মশার লার্ভার ঘনত্ব পরিমাপ ও ম্যাপিং কার্যক্রম শুরু আজ

আগের সংবাদ

ভূ-রাজনীতির নতুন ক্ষেত্র ‘ব্রিকস’ : যুক্তরাষ্ট্রের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে বাংলাদেশ, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে নতুন মাত্রা

পরের সংবাদ

‘পশু মোটা তাজাকরণ প্রকল্প’ : আর্থিকভাবে লাভবান হবেন ৫০০ খামারি-কৃষক

প্রকাশিত: জুন ১৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মুহাম্মদ দৌলত, ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) থেকে : মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আযহা সামনে রেখে ফটিকছড়িতে পশু মোটাতাজাকরনে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন খামারি ও প্রান্তিক কৃষক। বাড়তি লাভের আশায় গবাদি পশু মোটাতাজাকরনে এবার বেশি মনোযোগী হয়েছেন তারা।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের দেয়া তথ্য মতে- ফটিকছড়িতে এবার ৫ শতাধিক খামারি ও প্রান্তিক কৃষক বানিজ্যিক ও পারিবারিকভাবে গবাদিপশু মোটা তাজা করার কাজে যুক্ত রয়েছেন।
এর মধ্যে ৩৪ হাজার ৫৪৯টি গরু, ৩ হাজার ৩৫৭টি মহিষ, ১৪ হাজার ৮৫৯টি ছাগল এবং ৩ হাজার ৪৬৫টি ভেড়া রয়েছে বলে নিশ্চিত করা হয়েছে। কুরবানির পশুর চাহিদার তুলনায় এ সংখ্য পর্যাপ্ত বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা।
তবে পশু মোটাতাজা করনে অন্যান্য গবাদী পশুর চাইতে গরুর সংখ্যাই বেশি। স্থানীয়ভাবে চাহিদা বেশি হওয়ায় গরু মোটাতাজাকরনে বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছেন খামারি ও কৃষকরা। পাশাপাশি এবার বেশ কয়েকজন শৌখিন খামারি কুরবানির হাটে গয়াল তুলতে জোরে সোরে প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। অন্যদিকে, প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকরা কুরবানীর হাটে মানানসই পশু তোলার টার্গেট নিয়ে যতœ সহকারে পশু লালন পালন করে চলেছেন।
নাজিরহাট পৌরসভা এলাকার খামারি জারিয়া এগ্রোর কর্ণধার মাহাবুল আলম বলেন- শুধু বানিজ্যিক মনোভাব নিয়ে আমরা খামার প্রতিষ্ঠা করিনি। স্থানীয়ভাবে পশুর চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি আমাদের খামারে ২০ থেকে ২৫ জন লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। যা অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক দিক। তিনি আরো বলেন- আমাদের ডেইরি ফার্মের গাভী, মহিষ, ছাগলের প্রসবকৃত বাছুরগুলোকে প্রাকৃতিক উপায়ে ঘাস, খৈল ও ভুষি খাওয়ানোর মাধ্যমে মোটা তাজা করে বিক্রি করে থাকি।
কুরবানি উপলক্ষে গরু মোটাতাজা করন কাজে নিয়োজিত ভূজপুর ইউনিয়নের প্রান্তিক কৃষক মনির আহমদ বলেন- চাষাবাদের পাশাপাশি দেশীয় প্রজাতির তিনটি গরু কিনে প্রাণী সম্পদ বিভাগের পরামর্শ নিয়ে চার মাস ধরে বাড়তি খাওয়ার দিচ্ছি। কোনো ধরনের ওষুধ, ইনজেকশন প্রয়োগ ছাড়া গরুগুলো ইতোমধ্যে যথেষ্ট মোটাতাজা হয়েছে। আশা করছি এবার ভালো দাম পাব।
তবে গুটিকয়েক খামারি সংশ্লিষ্ট বিভাগের পরামর্শ নিয়ে পশু মোটাতাজা করলেও এদের বড় একটি অংশ এখনো সনাতন পদ্ধতি অনুসরণ করে মোটা তাজাকরণ কাজে নিয়োজিত রয়েছে। যার ফলে তারা অধিক লাভবান হতে পারছেন না। এদিকে গো-খাদ্যের দাম মাত্রাতিরিক্ত হারে বেড়ে যাওয়ায় খরচের পাল্লা দিন দিন বাড়ছে বলে জানিয়েছেন একাধিক খামারি ও কৃষকরা।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সূচয়ন চাকমা ভোরের কাগজকে বলেন- আশার কথা হচ্ছে শিক্ষিত ও বেকার যুবকরা পশু মোটা তাজাকরনে এগিয়ে আসছে এবং এ হার দিন দিন বাড়ছে। যার ফলে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে, পাশাপাশি বেকারত্বও দূর হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, কুরবানি সামনে রেখে উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক খামারি ও কৃষকদের পরামর্শ ও সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। এবার উপজেলায় চাহিদার তুলনায় যথেষ্ট পশু মজুদ রয়েছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়