জামায়াতে ইসলামী : রাজনৈতিক কর্মসূচিতে নিষেধাজ্ঞার আবেদন শুনানি ৩১ জুলাই

আগের সংবাদ

ভোটের আমেজে তৃণমূলে ঈদ : শেখ হাসিনার বার্তা নিয়ে এলাকায় আ.লীগ নেতারা

পরের সংবাদ

নিতাইগঞ্জে কমেছে মসলার দাম

প্রকাশিত: জুন ২৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : দেশের বৃহত্তম পাইকারি বাজার নারায়ণগঞ্জের নিতাইগঞ্জে প্রায় সব ধরনের মসলার দাম রমজান মাসের তুলনায় কেজিপ্রতি ৫০-১০০ টাকা কমেছে। তবে বেড়েছে জিরা, কাজুবাদাম ও লবঙ্গের দাম। ব্যবসায়ীরা বলছেন, কুরবানির ঈদ উপলক্ষে মসলার বেচাকেনা সবচেয়ে বেশি হয়। কিন্তু এবার বেচাকেনা তুলনামূলক কম।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, ভালো মানের এলাচ বেচাকেনা হচ্ছে ২ হাজার ১০০ টাকা কেজি দরে, যা দুই মাস ধরে স্থিতিশীল। মাঝারি মানের এলাচ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৮০০ টাকা কেজি দরে, যা দেড় মাস আগে ছিল ১ হাজার ৮৫০ টাকা। সে হিসাবে কেজিপ্রতি দাম কমেছে ৫০ টাকা।
কিছুটা নি¤œমানের এলাচ বেচাকেনা হচ্ছে ১ হাজার ৩৪০ টাকা কেজি দরে, যা দুই মাস আগেও ছিল ১ হাজার ৪০০ টাকা। সে হিসাবে কেজিপ্রতি দাম কমেছে ৬০ টাকা।
জিরা বেচাকেনা হচ্ছে ৯২০ টাকা কেজি দরে, যা দেড় মাস আগে ছিল ৬৬০ টাকা। সে হিসাবে দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ২৬০ টাকা। দারচিনি বেচাকেনা হচ্ছে ৩৬০-৪০০ টাকা কেজি দরে, যা দুই মাস আগে ছিল ৩৮০-৪২০ টাকা। সে হিসাবে দাম কমেছে কেজিপ্রতি ৪০ টাকা। লবঙ্গ বেচাকেনা হচ্ছে ১ হাজার ৪২০ টাকা কেজি দরে, যা কিছুদিন আগে ছিল ১ হাজার ৩৪০ টাকা। সে হিসাবে কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে ৮০ টাকা।
সাদা গোলমরিচ বাজারে বেচাকেনা হচ্ছে ৯২০ টাকা কেজি দরে, যা এক মাস আগে ছিল ৯৮০ টাকা। সে হিসাবে দাম কমেছে ৬০ টাকা। কালো গোলমরিচ বেচাকেনা হচ্ছে ৬৪০ টাকা কেজি দরে, যা এক মাস আগে ছিল ৬৬০ টাকা। সে হিসাবে দাম কমেছে ২০ টাকা। তেজপাতা বেচাকেনা হচ্ছে ১০০ টাকা দরে, যা এক মাস আগে ছিল ১২০ টাকা। সে হিসাবে দাম কমেছে ২০ টাকা।
কাঠবাদাম বেচাকেনা হচ্ছে ৭৩০ টাকা কেজি দরে, যা দেড় মাস আগে ছিল ৭০০ টাকা। সে হিসাবে দাম বেড়েছে ৩০ টাকা। কাজুবাদাম বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ১৮০ টাকা কেজি দরে, যা এক মাস আগে ছিল ৯৮০ টাকা। সে হিসাবে দাম বেড়েছে ২০০ টাকা। পেস্তা বাদাম বেচাকেনা হচ্ছে ২ হাজার ৮০০ টাকা কেজি দরে, যা দেড় মাস ধরে স্থিতিশীল।
কিশমিশ বেচাকেনা হচ্ছে ৪২০ টাকা কেজি দরে, যা দুই মাস আগে ছিল ৪৪০ টাকা। সে হিসাবে দাম কমেছে ২০ টাকা। জায়ফল বেচাকেনা হচ্ছে ১ হাজার ২৮০ টাকা কেজি দরে, যা দুই মাস ধরে স্থিতিশীল। জর্তিক বেচাকেনা হচ্ছে ৩ হাজার ২৮০ টাকা কেজি দরে, যা দুই মাস আগে ছিল ৩ হাজার টাকা। সে হিসাবে দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ২৮০ টাকা।
ব্যবসায়ীরা জানান- ঈদুল ফিতরের তুলনায় ঈদুল আজহায় দু-তিন প্রকার মসলার দাম কিছুটা বেড়েছে। বাকি সব ধরনের মসলার দাম কমতির দিকে। নিত্যপ্রয়োজনীয় সব মসলা আমদানিনির্ভর। ডলার সংকট, এলসি খোলার জটিলতা, পরিবহন খরচ বৃদ্ধিসহ নানা কারণে কয়েক মাস ধরেই মসলার দাম বাড়তি ছিল। বিশেষ করে রোজার ঈদের সময় মসলার দাম এক লাফে কেজিপ্রতি ৩০০-৫০০ টাকা বেড়ে যায়। কুরবানির ঈদকে ঘিরে দাম না বেড়ে উল্টো ৫০-১০০ টাকা কমেছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়