই পছন্দ করে। মানুষজন এসে আমার সঙ্গে কথা বলতে চাইছে, ছবি তুলতে চাইছে, এই জিনিসগুলো আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। আর আমার কাছে মনে হয় ভক্তদের ভালোবাসা ছাড়া আমরা কিছুই না। তাই সে জিনিসটা যতদিন থাকবে আমার মনে হয় আমরাও বেঁচে থাকব। তাই সেই ভালোবাসাটা আমাদের জন্য অনেক দরকার।
প্রথম ইনকাম কত ছিল এবং কীভাবে?
আমার প্রথম ইনকাম লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার থেকে পেয়েছিলাম। অনেক বড় একটা অ্যামাউন্ট পেয়েছিলাম। আমার এখনো মনে আছে সেই এমনটা পেয়ে আমি অনেক খুশি ছিলাম, অনেক কিছু ভাবছিলাম। আর সেই টাকাটা দিয়ে আমার ভালোবাসার মানুষদের জন্য গিফট কিনেছিলাম। আমার মায়ের জন্য ঘড়ি কিনেছি, বাবার জন্য ঘড়ি কিনেছি, বোনের জন্য কাপড় কিনেছিলাম, যে যা পছন্দ করে ওই টাকাটা দিয়ে আমি সবার জন্য সে রকম জিনিস কিনেছিলাম। আমার নানা-নানুর জন্য দাদা-দাদুর জন্য গিফট কিনেছিলাম। সেই ইনকামটা স্পেশাল ছিল আর সেটা আমি কখনো ভুলব না।
ফোনে কার সঙ্গে সবচেয়ে বেশি আড্ডা দেয়া হয়?
আমাদের আসলে মোবাইল ফোনে খুব বেশি একটা কথা বলা হয় না। আমি টেক্সট করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি হচ্ছি টেক্সট করার মানুষ। সারাক্ষণ টেক্সটের ওপর থাকি, ফোনে খুব বেশি কথা বলি না। কিন্তু টেক্সটে কোথাও যদি বলি তাহলে ওই যে আমার কাছে বন্ধু যারা আছেন। আমরা সবাই একটা পরিবার হয়ে গেছি যেখানে সিয়াম আছে, তৌসিফ আছে, জোভান আছে, সাফা আছে, তামিম আছে, শাওনও এই গ্রুপের মধ্যে আছে। আর সেই গ্রুপটার মধ্যে আমরা আড্ডা দিই। ওই গ্রুপটাতেই আমরা কথা বলতে থাকি টেক্সটে। এই গ্রুপের সবাই মিলেই আমরা কিছুদিন আগে থাইল্যান্ড থেকেও একসঙ্গে ঘুরে এসেছি। একটা ট্রিপ নিয়ে এসেছি ঈদ ভ্যাকেশনের।
ছোটবেলায় কোন জিনিসটা নিয়ে বেশি খেলতেন?
আমার সবচেয়ে পছন্দের ছিল বারবি ডল। আমার অনেক বারবি ডল ছিল, সেগুলোকে শীতের সময় শীতের পোশাক পরাতাম। গ্রীষ্মের সময় গরমের পোশাক পরাতাম। সিজন অনুযায়ী দেখে সে অনুযায়ী তাদেরকে সাজাতাম। তাদেরকে ভিন্ন ভিন্ন ড্রেস পরাতাম। বারবি ডলকে খুব পছন্দ করতাম এবং বারবি নিয়ে অনেক খেলতাম।
দর্শকের উদ্দেশে কিছু বলতে চান কিনা?
দর্শক যেভাবে আমাকে ভালোবাসা দিয়েছে সেভাবেই ভালোবাসা চাই সাপোর্ট চাই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়