মশার লার্ভার ঘনত্ব পরিমাপ ও ম্যাপিং কার্যক্রম শুরু আজ

আগের সংবাদ

ভূ-রাজনীতির নতুন ক্ষেত্র ‘ব্রিকস’ : যুক্তরাষ্ট্রের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে বাংলাদেশ, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে নতুন মাত্রা

পরের সংবাদ

পুঁজিবাজার চিত্র : মুদ্রানীতি ঘোষণার দিন সূচক বাড়ল নামমাত্র

প্রকাশিত: জুন ১৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে আগামী অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসের (জুলাই-ডিসেম্বর) মুদ্রানীতি ঘোষণা করার দিন পুঁজিবাজারে মূল্যসূচকের মিশ্র প্রবণতা দেখা গেছে। সেইসঙ্গে কমেছে লেনদেনের গতিও। প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন কমে ৪০০ কোটি টাকার ঘরে নেমে এসেছে। এতে দুই মাসের মধ্যে ডিএসইতে সর্বনি¤œ লেনদেন হয়েছে।
এর আগে গত সপ্তাহে পুঁজিবাজারে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে চার কার্যদিবস দরপতন হয়। সেইসঙ্গে কমে যায় লেনদেনের গতি। এ পরিস্থিতিতে গতকাল রবিবার পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান সূচক ৫ পয়েন্টে বেড়ে যায়।
তবে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন শেষ হওয়ার আগেই পুঁজিবাজারে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে নতুন মুদ্রানীতিতে ঋণের সুদহারের সীমা প্রত্যাহার করা হচ্ছে। এতে একশ্রেণির বিনিয়োগকারী পুঁজিবাজারে বিক্রির চাপ বাড়িয়ে দেন। এতে বেশ অস্থিরতা দেখা যায়।
গতকাল লেনদেন হওয়ার অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নতুন মুদ্রানীতির ঘোষণা আসে। সেখানে সুদহারের ফর্মুলায় পরিবর্তনের কথা জানানো হয়। সব ধরনের ব্যাংকঋণের ক্ষেত্রে সুদহারের সীমা প্রত্যাহার করে এর পরিবর্তে বাজারে সুদের চাহিদা অনুযায়ী বেঞ্চমার্ক ভিত্তি বা রেফারেন্স রেট চালুর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এমন ঘোষণা আসার দিনে ডিএসইতে সব খাত মিলে ৭১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। বিপরীতে ৮৮টির দাম কমেছে। আর ১৮৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
দাম কমার তালিকা বড় হলেও ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ১ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ২৮১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ আগের দিনের তুলনায় ১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৬৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় দশমিক ৭৫ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ১৮৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
মূল্যসূচকের মিশ্র প্রবণতার পাশাপাশি কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। বাজারটিতে চলতি বছরের ১৩ এপ্রিলের পর সর্বনি¤œ লেনদেন হয়েছে। দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪১৮ কোটি ২০ লাখ টাকা। গত ১৩ এপ্রিল লেনদেন হয় ৪১৪ কোটি ১৩ লাখ টাকা। এরপর ডিএসইতে আর এত কম লেনদেন হয়নি।
টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের শেয়ার। কোম্পানিটির ২৩ কোটি ১৭ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ২২ কোটি ৭৪ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ১৬ কোটি ২৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালস।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- খান ব্রাদার পিপি ওভেন ব্যাগ, সি পার্ল বিচ রিসোর্ট, পেপার প্রসেসিং, ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন, সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, জেনেক্স ইনফোসিস এবং রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স।
অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ৬ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেয়া ১৮৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪৪টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৫৬টির এবং ৮৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়