ইসলামী আন্দোলন : নির্বাচনকালীন জাতীয় সরকারের রূপরেখা ঘোষণা

আগের সংবাদ

কুরবানির পশুর দাম বেশি যে কারণে > আফতাবনগর হাট : এখনো জমেনি হাট গরুও উঠেছে কম

পরের সংবাদ

ত্যাগের মহিমা ও রিপু নিয়ন্ত্রণ

প্রকাশিত: জুন ২৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত পবিত্র ঈদুল আজহার সামনে দাঁড়িয়ে বলতে পারি, ধর্ম মানুষকে পরিশীলিত করে, সহিষ্ণু করে এবং মঙ্গলময় জীবনের দিশা দেয়। যেখানে পৃথিবীর দেশে দেশে বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষ যদি নিজেদের সংকীর্ণতায় পরস্পরের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হয়, তাহলে পৃথিবীর কোথাও যে শান্তি আসবে না, সে কথা তো হলফ করেই বলা যায়। যে দেশে যে ধর্মাবলম্বীর সংখ্যাধিক্য রয়েছে, তারা যদি অন্যদের দ্বিতীয়-তৃতীয় শ্রেণির মানুষ ভাবতে শুরু করে, সে ক্ষেত্রে গেøাবালপল্লিতে চোখের পলকে ছড়িয়ে পড়বে হানাহানি এবং রক্তপাত। অন্যদিকে ধর্মনিরপেক্ষতা এবং আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতির কনসেপ্টে আস্থাশীল হয়ে যদি নিজেদের পরমতসহিষ্ণু হিসেবে গড়ে তুলতে পারি, তাহলে খুঁজে পাওয়া যাবে শান্তির পৃথিবীর ঠিকানা। আমার বক্তব্যের পক্ষে যুক্তি হিসেবে মদিনার সনদ বিষয়ে আলোকপাত করাই যায়।
‘সবার ওপর মানুষ সত্য তাহার ওপরে নাই!’ অথবা ‘নানান বরণ গাভীরে ভাই এক-ই বরণ দুধ/ জগৎ ভরমিয়া দেখি এক-ই মায়ের পুত।’ মানবিক মুক্তির দিশা খুঁজতে লোকবাংলার দুই কবির উচ্চারিত দুটি পঙক্তির দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। যখনই পৃথিবীর মানুষ, ধর্ম-বর্ণ-গোত্র-সম্প্রদায়ের ঊর্ধ্বে মানবতাকে সবার ওপরে স্থান দেবে, তখনই লোকবাংলার শাশ্বত চেতনা প্রতিষ্ঠিত হবে। ধর্মান্ধ গোষ্ঠীর পৈশাচিকতা ছাড়াও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ‘দুর্বলের ওপর সবলের আক্রমণ’ দেখেছে বিশ্ব। এমনকি জাতিসংঘকেও দেখেছে ‘ঠুটো জগন্নাথ’ হয়ে পরাশক্তির কাছে মাথা নোয়াতে। ইরাক পুড়েছে, লেবানন পুড়েছে, প্যালেস্টাইনে জ¦লছে আগুন; আফগানিস্তান পুড়েছে, বৈরুত পুড়েছে বিশ্বে সা¤্রাজ্যবাদ বেড়েছে দ্বিগুণ; মায়ানমার দেখেছে পৈশাচিকতা; কখনো ভারতে এবং বাংলাদেশেও। পৃথিবীর দেশে দেশে এত যে তাণ্ডব, কোনো প্রতিকার পেয়েছে মানুষ? পায়নি। বিশ্বের বিবেকবান প্রতিটি মানুষ গুমড়ে কেঁদেছে, সামান্য প্রতিবাদ হলেও কোনো প্রতিরোধ গড়ে ওঠেনি। ইতিহাস বলছে, প্রাচীনকাল থেকে বিশ্বের দেশে দেশে যত রক্তপাত হয়েছে, তার সিংহভাগই ঘটেছে ধর্মের জন্য; ধর্মই মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছে রক্তপাতে; কখনো প্রত্যক্ষ কখনো বা পরোক্ষে।
আমরা দেখেছি, পৃথিবীর প্রতিটি দেশের সাধারণ মানুষ সব সময়ই হত্যা-নৈরাজ্য-যুদ্ধ এবং রক্তপাতবিরোধী। ১৯৭১-এ বাংলাদেশ ভূখণ্ডে যখন পাকিস্তানি বাহিনী হত্যাযজ্ঞে লিপ্ত, তখন খোদ পাকিস্তানেও কিছু মুক্তবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ প্রতিবাদ করে রাস্তায় নেমেছে-মিছিল করেছে, কারাবরণও করেছে; পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বরতা কি সামান্য কমেছে? কমেনি। ইঙ্গ-মার্কিন হামলায় যখন পুড়ছে ইরাক, তখন খোদ আমেরিকাতেও যুদ্ধবিরোধী মিছিল হয়েছে, কিন্তু হত্যাযজ্ঞ থামেনি ইরাকে। প্যালেস্টাইনে যখন নিজস্ব ভূখণ্ডের দাবিতে লড়ছে মানুষ, ইসরায়েলি বাহিনীর অনৈতিক যুদ্ধকে কখনো প্রকাশ্যে কখনো পরোক্ষে সমর্থন করেছে আমেরিকা। নিরস্ত্র-বঞ্চিত মানুষ কখনো কোনো পরাশক্তির সমর্থন পায়নি। তাহলে বিশ্বময় সম্প্রীতির আবহ কীভাবে প্রতিষ্ঠিত হবে! পবিত্র ঈদুল আজহার সম্মুখে দাঁড়িয়ে আরো একবার ত্যাগের মহিমায় উজ্জীবিত হয়ে বিশ্বময় শান্তির স্বপ্ন দেখতে চাই। আল্লাহপাক পবিত্র কুরআনে বলেছেন, ‘কুরবানির পশুর রক্ত-মাংস কিছুই আল্লাহর দরবারে পৌঁছায় না, পৌঁছায় বান্দার তাকওয়া’; তাই তো বিদগ্ধজনেরা বনের পশুর চেয়ে মনের পশুকে কুরবানি করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। মনের পশুকে কুরবানি করার সূত্র খুঁজে পাই রিপুর নিয়ন্ত্রণে। আমরা নিজেরা যদি নিজের ভেতরের পশুকে বধ করতে পারি, তাহলে সহজেই নিজেকে কল্যাণের পথে চালিত করতে পারি। উৎসব আয়োজনে পশু কুরবানি তো করবই, পাশাপাশি নিজের ভেতরের অন্ধকার দূর করতে রিপু নিয়ন্ত্রণেও ব্রতী হব।
কাম-ক্রোধ-লোভ-মোহ-মদ ও মাৎসর্য্য মিলে ষড়রিপু; মানুষের ভেতর এই ছয় রিপুকে যদি আমরা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারি, তাহলে অনেক বিরোধ থেকে নিজেকে এবং পরিপার্শ্বকে মুক্তি দিতে পারি। কামোদ্দীপন দেখায় অভিন্ন জঙ্ঘার কাতরতা পুরোনো স্তনের মাদকতা পুনর্বার মেলে ধরে; কামান্ধতা অন্ধকারে অনায়াস বিচরণ করে সমস্ত ভূভাগ ঘুরে সংকীর্ণ ডোবার ঘোলা জলে সন্তরণ আকুলতা। কামরূপ শৃঙ্গারে হয় সাময়িক রাগ বিমোচন অতপর বড়জোর যৎকিঞ্চিৎ ঈষোদোষ্ণ লাভা উদ্গিরণ। কামান্ধের তাই নতুনের খোঁজে বহুগামিতায় সুখ সহ¯্র সন্ধানে যেন চৌষট্টি কলায় খোঁজে বিচিত্র অসুখ। কাম-ক্রোধ-লোভ-মোহ-মদ ও মাৎসর্য শত্রæ মানব জীবনে সৃষ্টিতে কামের যোগ পৃথিবী সে কথা জানে মানি মনে মনে। কামে লাস্য-লিপ্সায় শরীরী বাসনার তীব্র আবেগানুভব কামাকাক্সক্ষার সঞ্জিবনীতে আছে পৃথিবী সরব; যৌন সম্ভোগাকুতিতে কাম, জ্ঞান-শক্তি লক্ষ্যার্জনে কাম-কাম সৃষ্টি-তৃষ্ণায় অশান্ত ধরাধাম। কখনো প্রলয় পৃথিবী চঞ্চল হয় কলাহীন অন্ধ কামে শস্যক্ষেত্র উর্বর-আবাদী হয় মাঠে যদি কাম-বৃষ্টি নামে। অর্থাৎ কামেও কল্যাণ থাকে; তাই পরিহার নয়, চাই নিয়ন্ত্রণ।
এবার প্রসঙ্গ ক্রোধ; ক্রোধ কর সম্বরণ ক্রোধে নাই ফল, রিপুর ছলনা ক্রোধে হারায় সর্বস্ব যা-কিছু সম্বল। ক্রোধানল পোড়ে সদর অন্দর অর্জিত সঞ্চয় পরাজয়ের সিংহদুয়ার ক্রোধে উন্মোচিত হয়, ক্রোধে জন্ম নেয় হন্তারক পাপাচার ধ্বংসযজ্ঞ আনে ক্রোধে রক্তপাত কল্যাণসংহার শৌর্য-বীর্য নেই ক্রোধে পাবে করুণাক্লিষ্ট জীবন জেদ-স্পৃহা-প্রজ্ঞা পুড়িয়ে সে করে তিক্ত মনস্তাপ সংক্রমণ; আত্মঘাতী ক্রোধ নিজের কবর খোঁড়ে অন্যকে যতটা পোড়ায় তার চেয়ে বেশি নিজে পোড়ে; ক্রোধ বীজাধার যেখানে জন্মায় পাপবৃক্ষ বন ক্রোধাগ্নি বিপন্ন করে মানুষের আত্ম-নিয়ন্ত্রণ। ক্রোধ সে তো যুদ্ধের জমজ সহোদর যে কিনা ভাইয়ের বুকে চালায় খঞ্জর! ক্রোধ অগ্নিগিরির জ¦লন্ত লাভা পোড়ে বনাঞ্চল সরল বসতি পোড়ে দুঃখীর সম্বল স্বপ্নজনপদ পোড়ে বাড়ে ধ্বংসস্তুপ কিংকর্তব্যবিমূঢ় সকালে থাকে প্রকৃতি নিশ্চুপ মনোবৈকল্যের গূঢ় চাপ ক্রোধ অপ্রকাশ্য পাপ পরিত্রাণ পেতে চাই অসহ্য সন্তাপ; ক্রোধে নিঃস্ব গোলাঘর বনেদি জীবন জীবনে মঙ্গল যদি চাও করো ক্রোধ সম্বরণ।
রিপুচক্রের তৃতীয় অনুচ্ছেদ লোভ; লোভ থেকে ক্ষোভ, ক্ষোভ থেকে জন্মে ঘৃণা ক্রোধ যাকে গ্রাস করে দেখ, তাকে চেনো কিনা? প্রাপ্যের অধিক পাওয়ার আকাক্সক্ষা পাপ অন্যের বাতর ভেঙে অযথা কুড়াও অভিশাপ! অনুকম্পায় যা তুমি পাও তা কোনো অর্জন নয়, ভাঁড়ার ঘরের তালা খুলে পাবে যা কিছু সঞ্চয়; ও সব যক্ষের ধন বিষধর সর্প পাহারায় থাকে অনৈতিক প্রাপ্তিগুলো বিষকুণ্ডুলি আগলে রাখে; মোহগ্রস্ত তুমি তাই পেতে চাও আঁধারের কড়ি অন্ধতায় বুঝতে পারো না সবাই তোমার মন মনস্তত্ত্ব পড়ি। ‘লোভে পাপ পাপে মৃত্যু’ অমোঘ বাণীটি আজো সত্য পৃথিবীতে প্রবঞ্চনার প্রদীপ জ্বেলে ভুলে থাকো যদিও বা কলগীতে! লোভে যদি হয় আপাত কিঞ্চিৎ মধু প্রাপ্তিযোগ, তবু মনে রেখো সে অনিরামেয় মধুমেহ রোগ; চক্রবৃদ্ধিহারে বাড়ে মানব অন্তরে হন্তারক পাপী হয়ে ঘোরে লোভ বিশ্বচরাচরে, কখনো বিপাকে যদি পড়ে গণপিটুনিতে মরে; নিরাময় হয় না আগুনে সে নিজেই জ¦লে তুষেরআগুন রক্তচোষা জোঁক ছাড়াতে প্রয়োগ করো বিষ-নুন!
মোহান্ধতা যেন আত্ম উপলব্ধি না থাকার ফল নিজেকে জানে না যে কেবল তার মোহই সম্বল, শূন্য থেকে এসেছি সবাই মহাশূন্যে যাব ফিরে মাঝে কিছুদিন মোহে মায়া খুঁজি স্বপ্ননদীতীরে; মোহ কি ভ্রান্তির গায়ে সেঁটে থাকা ঘোর? জীবনের সর্বস্ব হারিয়ে মোহ কেনে জলমগ্ন করিডোর! অতপর বালুচরে গড়ি খেলাঘর খুঁজি কে আপন- কে সেখানে দূর-পর; মোহময় এই জগৎ সংসারে মায়া-সংসর্গ ভাগ্যের কথা, মায়া ব্রীড়াবতী-মৌন-মোহান্ধের নেই কোনো সৌজন্য শিষ্টতা; প্রণয় যখন কার্তিকের পূর্ণিমাপ্লাবিত রাত মোহ ক্ষণিক-কুয়াশা-মুহূর্তে মুগ্ধতা-স্বপ্ন করে কুপোকাত। মোহ কোনো দুরারোগ্য ব্যাধি নয় সাময়িক সূ² বিপর্যয় সমূহ শঙ্কা না ভেবে যদি পাও ভয় মোহন বাঁশির সুরে মোহ নিয়ে যাবে ভ্রান্তির ছলনাপুরে কাঞ্চনজঙ্ঘার স্বর্ণাভা দেখিয়ে পৌঁছাবে শূন্যদুপুরে; মনে রেখো মোহ সে ‘শক্তের ভক্ত নরমের যম’ মোহ থেকে মুক্তি পেতে চাই ব্রত জীবনে সংযম; মোহের লাগাম টেনে ধর আত্মসংযমশক্তিতে করো স্বপ্নবিশ্ব জয় নিজ মহিমায় আপনারে রচো তৃপ্ত হবে তুমি সুনিশ্চয়!
রিপুচক্রে গা ভাসিয়ে যখন সমূহ বিপর্যয় আসে নেমে জীবনৈশ্বর্যে কলঙ্ক লাগে সুখ্যাতির চাকা যায় থেমে, মদমত্ততায় ভেসে যায় বোধ-আত্মনিয়ন্ত্রণ হঠাৎ দেখবে দৃশ্যপটে মদমত্ত দুর্যোধন মদ-মত্ততায় ভুলে যেতে পারো কখনো বিনয় ভুলে যাবে ভব্যতা সৌজন্যবোধ আর অনুনয়; হাতে ধরে চেনালো যে মাঠ অলিগলি রাজপথ বর্ণপরিচয় শেখালো যে শুদ্ধ সত্যের শপথ পাঁজরের প্রাঙ্গণ উন্মুক্ত করে যে তোমায় দিয়েছিল বিচরণ ভূমি কৃষ্ণপক্ষ সেঁটে দিলে তার ভাগ্যে তুমি, তোমায় যে দিয়েছিল ছায়াময় নিশান্ত আশ্রয়, তাকে দিলে বৃদ্ধাশ্রমে উন্মূল সময়! অন্যকে অগ্রাহ্য করে নিজেকে যখন তুমি ভাব উজ্জীবিত নিশ্চিত জানিও অহংকারে আছো পূর্ণ নিমজ্জিত। ‘অহংকার পতনের মূল’ কথাটি ভুলেছো মদমত্ততায় অবহেলাজলে ধুয়ে তাকে নিজে করলে বিদায়, মনে করো সে আকাশে এখন দলছুট একা তারা দিবসরজনী ঘোরে হয়ে দিশাহারা; নিঃশব্দে দেখার অপেক্ষায় আছে অহমের ফল অপেক্ষায় আছে মুছে দিতে তোমার চোখের জল।
প্রযুক্তির কথা যত খুশি বলো হিংসা থেকে মুক্তি পেলে
রিপুচক্রে মাৎসর্য-প্রকোপ বড় বেশি গোলমেলে। শরীরে যখন তার হলো সংক্রমণ টের পাইনি নিজের গহীনে গোপন অধঃপতন; দ্রুত পুড়ে যাচ্ছে এ শীতার্ত শরীর মাৎসর্যবিষে স্বপ্নে জেগেছিল যে জীবন শুভ প্রণয় আশিসে; হাসিখুশি প্রকাশ্য জীবনে ছিল না বিভেদ রেখা তৃষ্ণা নিবারণে প্রতিদিন দু’জনার অনিবার্য দেখা; তোমার উত্থানে আমি আনন্দ-আকুল আমার পতনে তুমি ব্যথায় রাতুল; অথচ যখন সংক্রমণ ছুঁলো রিপুর দংশন ঈর্ষাকাতর এ মন মাৎসর্যে আকীর্ণ সর্বক্ষণ!
একত্রে সবাই যদি সমৃদ্ধির অতুল ঐশ্বর্য পেয়ে যাই, একত্রে সবাই যদি সুখি জীবনের স্বাদ পাই; একে অপরের সুখে-দুঃখে একসঙ্গে হাসিকাঁদি সবার গোলায় যদি ধান থাকে আর থাকে সোনা চাঁদি, কবে কোন কালে কার গায়ে কার ছায়া পড়েছিল প্রতিশোধ প্রবণতা সে দায়ে পরস্পরের শত্রæ করে দিল; জীবন পরম্পরায় রয়ে গেল মাৎসর্য প্রকোপ ক্রোধানল ছড়ায় মাৎসর্যবিষ প্রগতির ঘাড়ে পড়ে কোপ!
‘রিপুর বিপক্ষে প্রতিরোধ মানুষের প্রধান জিহাদ!’ হাদিসের বাণী ‘রিপুকে দমন করো পুণ্য-শান্তি পাবে!’ বেদ-গীতা পাঠে জানি অথচ মাৎসর্য জিইয়ে রেখে সবাই অশান্তি ডেকে আনি!
সভ্য-ভব্য মানুষ হিসেবে এ পৃথিবীকে আমরা সবার জন্য নিরাপদ দেখতে চাই। পবিত্র ঈদুল আজহায় সবাই যদি পশু কুবরানির পাশাপাশি রিপুচক্র নিয়ন্ত্রণে মনোযোগী হই; যদি মনের পশুকে কুরবানি দিতে পারি, তাহলে দ্রুতই আমরা সম্প্রীতির অভয়ারণ্য করে তুলতে পারি পৃথিবীটাকে। কেবল ঈদুল আজহায় নয়, আমাদের প্রতিটি উৎসবে আনন্দযজ্ঞে সম্প্রীতির চেতনা ছড়িয়ে দিতে চাই সবার মনে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়