পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় : সবাই সার্বভৌমত্বকে সম্মান দেখাবে- এই প্রত্যাশা বাংলাদেশের

আগের সংবাদ

মেয়র প্রার্থীদের প্রতিশ্রæতির ফুলঝুরি : ‘পরিকল্পিত সিলেটে’ প্রাধান্য

পরের সংবাদ

যেভাবে ভাগ্য ফেরান সালমান খান

প্রকাশিত: জুন ১৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

এ সময়ে বলিউডের প্রথম সারির অভিনেতাদের মধ্যে যে তিন খানের নাম আসে, তাদের মধ্যে অন্যতম সালমান খান। নব্বইয়ের দশক থেকে ধীরে ধীরে দর্শকের প্রিয় ‘ভাইজান’ হয়ে ওঠেন সেলিম খানের পুত্র। প্রথম ছবিতে অভিনয় করেই বাজিমাত করেছিলেন সালমান। ক্যারিয়ারের প্রথম ছবি থেকে যে চুটিয়ে ব্যবসা করবে, সে ধারণা ছিল না অভিনেতার। কিন্তু এই ছবির সাফল্য সালমানের জীবনে বিশেষ পরিবর্তন আনেনি। বরং প্রথম ছবির পর কোনো কাজ ছাড়াই বসেছিলেন সালমান। ২০২২ সালে একটি পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের মঞ্চে উঠে নিজের অভিনয় জীবনের কথা উপস্থিত অতিথিদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছিলেন সালমান। তখনই অভিনেতা জানান, ‘বেকার’ অবস্থা কাটানোর জন্য নাকি টাকা দিয়ে অন্য ছবির ভুয়া ঘোষণা করেছিলেন তার বাবা সেলিম খান।
১৯৮৯ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল সুরজ বরজাতিয়া পরিচালিত ‘ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া’ নামের রোমান্টিক ঘরানার হিন্দি ছবি। এই ছবির মাধ্যমেই বলিপাড়ায় পদার্পণ করেন সালমান। যদিও ১৯৮৮ সালে ‘বিবি হো তো অ্যায়সি’ ছবিতে প্রথম অভিনয় করেছিলেন সালমান। কিন্তু পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। মুখ্য চরিত্রে প্রথম অভিনয় করেছিলেন বলে সালমানের ক্যারিয়ারের প্রথম ছবি হিসাবে ধরে নেয়া হয় ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’কে। সালমানের বিপরীতে ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন ভাগ্যশ্রী। ছবিতে দুই তারকার সম্পর্কের রসায়ন দর্শকের মনে ধরে। এক কোটি টাকা বাজেটের এই ছবি মুক্তির পর বক্স অফিস থেকে ২৮ কোটি টাকার ব্যবসা করে। সালমান জানান, তার ক্যারিয়ারের প্রথম ছবি হিট হলেও আলোর রোশনাই ছিল ভাগ্যশ্রীর দিকেই। অভিনেত্রী হয়ে উঠেছিলেন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। এমনটাই দাবি করেন সালমান। সালমান ভেবেছিলেন, দর্শক যখন পর্দায় তার সঙ্গে ভাগ্যশ্রীর জুটি পছন্দ করেছেন, তখন ভাগ্যশ্রীর সঙ্গেই পরবর্তী ছবিতে অভিনয় করবেন তিনি। কিন্ত সালমানের স্বপ্নে বাধা দেন খোদ ভাগ্যশ্রী। ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’ ছবিটি মুক্তির পর ভাগ্যশ্রী সিদ্ধান্ত নেন, তিনি বিয়ে করে সংসারে মনোনিবেশ করবেন। আর অভিনয় করবেন না। ক্যারিয়ারের শুরুতেই সালমানের মাথায় যেন বাজ পড়ে। সালমান জানান, ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’ ছবি মুক্তির পর টানা ছ’মাস বেকার বসেছিলেন অভিনেতা। হাতে টাকাও ছিল না সালমানের। প্রথম ছবি মুক্তির পর সালমান যে কোনো কাজ পাচ্ছিলেন না, তা সহ্য করতে পারছিলেন না সেলিম খান। ক্যারিয়ারের শুরুতে এমন কঠিন সময়ে পুত্রের পাশে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন তিনি।
কী করা যায়, স্থির করতে বলিপাড়ার ছবি নির্মাতা রমেশ তৌরানির সঙ্গে আলোচনায় বসেন সেলিম। উপায় খুঁজে বের করতে মরিয়া ছিলেন দুজনই। সালমান বলেন, ‘হঠাৎ দেখি একটি পত্রিকায় আমার নামে একটি খবর প্রকাশিত হয়েছে। খবর দেখামাত্র তো আমি চমকে উঠি। বলিউডের ছবিসংক্রান্ত খবর যে পত্রিকায় ছাপানো হতো, সেখানে দেখি লেখা হয়েছে আমাকে নাকি একটি ছবির নায়ক হিসেবে বেছে নেয়া হয়েছে। ছবি নির্মাণের দায়িত্বে নাকি রয়েছেন জিপি সিপ্পি।’ পরে অবশ্য সত্য ঘটনা জানতে পারেন সালমান। ভুয়া ছবি ঘোষণার নেপথ্যে ছিলেন স্বয়ং সেলিম খান। সালমান জানান, তার বাবা ২ হাজার টাকা দিয়েছিলেন রমেশকে। এই টাকা দিয়েই পত্রিকায় ভুয়া ঘোষণা করিয়েছিলেন সেলিম। সালমানের দাবি, প্রযোজক সিপ্পির সঙ্গে কথা বলেন সেলিম। ছবি মুক্তি নিয়ে অসত্য ঘোষণা করতে সেলিম অনুরোধ করেছিলেন সিপ্পিকে। আদতে সিপ্পি কোনো ছবিই তৈরি করছিলেন না।
তবে সেলিমের অনুরোধ ফেলতে পারেননি সিপ্পি। সালমানের নাম জড়িয়ে অসত্য ঘোষণা করেন সিপ্পি। সালমান বলেন, ‘ক্যারিয়ারের শুরুতে আমার জীবনে এক দেবতাসমান মানুষ এসেছিলেন। তিনি রমেশ তৌরানি।’ রমেশ নাকি সিপ্পিকে ৫ লাখ টাকা দিয়েছিলেন বলে জানান সালমান। অভিনেতা বলেন, ‘আসলে রমেশ সে দিন ওই ৫ লাখ টাকা দিয়েছিলেন বলে আমি একটি ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ পাই।’ ১৯৯১ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘পত্থর কে ফুল’ ছবিটি। এই ছবির প্রযোজনার দায়িত্বে ছিলেন জিপি সিপ্পি। সালমানের বিপরীতে নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন রাবীনা ট্যান্ডন। অভিনেত্রীর ক্যারিয়ারের প্রথম ছবি ছিল এটি।
:: মেলা ডেস্ক

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়