জিএম কাদের : স্বাধীনতার ৫০ বছরেও দেশে সাংবাদিকতা অনিরাপদ

আগের সংবাদ

রাজশাহীতে লিটনকে টেক্কা দেয়ার মতো প্রতিদ্ব›দ্বী নেই

পরের সংবাদ

আইওটি সংযোগ ছাড়িয়ে যাবে ৬০০ কোটি

প্রকাশিত: জুন ১৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চ একটি বৈশ্বিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান, যা প্রযুক্তিখাতের বিভিন্ন পণ্য পর্যালোচনা করে। প্রধান প্রযুক্তি ও অর্থনৈতিক কোম্পানি নিয়ে মাসিক ভিত্তিতে প্রতিবেদন প্রকাশ করে প্রতিষ্ঠানটি। দুই-তৃতীয়াংশ সেলুলার সংযোগের হিস্যাই মূলত চীনের। পরবর্তী ধাপে আছে যথাক্রমে ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকা। যদিও সেলুলার সংযোগে শিল্পপ্রতিষ্ঠান উচ্চ মূল্যস্ফীতি, অর্থনৈতিক মন্দাবস্থা, বৈশ্বিক সরবরাহ চেইনে সংকটের মতো কিছু প্রতিবন্ধকতাকে মোকাবেলা করতে হচ্ছে; তার পরও বেড়েছে সেলুলার আইওটি বাজার। আর তার পেছনে প্রধান কারণ হিসেবে ছিল বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের ডিজিটাল দুনিয়ার প্রতি ঝুঁকে পড়া। বিশেষ করে স্মার্ট মিটার, অটোমোবাইল ও এসেট ট্র্যাকিং বর্তমানে নতুন প্রবণতায় পরিণত হয়েছে। সেলুলার আইওটি যেহেতু শিল্প-কারখানাগুলোর উৎপাদন বাড়ানো, সরবরাহ সময় কমিয়ে আনা ও স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়ার মাধ্যমে খরচ কমিয়ে আনায় সহযোগিতা করে। স্বাভাবিকভাবেই মহামারীর প্রাদুর্ভাবেও সূচক ছিল ঊর্ধ্বমুখী। সিনিয়র রিসার্চ অ্যানালিস্ট সোমেন মণ্ডল জানিয়েছেন, ২০২২ সালের পর সেলুলার আইওটি সংযোগের ৯০ শতাংশই ফোরজি ও এনবি-আইওটির যৌথ হিস্যা। ২০১৬ সালে টুজি ও থ্রিজিভিত্তিক আইওটি সংযোগকে পেছনে ফেলতে সামনে আসে ফোরজি। বিস্তৃতি লাভ করতে থাকে দ্রুত। এনবি-আইওটি বিপুল জনপ্রিয়তা কুড়িয়েছে চীনে। জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও উত্তর আমেরিকায় রয়েছে এলটিই-এম প্রযুক্তির বিশেষ প্রভাব। একই সঙ্গে এনবি-আইওটি ও এলটিই-এম প্রযুক্তির সমন্বয় করেছে। ফোরজি ক্যাট ১ বিস প্রযুক্তির জনপ্রিয়তা এনবি-আইওটিকে ছাপিয়ে গেছে। বিশেষ করে কার্যক্রম পরিচালনা ও বিস্তৃতির দিক থেকে। পিওএস, টেলিম্যাটিকস ও স্মার্ট মিটার্সের মতো অ্যাপ্লিকেশনগুলো দ্রুত ফোরজি প্রযুক্তির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিচ্ছে। ফোরজি ক্যাট ১ ও ফোরজি ক্যাট ১ বিস প্রযুক্তির চালান বেড়েছে, যা এনবি-আইওটি প্রযুক্তির বাজারে কিছুটা প্রতিবন্ধকতা হিসেবে কাজ করছে। ফাইভজি এখনো বর্ধনশীল। বাজারে ফাউভজিভিত্তিক অ্যাপ ও পরিষেবা জন্ম নিচ্ছে। ফাইভজি রেডক্যাপ ও ফাইভজি ই-রেডক্যাপের উত্থান তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ।কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের ভাইস প্রেসিডেন্ট নেইল শাহ দাবি করেছেন, বৈশ্বিক সেলুলার আইওটি সংযোগ ২০৩০ সাল নাগাদ ৬০০ কোটি অতিক্রম করবে। বার্ষিক প্রবৃদ্ধির হার হবে ১০ দশমিক ৮ শতাংশ। ডিজিটাল প্রযুক্তি, অটোমোটিভ, শিল্প-কারখানা, পাইকারি পরিষেবা ও স্বাস্থ্য খাতে বেড়েছে আইওটির ব্যবহার।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়