জিএম কাদের : স্বাধীনতার ৫০ বছরেও দেশে সাংবাদিকতা অনিরাপদ

আগের সংবাদ

রাজশাহীতে লিটনকে টেক্কা দেয়ার মতো প্রতিদ্ব›দ্বী নেই

পরের সংবাদ

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড : ‘গোল’ প্রোগ্রামের ১০ বছরপূর্তি উদযাপন

প্রকাশিত: জুন ১৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

একটা সময় ছিল যখন নিজ ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত ছিল সোনিয়া আক্তার। কিন্তু এখন সে একজন আত্মবিশ্বাসী নারী, যে ছাত্রজীবন শেষে ক্যারিয়ার গড়ার স্বপ্ন দেখছে। পপুলেশন সার্ভিসেস এন্ড ট্রেনিং সেন্টারের (পিএসটিসি) সহযোগীতায় স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের ফ্ল্যাগশিপ কমিউনিটি এনগেজমেন্ট প্রোগ্রাম ফিউচার মেকারস-এর অধীনস্থ গোল প্রোগ্রামে যোগদানের পর থেকে সোনিয়ার এ আত্মবিশ্বাস গড়ে ওঠে।
২০১৩ সালে ব্র্যাকের সঙ্গে অংশীদারত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করে গোল প্রোগ্রাম। এটি খেলাধুলাভিত্তিক শিক্ষার মাধ্যমে নারীদের জন্য অর্থনৈতিক শিক্ষা ও স্বাধীনতা, যোগাযোগ দক্ষতা, ক্ষমতায়ন, স্বাস্থ্য-সুরক্ষাসহ আত্মবিশ্বাস অর্জনে বিভিন্ন মডিউলের মাধ্যমে সাহায্য করে থাকে। গোল প্রোগ্রামের সহযোগিতায় প্রায় ৫০ হাজার সুবিধাবঞ্চিত নারী জ্ঞান, দক্ষতা এবং আত্মবিশ্বাস অর্জন করে নিজ নিজ সা¤প্রদায়িক কল্যাণে ভূমিকা রেখেছে।
গোল প্রোগ্রাম সোনিয়ার জীবনমান উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছে। ‘বি ইওরসেল্ফ’ এবং ‘বি এম্পাওয়ার্ড’ মডিউলের মতো সেশনগুলো সোনিয়াকে তার অধিকার সম্পর্কে জানতে, যোগাযোগ দক্ষতা বাড়াতে এবং সা¤প্রদায়িক সক্ষমতা সম্পর্কে সচেতন করে তুলেছে।
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের দশ বছরব্যাপী এ প্রচেষ্টায় বদলে গেছে জান্নাতুল ফেরদৌস জুয়েনার জীবন। আর্থিক অস্বচ্ছলতার সম্মুখীন হলে জুয়েনা গোল প্রোগ্রামের অর্থ ব্যবস্থাপনাবিষয়ক সেশনগুলোতে অংশগ্রহণ করে। সেখানে ‘বি মানি স্যাভি’ মডিউলের মাধ্যমে সে নিজস্ব ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলে এবং ফাইন্যান্সিয়াল ওয়েলনেস সম্পর্কে মনোযোগী হয়। প্রোগ্রামের ‘বি হেলদি’ মডিউলের সেশনগুলো দেশব্যাপী নারীদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্ব বুঝতে এবং যতœ নিতে সাহায্য করছে।
এ ব্যাপারে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের হেড অব করপোরেট অ্যাফেয়ার্স, ব্র্যান্ড এন্ড মার্কেটিং বিটপী দাশ চৌধুরী বলেন- গত দশ বছরে দেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি প্রমাণ করে নারীদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক সুযোগ নিশ্চিতের মাধ্যমে শুধুমাত্র তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যত নয়, তাদের পরিবারের এবং সমাজের কল্যাণে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং সার্বিক উন্নতির পথে নিয়ে যায়। গোল প্রোগ্রামের মাধ্যমে আমাদের লক্ষ্য হল সুবিধাবঞ্চিত নারীদের নিকট সাহায্য পৌঁছানো, খেলাধুলাভিত্তিক শিক্ষার মাধ্যমে দক্ষতামূলক শিক্ষা প্রদান, সা¤প্রদায়িক ও জাতির ভবিষ্যৎ নির্মাণে সক্ষম করে তোলা।
পরিবার ও স¤প্রদায়কে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করে তুলতে জ্ঞান, দক্ষতা এবং আত্মবিশ্বাস অর্জনে কিশোরীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছে গোল প্রোগ্রাম। ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত গোল প্রোগ্রাম আন্তর্জাতিক স্বীকৃতপ্রাপ্ত একটি গেøাবাল মুভমেন্টে পরিণত হয়েছে, যা ২০টিরও বেশি দেশে কাজ করছে। প্রোগ্রামটির লক্ষ্য ২০২৩ সালের শেষ নাগাদ ১০ লাখ কিশোরীদের নিকট পৌঁছানো। বিজ্ঞপ্তি

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়